একক চেষ্টায় তেমন কিছু করতে পারে না মানুষ। জীবনের বেশিরভাগ কাজই অন্য একজন বা অনেকের উপর নির্ভরশীল। বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও এটা সত্যি। একজনের চিন্তা অনেক বড় কিছু অর্জন করার জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য দরকার একের অধিক ব্যক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। একাধিক ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তার সংযোগের জন্য দরকার কার্যকরী যোগাযোগের। মানুষের যোগাযোগের একটি সহজাত মাধ্যম তার ভাষা। কথা বলে একজন আর একজনের মধ্যে নিজের চিন্তা-ভাবন ঢুকিয়ে দেয়। মজার ব্যপার হল, চাইলেও অনেক সময় আপনি এমন চিন্তা দূর করতে পারেন না, যেটা অন্য মানুষ আপনার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।
একটা টার্ম আছে, সোস্যাল ব্রেইন। অর্থাৎ সমাজের সবার বুদ্ধির সমষ্টিতে একটি একক বুদ্ধিমত্তা গড়ে ওঠে। তারমানে শুধু এই না যে প্রত্যেক ব্যক্তির বুদ্ধির যোগফল ওই সমাজের সম্মিলিত বুদ্ধি। বরং সেটা সেই যোগফলের বেশি বা কম হতে পারে। এর একটা কারণ হল, এক ব্যক্তির ভাবনা অন্য ব্যক্তির দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়। যেমন- যে ক্লাসরুমের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বেশি বুদ্ধিমত্তার সেই ক্লাসরুমের অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীরাও একসময় উন্নতি করে। ফলে ক্লাসরুমের ওভারঅল কোয়ালিটি বাড়ে। আর যে ক্লাসরুমের বেশিরভাগ সদস্য অমনোযোগী সেখানে অন্যরাও তাতে প্রভাবিত হয়।
একারণে সমাজের প্রত্যকটি মানুষের মস্তিষ্ক আলাদা হলেও একক মস্তিষ্ক একে অপরের প্রভাবমুক্ত নয়। যেকারণে একই ব্যক্তি একটি অনুন্নত সমাজে থাকলে তার চিন্তা-ভাবনে একধরণের হয় আর সেই একই ব্যক্তি উন্নত সমাজে বসবাস করা শুরু করলে তার চিন্তা-ভাবনা আর একধরণের হয়ে যায়। আমরা প্রায়ই এটা খেয়াল করি। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আচার-আচরণের উন্নতির কথা নিয়েও আমরা আলোচনা করি। যে বিদেশে গেলে মানুষের মাইন্ডসেটটাই বদলে যায়। সুতরাং মানুষ যা করে তা শুধু নিজের কারণে নয় বরং আশেপাশের মানুষজনেরও সরাসরি ভূমিকা কারণেও। ইচ্ছাশক্তি শুধু ব্যক্তির নিজের নয়। এটি একটি সামষ্টিক ব্যপার। যেহেতু ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার আমাদের কোন সামাজিক তাগিদ নেই তাই আমাদের মাইন্ডসেটে ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার কথা আসে না।
একে অপরের সাথে যোগাযোগ ঘটানোর জন্য সবাই মিলে বসে আলোচনা করে মানুষ। তবে সব সময় এই যোগাযোগ সরাসরি আলোচনায় সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। অনেকসময় এই যোগাযোগ হতে পারে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে। এ ধরণের উদাহরণ আমারা দেখি সব সফল প্রতিষ্ঠানে। যেখানে প্রতিষ্ঠানের সফলতা শুধুমাত্র বিদ্যমান ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে না। বরং তা সেই ব্যক্তিসমুহের (মস্তিষ্ক) সম্মিলন মাত্রার উপরও নির্ভর করে। অর্থাৎ প্রত্যকের কাজ সম্মিলিত ভাবে কতটুকু হারমোনি বা ঐকতান তৈরি করে তা এখানে মূল চালিকাশক্তি। সবাই একসুরে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কাজ করলেই একটি প্রতিষ্ঠান উন্নতির দিকে ধাবিত হয়।
এই ব্যপারটির উপর যথেষ্ট পড়াশুনা হওয়া দরকার। দলবদ্ধ মানুষ কিভাবে তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে তা জানা থাকলে, নেতৃত্ব পর্যায়ে সেটা ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এখন আমাদের দরকার এ বিষয়ে সংঘবদ্ধ জ্ঞানের। কারণ জ্ঞান সংঘবদ্ধ না হলে তা প্রয়োগ করা অত্যন্ত কঠিন।
নেতা বা সংগঠকের একটা বড় গুণ হল মেধাবী বা দক্ষ মানুষদের কাজে লাগিয়ে কার্য সম্পাদন করা। এক্ষেত্রে তারা সরাসরি কাজটি করেন না বরং যারা কাজ করবে তাদের চালিত করেন। যার ফলে কর্মীদের কাজে থাকে শৃংখলা। কোন কিছুই তাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে পারে না। যেমন- গার্মেন্টস কর্মীদের কথা ধরা যাক। সুপারভাইজার তাদের কাজ তদারকি করেন। ফলে তারা চাইলেও বিশৃংখল হয়ে উঠতে পারে না। কর্মীদের কাজে শ্রম বণ্ঠন করার মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কেউ সেলাই করে, কেউ বোতাম লাগায়, আবার কেউ পোশাকের বিভিন্ন অংশ তৈরি করে। তাই যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহারও এক্ষেত্রে হয়। এতো গেল শ্রম বণ্টনের ব্যপার। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা বোঝা যাচ্ছে। তবে মিলিত মতিষ্ক বলতে যা বুঝায় তা ঠিক এটা নয়।
মিলিত মস্তিষ্কের কথা বলতে গেলেই আসে টিমওয়ার্কের কথা। যেমন- একটি গবেষণা দল। একাধিক বিজ্ঞানী মিলে একসাথে একই কাজ করে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন এরকম ঘটনা অতীতে আমরা অনেক দেখেছি। ওয়াটসন ও ক্রিক দুই জনের যৌথ প্রচেষ্টায় ডিএনএ অণুর গঠন বের করা সম্ভব হয়েছে। একটা গাণিতিক সমস্যা হয়ত একা একজনের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু একাধিক মানুষ একসাথে বসে সংঘবদ্ধ উপায়ে সেটার বিভিন্ন অংশ সমাধান করে পুরো সমস্যাই সমাধান করে ফেলতে পারে। আজকের মানব সভ্যতার বেশিরভাগ নিদর্শনই বহু মস্তিষ্কের উদ্ভাবন। একা একজন মানুষ হয়ত একটা পিপীলিকার মতই অসহায়। কিন্তু বহু মানুষ একসাথে হলে তারা শুধুমাত্র বড় বড় কাজই করতে পারে না। বরং এমন চিন্তা করতে পারে যা একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন অনেক বড় হয়ে যায়, তার সমস্যাগুলো তখন আর একজনের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হয় না। তাই একাধিক ব্যক্তির মালিকানা এক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাল উপায়। তবে একাধিক ব্যক্তির একসাথে হওয়া একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসও করে ফেলতে পারে। অনেক ব্যক্তি একসাথে হলেই দারুণ কাজ হবে এমন কথা নেই। এক্ষেত্রে অবশ্য একটি কথা প্রচলিত আছে - একটা দারুণ দল তৈরির জন্য দারুণ সদস্যের দরকার। দারুণ ব্যক্তিসমুহের সমষ্টিতেই সম্ভব দারুণ একটি দল তৈরি হওয়া। তবে সেই দলের মধ্যে সঠিক এবং যথাযথ যোগাযোগের দরকার আছে। আর এই যোগাযোগ বজায় রাখতে বেশি ভূমিকা রাখে দলের মধ্যে নেতৃত্ব গূণ সম্বলিত ব্যক্তি। নেতৃত্ব দিতে হলে উচুঁ পদমর্যাদায় থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। তা একই পদমর্যাদায় ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোন একজনও প্রদর্শন করতে পারে।
একটা টার্ম আছে, সোস্যাল ব্রেইন। অর্থাৎ সমাজের সবার বুদ্ধির সমষ্টিতে একটি একক বুদ্ধিমত্তা গড়ে ওঠে। তারমানে শুধু এই না যে প্রত্যেক ব্যক্তির বুদ্ধির যোগফল ওই সমাজের সম্মিলিত বুদ্ধি। বরং সেটা সেই যোগফলের বেশি বা কম হতে পারে। এর একটা কারণ হল, এক ব্যক্তির ভাবনা অন্য ব্যক্তির দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়। যেমন- যে ক্লাসরুমের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বেশি বুদ্ধিমত্তার সেই ক্লাসরুমের অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীরাও একসময় উন্নতি করে। ফলে ক্লাসরুমের ওভারঅল কোয়ালিটি বাড়ে। আর যে ক্লাসরুমের বেশিরভাগ সদস্য অমনোযোগী সেখানে অন্যরাও তাতে প্রভাবিত হয়।
একারণে সমাজের প্রত্যকটি মানুষের মস্তিষ্ক আলাদা হলেও একক মস্তিষ্ক একে অপরের প্রভাবমুক্ত নয়। যেকারণে একই ব্যক্তি একটি অনুন্নত সমাজে থাকলে তার চিন্তা-ভাবনে একধরণের হয় আর সেই একই ব্যক্তি উন্নত সমাজে বসবাস করা শুরু করলে তার চিন্তা-ভাবনা আর একধরণের হয়ে যায়। আমরা প্রায়ই এটা খেয়াল করি। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আচার-আচরণের উন্নতির কথা নিয়েও আমরা আলোচনা করি। যে বিদেশে গেলে মানুষের মাইন্ডসেটটাই বদলে যায়। সুতরাং মানুষ যা করে তা শুধু নিজের কারণে নয় বরং আশেপাশের মানুষজনেরও সরাসরি ভূমিকা কারণেও। ইচ্ছাশক্তি শুধু ব্যক্তির নিজের নয়। এটি একটি সামষ্টিক ব্যপার। যেহেতু ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার আমাদের কোন সামাজিক তাগিদ নেই তাই আমাদের মাইন্ডসেটে ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার কথা আসে না।
একে অপরের সাথে যোগাযোগ ঘটানোর জন্য সবাই মিলে বসে আলোচনা করে মানুষ। তবে সব সময় এই যোগাযোগ সরাসরি আলোচনায় সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। অনেকসময় এই যোগাযোগ হতে পারে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে। এ ধরণের উদাহরণ আমারা দেখি সব সফল প্রতিষ্ঠানে। যেখানে প্রতিষ্ঠানের সফলতা শুধুমাত্র বিদ্যমান ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে না। বরং তা সেই ব্যক্তিসমুহের (মস্তিষ্ক) সম্মিলন মাত্রার উপরও নির্ভর করে। অর্থাৎ প্রত্যকের কাজ সম্মিলিত ভাবে কতটুকু হারমোনি বা ঐকতান তৈরি করে তা এখানে মূল চালিকাশক্তি। সবাই একসুরে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কাজ করলেই একটি প্রতিষ্ঠান উন্নতির দিকে ধাবিত হয়।
এই ব্যপারটির উপর যথেষ্ট পড়াশুনা হওয়া দরকার। দলবদ্ধ মানুষ কিভাবে তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে তা জানা থাকলে, নেতৃত্ব পর্যায়ে সেটা ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এখন আমাদের দরকার এ বিষয়ে সংঘবদ্ধ জ্ঞানের। কারণ জ্ঞান সংঘবদ্ধ না হলে তা প্রয়োগ করা অত্যন্ত কঠিন।
নেতা বা সংগঠকের একটা বড় গুণ হল মেধাবী বা দক্ষ মানুষদের কাজে লাগিয়ে কার্য সম্পাদন করা। এক্ষেত্রে তারা সরাসরি কাজটি করেন না বরং যারা কাজ করবে তাদের চালিত করেন। যার ফলে কর্মীদের কাজে থাকে শৃংখলা। কোন কিছুই তাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে পারে না। যেমন- গার্মেন্টস কর্মীদের কথা ধরা যাক। সুপারভাইজার তাদের কাজ তদারকি করেন। ফলে তারা চাইলেও বিশৃংখল হয়ে উঠতে পারে না। কর্মীদের কাজে শ্রম বণ্ঠন করার মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কেউ সেলাই করে, কেউ বোতাম লাগায়, আবার কেউ পোশাকের বিভিন্ন অংশ তৈরি করে। তাই যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহারও এক্ষেত্রে হয়। এতো গেল শ্রম বণ্টনের ব্যপার। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা বোঝা যাচ্ছে। তবে মিলিত মতিষ্ক বলতে যা বুঝায় তা ঠিক এটা নয়।
মিলিত মস্তিষ্কের কথা বলতে গেলেই আসে টিমওয়ার্কের কথা। যেমন- একটি গবেষণা দল। একাধিক বিজ্ঞানী মিলে একসাথে একই কাজ করে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন এরকম ঘটনা অতীতে আমরা অনেক দেখেছি। ওয়াটসন ও ক্রিক দুই জনের যৌথ প্রচেষ্টায় ডিএনএ অণুর গঠন বের করা সম্ভব হয়েছে। একটা গাণিতিক সমস্যা হয়ত একা একজনের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু একাধিক মানুষ একসাথে বসে সংঘবদ্ধ উপায়ে সেটার বিভিন্ন অংশ সমাধান করে পুরো সমস্যাই সমাধান করে ফেলতে পারে। আজকের মানব সভ্যতার বেশিরভাগ নিদর্শনই বহু মস্তিষ্কের উদ্ভাবন। একা একজন মানুষ হয়ত একটা পিপীলিকার মতই অসহায়। কিন্তু বহু মানুষ একসাথে হলে তারা শুধুমাত্র বড় বড় কাজই করতে পারে না। বরং এমন চিন্তা করতে পারে যা একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন অনেক বড় হয়ে যায়, তার সমস্যাগুলো তখন আর একজনের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হয় না। তাই একাধিক ব্যক্তির মালিকানা এক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাল উপায়। তবে একাধিক ব্যক্তির একসাথে হওয়া একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসও করে ফেলতে পারে। অনেক ব্যক্তি একসাথে হলেই দারুণ কাজ হবে এমন কথা নেই। এক্ষেত্রে অবশ্য একটি কথা প্রচলিত আছে - একটা দারুণ দল তৈরির জন্য দারুণ সদস্যের দরকার। দারুণ ব্যক্তিসমুহের সমষ্টিতেই সম্ভব দারুণ একটি দল তৈরি হওয়া। তবে সেই দলের মধ্যে সঠিক এবং যথাযথ যোগাযোগের দরকার আছে। আর এই যোগাযোগ বজায় রাখতে বেশি ভূমিকা রাখে দলের মধ্যে নেতৃত্ব গূণ সম্বলিত ব্যক্তি। নেতৃত্ব দিতে হলে উচুঁ পদমর্যাদায় থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। তা একই পদমর্যাদায় ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোন একজনও প্রদর্শন করতে পারে।