আজ নিশির মনটা অনেক ভাল। আম্মু শুভর কথা মেনে নিয়েছে। নির্ভার লাগছে অনেক।
ঠিক চার মাস আগে ও আর শুভ বিয়ে করে ফেলেছে। এর আগে দুই বছরের প্রেম ছিল।
কিন্তু চার মাসের মধ্যেই নিশি সন্তান-সম্ভবা। বিয়ের বিষয়টি আর চেপে রাখা সম্ভব হবে না ভেবেই আম্মুকে জানিয়েছে।
এখন আম্মু বিষয়টা মেনে নেওয়ায় সবকিছু অনেক সহজ মনে হচ্ছে। তবে আম্মু বলেছে বিয়ের কথা কাউকে বলার দরকার নেই। পরে আমরা সামাজিকভাবে তোমাদের বিয়ে দিব।
শুভকে ফোন দেয় ও। বলে, 'আমি এবরশন করাবো।'
শুভ বলে, 'কিন্তু কিছুদিন আগে তো তুমি তা করাতে রাজি ছিলে না।'
'না আমি ঠিক করেছি সন্তান রাখব না। আমাদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হলে তারপর সন্তান নিব।'
পরের দিন দুইজন মিলে হাসপাতালে যায় গর্ভপাত করাতে। বাসায় ফিরে নিশি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরে। হতাশা গ্রাস করে তাকে। জীবনে এসব কি হল, কেন হল।
শুভর সাথে তখন বিয়েটা না করলেই তো ভাল ছিল।
এ কথা ভাবতে ভাবতেই শুভকে ফোন দেয় সে। ওদিকে শুভও ফোন ধরছে না।
প্রচন্ড রাগে আত্মহারা হয়ে যায় নিশি। ফোন ছুড়ে ফেলে দেয়। পাগলের মত করতে থাকে।
নিশির মা ঘরে চলে আসে। এমন করছিস কেন হঠাত! তোর পছন্দের ছেলের সাথেই তো বিয়ে দিচ্ছি।
তুমি এখান থেকে যাও তো মা। তুমি বুঝবে না।
মা চলে যায়।
এক সপ্তাহ পরে নিশি সুস্থ হয়। শুভর সাথে দেখা করতে চায়। শুভ বলে সে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।
নিশি অনেক অনুরোধ করে একটাবার দেখা কর প্লিজ। শুভ রাজি হয়। লাইব্রেরীর পিছনে দেখা করে ওরা।
নিশিকে দেখামাত্র শুভর মন নরম হয়। অনেক মমতায় জড়িয়ে ধরে নিশিকে। নিশি বলে ওঠে, আর কখনও ছেড়ে যাবে না তো?
শুভ বলে, যাব না।
মঞ্জিলুর রহমান
সামারটাউন, অক্সফোর্ড