আজ একটু সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেল। কাকের ডাকে। একটা না, অনেক কাক। এত কাকের ডাকে ঘুমানো দায়। বাজে ব্যপার। অথচ ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে ঘুম ভাঙতো পাখির মধুর কিচির মিচির শব্দে।
একটা কথা ভাবছি। অনেক আগে মানে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগের পৃথিবীতে চলে যেতে পারলে কেমন হত। যখন সকালে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য কোন পাখি ছিল না পৃথিবীতে। মানুষের বিবর্তন তখনও হয়ে ওঠে নি। কোন প্রাণী বা গাছপালা নেই। শৈবালরা কেবলি জল ছেড়ে স্থলে আসা শুরু করেছে। না আইডিয়াটা ভাল না। একে তো বাতাসে তখন অক্সিজেন লেভেল যথেষ্ট ছিল না (শ্বাস কষ্ট হত), তারপর আবার কোন সঙ্গী সাথি নেই। বোরড হয়ে যেতাম।
অতীতে সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিল খাঁ খাঁ। সূর্যের কারণে তার খুব একটা গরম লাগত না। কেননা পৃথিবী নিজেই ছিল দগদগে আগুনের পিণ্ড। তারপর ঠাণ্ডা হতে হতে তার গায়ে লাগল প্রাণের ছোঁয়া। এককোষী থেকে বহুকোষী একসময় মানুষের মত বুদ্ধিমান পাণীর আবির্ভাব। এসব হল ন্যাচারাল সিলেকসন আর বিবর্তনের মাধ্যমে।
তারমানে হল আমাদের মত বুদ্ধিমত্তার উদ্ভব একদিনে হয় নি। প্রকৃতির বিলিয়ন বছরের গবেষণার ফল হল বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করার ব্যপারটা তাই অনেক কঠিন। যে জিনিস তৈরি করতে প্রকৃতির এত বছর লেগে গেছে, সেরকম কিছু তৈরি কঠিন কাজই হবে। আর এটি করতে গিয়ে মানুষ সব সময় চেষ্টা করে আমাদের মষতিষ্কের মত কোন নিউরাল নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করবে সেটা বোঝার এবং সম্ভব হলে তেমন কিছু তৈরির। এক্ষেত্রে আমাদের চলাটা অনেকটা গাছের মগডাল থেকে নিচে নামার মত। গাছে উঠতে গেলে তো আসলে গোড়া থেকে আগার দিকে যেতে হয়। এখানে গাছের গোড়া হচ্ছে বিবর্তনের শুরুর দিক আর আগা হচ্ছে বিবর্তনের বর্তমান পর্যায়। গোড়া থেকে আগায় যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা অবশ্য হচ্ছে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।
সেখানকার একটি প্রকল্পে কম্পিউটারের ভার্চুয়াল জগতে উদ্ভব ঘটানো হয়েছে এভিডিয়ান নামক সরল ডিজিটাল জীবের।
(চলবে ...)
পরের অংশ পড়ুন এখানে ক্লিক করে
মঞ্জিলুর রহমানের ডায়েরী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
বিজ্ঞান
বিবর্তন
মস্তিষ্ক
ভার্চুয়াল জগতে প্রাণ-১ : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথে