বরফে ঢাকা


ডিসেম্বরের মাসের শুরু থেকেই অক্সফোর্ডে হিম-শীতল ঠান্ডা। বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে না। সবসময় একধরনের জড়তা কাজ করে।

কোন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন?


কি করা উচিৎ ভেবে পাচ্ছেন না?

এই রকম ক্ষেত্রে আমি প্রথমেই ভাবি, আমি আমার জীবনকে কেমন দেখতে চাই। চোখ বন্ধ করলেই কোন ধরণের জীবনের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। সেই প্রতিচ্ছবিকে বাস্তবায়ন করতে যেটাকে সঠিক মনে হয় সেটাই করি।

মাস্টার্স প্রকল্প তত্ত্বাবধান

আজকে আমার প্রজেক্টে কাজ করার জন্য মাস্টার্স এর এক ছাত্রী যখন দেখা করতে এল তখন খুব নস্টালজিক হয়ে গেলাম। এই প্রথম আমার তত্ত্বাবধানে কোন গবেষণা প্রকল্প হবে।

ভিসা অভিজ্ঞতা

একটা দেশকে কিভাবে ব্রান্ডিং করতে হয় তার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ নিঃসন্দেহে তাদের এমবাসী।
আজকে জীবনে প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের এমবাসীতে গেলাম। গিয়েই দেশটার সমন্ধে একটা ভাল ধারণা হয়ে গেল।

কুড়িগ্রাম জেলার দারিদ্র্য

প্রথম আলোর একটি সংবাদে দেখলাম কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। এই জেলার সত্তর শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।


ভারী

নিজের মাথাটাকে নিজেরই আর ভাল্লাগে না
আজেবাজে সব চিন্তা-ভাবনা নিয়ে পরে থাকে।
সবকিছুকে যদি একটু থামায় দেওয়া যেত!
ছেড়ে দিতে চাই, কিন্তু পারি না, অশান্তিতেই শান্তি খুঁজি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন

যখন বাংলাদেশের উন্নতির কথা বলা হয় তখন অনেকে সেটা বিশ্বাস করতে চাননা। যখন বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষে মালয়শিয়া সিংগাপুরের মত উন্নত হওয়া সম্ভব তখন সেটা অনেকে হেসে উড়িয়ে দেন।
এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা। এত মানুষ নিয়ে এত ছোট একটি দেশ কিভাবে উন্নতি করতে পারে!

খারাপ খবর, ভাল খবর

আজকে সকালে ইমেইল ইনবক্স খুলে দেখলাম তিনটি ইমেইল এসেছে। একটি অফিসিয়াল আর দুইটির একটি খারাপ খবর আর একটি ভাল খবর।

রোহিঙ্গা সমস্যা

১। আমাদের ভাগ্য এতটাই খারাপ যে, আমাদের দেশের মাত্র দুইটা প্রতিবেশী। তার মধ্যে একটা আগ্রাসী, অন্যটা অমানবিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা জাতির আশা, আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নের প্রতীক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প নয়।

সাক্ষী

একটা বিয়ের সাক্ষী দিলাম। মুসলিম এক যুগল বিয়ে করবে আমার বন্ধুর পূর্ব পরিচিত। কিন্তু কোন সাক্ষী পরিচিত নেই তাদের। আমাকে যখন বলা হল, আমি সাক্ষী দিতে চাই কিনা, আমি সাথে সাথে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। গতকালই ছিল সেই বিয়ে।

ষোড়শ সংশোধনী

আমরা খুবই ইমোশনাল জাতি। তাই নিজেদের যেটা ভাল লাগে সেটাকে ঠিক বলি। আর যেটা ভাল লাগে না সেটাকে খারাপ বলি। কিন্তু ইমোশন দিয়ে সবকিছু চলে না। বিশেষ করে আইন-আদালত তো নয়ই।
কিন্তু ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে আদালতকে যথেষ্ঠ আবেগপূর্ণ মনে হয়েছে। সাথে সাথে আমরা জনগণও আবেগের বশোবর্তী হয়ে একে অপরকে গালাগালি করে যাচ্ছি।

বাইরের জগত ও ভিতরের জগতঃ সত্য ও মিথ্যা

অন্য প্রাণীর থেকে মানুষের পার্থক্য হল, অন্য প্রাণীরা শুধু বাইরের জগতকে দেখে ও সেখানে বিচরণ করে। কিন্তু মানুষ কল্পণার মাধ্যমে নিজের ভিতরে আর একটা জগত তৈরি করে। এই বাইরের আর ভিতরের জগতের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে প্রতিনিয়ত।


মানুষের ভিতরের জগত বা মনন শুধু নিজের ভিতরেই বন্দী থাকে না। একে বের করা যায় নিজের ভিতর থেকে। প্রকাশ করা যায়। মানুষ এটা করতে পারে কারণ তার ভাষা আছে।

ভাষা ব্যবহার করে আমরা যা কিছু বলি তাতেই আমাদের ভিতরের জগতের পরিচয় পাওয়া যায়। আমরা অনেক সময় এমন কিছুই বলি যা আমরা কখনও দেখিনি বা শুনিনি। অর্থাৎ যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই।

এভাবে ভাষা ব্যবহার করে আমরা যেমন সত্যকে তুলে ধরতে পারি তেমনি অনেক মিথ্যাও বানিয়ে বলতে পারি। এই মিথ্যা বলার ক্ষমতাকেই বলে কল্পণাশক্তি।

তবে সব মিথ্যা কিন্তু মিথ্যা নয়। অনেক মিথ্যা সত্যের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। এমন অনেক মিথ্যার মধ্যে একটি বড় উদাহরণ হল- ভালোবাসা। প্রিয়জনের প্রতি মমত্ব অন্য প্রাণীরও আছে। কিন্তু মানুষই সম্ভবত একমাত্র প্রাণী যারা 'ভালোবাসা'র অনুভূতিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়।

কাউকে যদি জিঞ্জাসা করা হয়। ভালোবাসা বলতে সে কি বোঝে। বিভিন্নজনের কাছ থেকে এই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু একটা বিষয়ে সবাই হয়ত একমত, ভালোবাসা জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনেকে বলবে ভালোবাসা হল একটা অনুভূতি। অনেকে বলবে ভালোবাসা মানে নির্স্বার্থ ভাবে অন্যের জন্য কাজ করা। কেউ হয়ত বলবে ভালোবাসা মানে হচ্ছে সুখ-আনন্দ। বিজ্ঞান বলে ভালোবাসা হল হরমোন ক্ষরণে মস্তিষ্কের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। কিন্তু শুধুই কি তাই? একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে ভালোবাসা শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে, আমরা ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত যা শিখেছি তার সবই। এর মধ্যে অনেক কিছুই একদম নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেখা। যেমন- আমরা বুঝি কেউ আমাদের ভালোবাসলে, সে আমাদের ভালো চায়। আর কেউ আমাদের ঘৃণা করলে সব সময় আমাদের খারাপ চায়। আমাদের খারাপ কিছু হলেই তাতে তাদের আনন্দ। এই ভাবে ভালোবাসা শব্দটির সাথে সাথে ঘৃণা শব্দটি চলে আসে। একটিকে বুঝলে আর একটি বোঝা যায়। ঘৃণা নিয়ে বেশি কথা বলতে গেলে মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরে চলে যাব। তাই ভালোবাসার প্রসঙ্গেই ফিরে যাওয়া যাক।

ভালোবাসা বিষয়ে অনেক কিছু আমরা যেমন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, তেমনি এমন অনেক কিছুও শিখেছি যা আমরা নিজের অভিজ্ঞতায় কখনও পাইনি, বরং অন্য কেউ আমাদের বলেছে। বা অন্য কোন মাধ্যম হতে শিখে নিয়েছি।

একদম ছোট বেলায় আমরা দেখি রুপকথার গল্পের রাজপুত্র আর রাজকন্যার জীবনের উদ্দেশ্যই হল প্রেম-ভালবাসা-বিয়ে। যখনই তাদের মিল হয়ে গেল, তারপর থেকে তারা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে লাগল। এরপর একটু বড় হলে, নাটক, সিনেমায় দেখি নায়ক-নায়িকার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্যও হল ভালবাসা। ভালোবাসার মানুষকে পেলেই হয়ে যায় 'হ্যাপি এন্ডিং'। এভাবে আমরা বড় হতে থাকি আর আমাদের অনেক গল্প শোনানো হয় যার অনেক কিছুই হয়ত বাস্তবে সম্ভব না।

সাথে সাথে চলতে থাকে বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা। আরও আছে বিশেষ দিবস। যেমন- ভ্যালেন্টাইন ডে। সাম্প্রতিক কালে অনেক ছেলে মেয়েই হয়ত প্রেম শুরু করেছে, এই ভেবে যে, ভ্যালেন্টাইন ডে তে তার সব বন্ধুরা প্রেম করতে বের হলেও সে কেন সেটা করতে পারছে না।

এই কাল্পনিক ধারণাগুলো আমাদের নিজেদের অনেকটা জুড়ে জায়গা করে নিয়েছে। তাই ভালোবাসা বলতে আমরা একদিকে যেমন বুঝি সুখ-আনন্দ, আত্মত্যাগ বা অনুভূতি। তেমনি অন্যদিকে, ভালোবাসা বলতে বুঝি- ক্যাম্পাসে কারও হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো, সায়েন্স লাইব্রেরীর পিছনে গিয়ে বসে থাকা, পুরান ঢাকায় ঘুরতে যাওয়া, জন্মদিনে পাগলামি করা, কিছুক্ষণ পরপর ফোন ফোন দিয়ে গান শোনানো, দু'জনে মিলে নিজের জগতে ডুবে থাকা, ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন, বন্ধুরা মিলে ঘটা করে প্রেমের এনিভার্সারি পালন ইত্যাদি। যদিও এর কোন কিছু না করলেও ভালোবাসা এতটুকু কমবে না, কিন্তু এগুলো ছাড়া আমাদের জীবন চলে? এগুলো না থাকলে জীবন কেমন যেন পানসে হয়ে যায়। আর অনেক ক্ষেত্রে প্রেমের মৌলিক ভিত্তিই হয়ে থাকে এগুলো।

আমি কিন্তু বলছিনা, ভালোবাসার অনুসঙ্গ গুলো কোন অংশেই আমাদের জীবনের জন্য খারাপ। কারণ ভালোবাসা না থাকলে আমাদের সমাজের বর্তমান সভ্য রূপই হয়ত থাকত না। বরং কল্পপনার মাধ্যমে তৈরি হওয়া ধারণাগুলোর কারণেই আমরা মানুষ। আমাদের ভালোবাসা প্রকাশের ধরণ তাই অন্য প্রাণীর মত স্থূল নয়। 

এভাবে অনেক কাল্পনিক ধারণা আমাদের কাছে সত্যের চেয়েও বেশি সত্য হয়ে ওঠে। কারণ ওই যে, আমরা আমাদের নিজেদের জগতকে নিজেদের মত করে রাঙিয়ে নিতে পারি।

মজার ব্যপার হল, আমরা শুধু নিজের ভিতরের জগতেই বিচরণ করি না। বরং আশেপাশের অন্য মানুষের জগতেও বিচরণ করি। তার কারণেই একজনের তৈরি ভ্যালেন্টাইন ডে'র ধারণা অন্য সবার ভিতরের জগতে প্রবেশ করে। ব্যপারটা অনেকটা একসাথে একই স্বপ্ন দেখার মত। এটা সম্ভব হয় ভাষার কারণে। কারণ ভাষা দিয়ে আমরা যেমন- সত্য বলি, তেমনি সত্যটাকে মাঝে মাঝে বদলে একটু মিথ্যা বলি। এভাবেই তৈরি হয় নতুন ধারণা। সত্যকে আমুল বদলে দিলে সেটাকে বলে 'মিথ্যা', আর সত্যকে একটু বদলে বিশ্বাসযোগ্য করে বললে সেটাকে বলে 'সৃজনশীলতা'। প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূণ আহমেদ এই কারণেই এত নাম করেছেন। কারণ, উনি ডাহা মিথ্যা বিষয়কেও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাই তার তৈরি করা গল্প অনেকের কাছে অতিরিক্ত 'কল্পণাপ্রবণতা' মনে হলেও অনেকের কাছেই তা জীবনের অবলম্বন। অনেক বেকার তরুণই গরম রোদে ঢাকার রাস্তায় হাঁটার সময় হয়ত স্বপ্ন দেখে হঠাৎ কোন সময় বড়লোক এক তরুণী গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তাকে তুলে নিবে। ভালোবাসাকে জড়িয়ে থাকা ধারণাগুলো হুমায়ুন আহমেদের গল্পের মতই। অনেকের কাছেই তা ভাবালুলতা। আর অনেকের কাছেই জীবন চলার পাথেও।

মানুষ তার ভিতরের জগতে শুধু ভালোবাসার মত অনুভূতির ধারণাই সৃষ্টি করেনা, সাথে সাথে এমন অনেক ধারণা সৃষ্টি করে যেগুলো কিনা এক একটি সত্ত্বা। যেমন- দেশ, জাতি ও দেশপ্রেম। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশকে আমরা বিভিন্ন দেশ বলি। বাংলাদেশ বললেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে লাল-সবুজের পতাকা, দেশের মানচিত্র, সুজলা-সুফলা গ্রাম আর নদী। তবে এর চেয়েও যেটা বেশি প্রকটভাবে উঠে আসে সেটা হল, এক ধরণের আপন অনুভূতি। বাংলাদেশ মানে আমার দেশ। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা দেখব এই ধারণাগুলো আমাদের নিজেদের তৈরি। বাংলাদেশের মাটির কোথাও বাংলাদেশ কথাটা লেখা নেই। আমাদের গায়ের কোথাও বাঙালি কথাটা লেখা নেই। কিন্তু আমরা নিজেদের দেশের কথা ভাবলে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারিনা। আমরাদের এই পুরো ভাবনাটাই আছে আমাদের নিজেদের মনের ভিতর। আমাদের সবার ভিতরের জগতে যেহেতু এই কমন ধারণাটা আছে, তাই আমাদের নিজের তৈরি করা বাংলাদেশ ধারণাটা সত্যের চেয়েও বেশি সত্য। আমরা এর জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। কারণ আমরা জানি বাংলাদেশ না থাকলে আমাদের অস্তিত্বও থাকে না। অন্য দেশের ক্ষেত্রেও তাই।

এইভাবে নিজের জগতে থাকা ধারণাগুলো দিয়ে মানুষ গড়ে তোলে দেশ, দেশের সংবিধান, আইন - আদালত ইত্যাদি। আমরা সবাই জানি সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে। এটা সবাই মিলে আমরা বিশ্বাস করি। এমন না যে পৃথিবীর সব দেশের সংবিধান একই রকম। কিন্তু আমরা জানি আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। এতে যখন তখন হাত দেওয়া যাবে না। যদিও আমাদের দেশে সংবিধানকে একটু বেশিই কাটা-ছেড়া করা হয়েছে। কিন্তু যে দেশ তা করেনি তারা তত বেশি স্থিতিশীল থেকে এবং উন্নতি করেছে।

তারমানে মানুষের তৈরি করা ধারণাগুলো (মিথ্যাগুলোকে) রক্ষা করলে অনেক সময় সমাজের উপকার হয়। অনেক সময় অপকারও হয়। যেমন- আমরা সবাই কিছু কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাস করি। গ্রামে গেলে প্রায়ই শোনা যায়, কাউকে ভূত ধরেছে। এই ধরণের বিশ্বাস আবার ক্ষতিকর। মিথ্যা বলার ক্ষমতা বা কল্পণাশক্তিকে ভাল কাজে যেমন লাগানো যায়, খারাপ কাজেও তেমনি লাগানো যায়।

এইযে আমরা একটা ধারণা তৈরি করতে পারি, তারপর সেই ধারণার জগতে সবাই মিলে বসবাস করতে পারি, তার কারণ, প্রথমেই বলেছিলাম, আমরা নিজেদের ভিতর এমন একটা জগত তৈরি করতে পারি বাইরের জগতের সাথে যার কোন মিল নেই। ভাষা ব্যবহার করে সেই জগতের ধারণা ছড়িয়ে দিতে পারি অন্যান্যদের মাঝে। আর সবাই মিলে সেই জগতে বসবাস করতে পারি যার বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই, কিন্তু সেটাই বাস্তবতা।

মঞ্জিলুর রহমান
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড

অসাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি দরকার সাধারণ মানুষের অসাধারণ কাজ

একটা জাতির উন্নতি হয় তার সাধারণ মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষ যখন দারুণ কিছু করা শুরু করে তখনই সমাজের বা জাতির উন্নতি হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ তখনই ভাল কিছু করতে পারে যখন সেই ভাল কিছু করার সহায়ক পরিবেশ থাকে।

অন্য চাকরির পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ

বিসিএস নিয়ে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে দেয়া সাক্ষাৎকার (২য় অংশ)
ক্যারিয়ার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলানিউজ: ভাইভা বোর্ডের অভিজ্ঞতা জানতে চাই?
মঞ্জিলুর রহমান: ভাইভা বোর্ডে আমাকে মূলত তিন ধরণের প্রশ্ন করা হয়েছিল। নিজের সমন্ধে, চাকরি সমন্ধে এবং বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সমন্ধে। নিজের সমন্ধে প্রশ্নে আমি কে, দেশের বাড়ি কোথায়, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কোন বিষয়ে পড়েছি এবং কেন বিসিএসের চাকুরী করতে চাই তা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। চাকরি সমন্ধে প্রশ্নে বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের সাথে আমি বিদেশে যে দেশে থাকি সেই দেশের সিভিল সার্ভিসের তুলনা করতে বলা হয়েছে। এর সাথে সাথে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে যা আমি স্মরণ করতে পারছি না। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশ্নে দেশের দুই একটি প্রশ্ন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কিছু কথা বলতে বলা হয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষায় নার্ভাসনেস নয়, চাই পজিটিভ মাইন্ডসেট


বিসিএস নিয়ে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে দেয়া সাক্ষাৎকার (১ম অংশ)
ক্যারিয়ার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

৩৫তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারে। অর্জন করেছেন মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগে অধ্যয়ন শেষে বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে। ৩৫ তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পর তাঁর সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন বাংলানিউজ ক্যারিয়ার বিভাগকে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন রায়হান আহমদ আশরাফী।

অপু বিশ্বাস, শাকিব খান এবং আমরা

যারা বাংলার সিনেমার খবর নিয়মিত রাখেননা তাদের কাছে হয়ত এই খবরটি শকিং যে অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের একটি সন্তানও আছে।

ক্রাইস্টচার্চ এক্সচেঞ্জ ডিনার

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই টার্মের দ্বিতীয় এক্সচেঞ্জ ডিনারটি ছিল। ক্রাইস্টচার্চ কলেজে। এটি সেই কলেজ যে কলেজে হ্যারি পটার মুভির কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। মুভিতে জাদুর স্কুলের যে ডাইনিং হল দেখানো হয় সেটি ক্রাইস্টচার্চ কলেজের ডাইনিং হল। একারণে সেদিন সেই ডাইনিং হলে খাবার খাওয়ার সময় বার বার হ্যারি পটার মুভির কথা মনে হচ্ছিল।
 

বিসিএস অভিজ্ঞতাঃ ভাইভা প্রস্তুতি

এর আগের পোস্টে আমি লিখেছিলাম কিভাবে আমি সম-সাময়িক ইন্টারভিউ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে বিসিএস ভাইভার জন্য প্রস্তুত করেছি। এবার বিসিএসের ভাইভার বর্ণণা লিখব।

পিএইচডি ইন্টারভিউ/ বিসিএস ভাইভার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ঐ মাসেই ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। এরপর নতুন দেশে নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে বেশ ব্যস্ত হয়ে পরি। বেশ পরিশ্রম করছিলাম ঐ সময়টায়।

ভ্যালেন্টাইনস ডে ২০১৭

ভ্যালেন্টাইনস ডে মানে কি ভালোবাসা দিবস?

ভালোবাসা মানে সেটা যেকারও প্রতি ভালোবাসা হতে পারে। কিন্তু পাশ্চাত্য সমাজ হতে আসা ভ্যালেন্টাইনস দিবস কিন্তু শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্যই। বাবার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য আছে ফাদার'স ডে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য আছে মাদার'স ডে। বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর আছে ফ্রেন্ডশিপ ডে। তেমনি প্রেমিক-প্রেমিকার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে কে অন্য কোন ভালোবাসার সাথে না মিলানোই ভাল।

নিশির মন

আজ নিশির মনটা অনেক ভাল। আম্মু শুভর কথা মেনে নিয়েছে। নির্ভার লাগছে অনেক।

ঠিক চার মাস আগে ও আর শুভ বিয়ে করে ফেলেছে। এর আগে দুই বছরের প্রেম ছিল।

কিন্তু চার মাসের মধ্যেই নিশি সন্তান-সম্ভবা। বিয়ের বিষয়টি আর চেপে রাখা সম্ভব হবে না ভেবেই আম্মুকে জানিয়েছে।

লোভী ডাক্তার?

একটা পাবলিক পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নে 'লোভী ডাক্তার' বিষয়টি নিয়ে বেশ তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। একটি সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক দেয়া হয়েছে এমনঃ "জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সব সময় অর্থের পিছনে ছুটতেন। এক সময় গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পদ সব কিছুর মালিক হন। তবুও তার চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু সগীর সাহেব তাঁর ধন-সম্পদ থেকে বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই।"

ডোপামিন ও সুখের অনুভূতি

একটা কথা আছে, না পাওয়া জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সবসময়ই বেশি। কোন কিছুর অপ্রাপ্তি সেই জিনিসের প্রতি চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পেয়ে গেলে চাহিদা কমে যায়। এই রকম জিনিসের সংখ্যা কম নয়। যেমন- মিষ্টি, চকোলেট, টাকা এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে।

অক্সফোর্ডে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট

ছোট শহর অক্সফোর্ডে বাঙালি পরিবারের সংখ্যা খুবই কম। অবশ্য লন্ডনে বেশ বড় সংখ্যাক বাঙালি বসবাস করে। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের লোক। সাধারণত তারা সিলেটি এবং ইংরেজী ভাষায় কথা বলে। শুদ্ধ বাংলা অনেকের শেখা হয়ে ওঠে না। তবে অক্সফোর্ডের অবস্থাটা ভিন্ন। শিক্ষাকেন্দ্রিক শহর হওয়ায় এখানে ব্যবসা নির্ভর বাঙালিরা বসবাসের জন্য এই শহরকে তেমন একটা বেছে নেয়নি। গুটিকয়েক বাঙালি পরিবার যারা আছে তাদের পেশা বিভিন্ন। তবে কয়েকটি ব্যবসায়ী বাঙালি পরিবারও এখানে আছে।

আপন শহর

অক্সফোর্ড এখন অনেকটা নিজের শহরের মত হয়ে গেছে। যখন বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসি, মনে হতে থাকে বিদেশে যাচ্ছি। লন্ডনে পৌছার পর মনে হয় বিদেশে আছি। কিন্তু অক্সফোর্ডে আসার পর আর সেটা মনে হয়না। অক্সফোর্ডে পৌঁছার পরই মনে হয় এই তো সেই চিরচেনা শহর।