ছোটগল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ছোটগল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

নিশির মন

আজ নিশির মনটা অনেক ভাল। আম্মু শুভর কথা মেনে নিয়েছে। নির্ভার লাগছে অনেক।

ঠিক চার মাস আগে ও আর শুভ বিয়ে করে ফেলেছে। এর আগে দুই বছরের প্রেম ছিল।

কিন্তু চার মাসের মধ্যেই নিশি সন্তান-সম্ভবা। বিয়ের বিষয়টি আর চেপে রাখা সম্ভব হবে না ভেবেই আম্মুকে জানিয়েছে।

শুভ নিশি

মাত্রই ঘুম থেকে উঠল শুভ। ফোনে তিনটি মিসকল। নিশি ফোন দিয়েছিল। বিরক্তির সাথে কললিস্ট চেক করতে করতে একবার ভাবল কলব্যাক করবে। পরক্ষণেই মত পাল্টে ফেলল। কোন কল না করেই ফোনটা রেখে দিল আগের জায়গায়।

রহস্যঘেরা মানবী

রাত ১০টা। ড্রয়ং রুমেই ঘুমিয়ে পড়েছিল রুহান।

ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর ক্লান্ত লাগছে খুব। বিকালে আধাঘন্টার বেশি ঘুমালে ওর সমস্যা হয়। খুবই অবসাদ লাগে। ঘুম থেকে ওঠার পর আর কিছু করতে ইচ্ছা করে না।

দিনটা একটু অন্যরকম ছিল ওর জন্য। শুধু মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কিছুই করা হয়নি।
ক্ষুধা লেগেছে। ক্লান্তি আর ক্ষুধায় বায়োমেট্রিক হতাশাটুকু এখন আর নেই।

বায়োমেট্রিক হতাশা

আজকের দিনটির গুরুত্ব বাংলাদেরশের ইতিহাসে অনেক বেশি। কারণ এইদিনের পর থেকে  বাংলাদেশের সকল সিম বায়োমেট্রিকভাবে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়ত  বাংলাদেশের ইতিহাসকে দুইটি অধ্যায়ে ভাগ করা হবেঃ একটা হল ৩০ এপ্রিলের আগে  আর একটা ৩০ এপ্রিলের পরে। বাংলাদেশী মাত্রই তাই এইদিনটিতে বিশেষ উত্তেজনা  অনুভব করছে। রুহানও ব্যতিক্রম নয়। তার আজকের দিনের সমস্ত কর্মকান্ডই  বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনকে কেন্দ্র করে।

কুল গাছ (গল্প)

একটি জেলা শহরে বড় হয়েছে ওরা। রূপক আর মেঘলা। এইচএসসি শেষ করে এবছরই রূপক ঢাকা মেডিকেলে আর মেঘলা ভর্তি হয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। একই শহরের হলেও ওদের তেমন একটা কথা-বার্তা ছিল না, যদিও দু'জনই একে অপরকে চিনত। কিন্তু ঢাকায় এসে কিভাবে কিভাবে যেন ওদের বন্ধুন্ত্ব হয়ে গেল। হয়ত একই শহর থেকে এসেছে বলে মনের টান থেকে, অথবা দু'জনেরই কোন একসময়ের সুপ্ত ইচ্ছার কারণে।

যাই হোক এখন ওদেরকে আলাদা করাই কঠিন। সারাদিন ফোনে কথা, দেখা করা এসব ওদের আর মোটেও অস্বাভাবিক লাগছে না। ওরা বোধহয় ভূলেই গেছে কিছুদিন আগেও ওদের কোন কথা বার্তা ছিল না।