সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে দুটি পর্যবেক্ষণ

বিশ্বকাপটা এবার একটু অন্যরকম। এমন একটা দেশে বসে বিশ্বকাপ দেখছি যারা নিজেরাই বিশ্বকাপে খেলছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল বিশ্বকাপের কোন শোরগোল এখানে নেই।


রোহিঙ্গা সমস্যা

১। আমাদের ভাগ্য এতটাই খারাপ যে, আমাদের দেশের মাত্র দুইটা প্রতিবেশী। তার মধ্যে একটা আগ্রাসী, অন্যটা অমানবিক।

ষোড়শ সংশোধনী

আমরা খুবই ইমোশনাল জাতি। তাই নিজেদের যেটা ভাল লাগে সেটাকে ঠিক বলি। আর যেটা ভাল লাগে না সেটাকে খারাপ বলি। কিন্তু ইমোশন দিয়ে সবকিছু চলে না। বিশেষ করে আইন-আদালত তো নয়ই।
কিন্তু ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে আদালতকে যথেষ্ঠ আবেগপূর্ণ মনে হয়েছে। সাথে সাথে আমরা জনগণও আবেগের বশোবর্তী হয়ে একে অপরকে গালাগালি করে যাচ্ছি।

লোভী ডাক্তার?

একটা পাবলিক পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নে 'লোভী ডাক্তার' বিষয়টি নিয়ে বেশ তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। একটি সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক দেয়া হয়েছে এমনঃ "জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সব সময় অর্থের পিছনে ছুটতেন। এক সময় গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পদ সব কিছুর মালিক হন। তবুও তার চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু সগীর সাহেব তাঁর ধন-সম্পদ থেকে বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই।"

শিক্ষকের কানে ধরা

নারায়ণগঞ্জে একজন শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অনেক লজ্জার বিষয়। শুধু একজন শিক্ষককেই না, যে কাউকে কান-ধরে উঠবস করানোই অনেক অপমানের একটি বিষয়।

গবেষণাপত্রঃ গুজব বা হাইপের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে গণিতের ব্যবহার

সুচনাঃ গুজবে কান দিয়ে চলা আমাদের সমাজের অনেক পুরাতন বিষয়। যখন একটা হাইপ ওঠে তখন সবাই সেদিকে ছোটে। কেউ যদি হাইপের বিপরীতে চলতে চায় তাকেও আটকে দেওয়া হয়। কেউ যুক্তির কথা বললে তার কথা কেউ শোনে না। এজন্য আমাদের দেশে কোন কিছু করতে গেলে হাইপের বিষয়টা বিশেষ মাথায় রাখতেই হয়। হাইপ বিষয়ে আরও বলার আগে এর সংজ্ঞা পরিষ্কার করা জরুরী। একটি ঘটনা হঠাত সংঘটিত হয়ে জনগণের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়ে আবার কিছুদিন পর বিস্মৃত হয়ে গেলে, তাকে হাইপ বলে। হাইপের একটা সমস্যা আছে। এর লং-টার্ম ভবিষ্যত খুবই অনিশ্চিত। হাইপ বেশিরভাগ সময় অপরিকল্পিতভাবে বাইচান্স হয়ে যায়। সাধারণত, কারও চিন্তা ভাবনায় একটি হাইপ গড়ে ওঠেনা। ট্রায়াল-ইরর করে করে হাইপগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়। এই যেমন তনু হত্যার বিচার চেয়ে কিছুদিন আগে একটা হাইপ দেখা গেল। অন্য অনেক হত্যায় কোন হাইপ হয় নি। টাইমিংও বড় একটা ফ্যাক্টর। কোন ঘটনার ঠিক আগে অন্য কোন হাইপ ছিল কিনা তার উপর নির্ভর করে ঘটনাটি হাইপে পরিণত হবে কিনা। কোন হাইপের ঠিক কত পরে আর একটা হাইপ হবে তার উপর নির্ভর করে মূল হাইপটি কত স্থায়ী হবে। স্বাভাবিকভাবেই, তনুহত্যা বিচারের হাইপ এখন আর নাই। এসব পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে এবং সমাজে প্রচলিত কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে আলোচ্য গবেষণাপত্রে হাইপের গাণিতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হল।

হত্যা !!

একজন মানুষকে কেউ যখন হত্যা করে তখন কি তার হাত একটিবারের জন্যও কাঁপে না? আমার মত সাধারণ যেকোন মানুষ হলেই কাঁপার কথা। শুধুমাত্র মানসিকভাবে অসুস্থ (সাইকোপ্যাথ) হলে কারও পক্ষে অন্যকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা সম্ভব। একবার চিন্তা করে দেখেন আপনি কাউকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছেন, বা গলা টিপে ধরছেন আর তার প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরে সে মরা লাশ। একবার শুধু এই দৃশ্যটি কল্পনা করেন। এই কাজ কি আপনার পক্ষে করা সম্ভব? আমরা তো স্বাভাবিক মৃত্যুতেও অনেক দুঃখ পাই।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক দুঃশ্চিন্তা

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যত কি? যে দ্রুত এই ফিল্ড আগায় যাচ্ছে তাতে খুব দ্রুতই বোধ হয় মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তার কম্পিউটার তৈরি হবে। সব বড় বড় কোম্পানি গুগল, মাইক্রোসফট, এমনকি এনভিডিয়াও এই বিষয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগ করছে। করবেই না কেন এটাই যে হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি।

সায়েন্স ম্যাগাজিনের প্রতি সংখ্যায় একটা না একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খবর থাকবেই। এই বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জনপ্রিয় তা বোঝা যায় কম্পিউটার সায়েন্সের ছেলেদের রিসার্চ ইন্টারেস্ট চিন্তা করলে। ভাবেন তো, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের সবচেয়ে মেধাবীদের কত ভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে? উত্তর হল তারা সবাই। এই যখন অবস্থা এই ফিল্ড যে হু হু করে দ্রুত বেগে আগাবে তাতে সন্দেহ নাই।

পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা কেন!

আজকের বাংলাদেশের ফেসবুক ট্রেন্ড প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এরশাদ নতুন আরেকটি বিয়ে করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক এডভোকেটকে। হাহা চাচা বড়ই রসিক ব্যাক্তি। তিনি পারেনও।

এদিকে কিছু বাঙালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখ আয়োজনের বিরুদ্ধের ফেসবুকে ইভেন্ট খুলেছে। এখন কিছু হলে বা না হলে মানুষ ইভেন্ট খোলে। যেমন- আজ গরীব হলে, একদিন বড়লোক হলে, ক্রাশকে পেলে ইত্যাদি। সর্বশেষ বিজাতীয় ফেসবুক ব্যবহার করে ইভেন্ট খোলা হয়েছে- "পহেলা বৈশাখে বিজাতীয় সংস্কৃতি "মঙ্গল শোভাযাত্রাকে" না বলুন। ভাবতেছি মানুষের এত স্বদেশপ্রেম একটা দেশীয় সোস্যাল মিডিয়া বানিয়ে দেখতে হবে কয়জন ব্যবহার করে।

কিছু না বলে থাকতে পারলাম না। তাই, ওই ইভেন্ট পেজে গিয়ে নিচের কমেন্টটি দিলাম---

ছাড়পোকা থেকে রক্ষা পেতে (বিশেষ করে হলবাসীদের জন্য)

ছাড়পোকা নিয়ে অনেকের বেশ কিছু মজ়ার অভিজ্ঞতা চোখে পড়ে অনেক ব্লগে। এটা মানুষের জ়ীবনের সাথে কত ঘনিষ্টভাবে জড়িত সেটা বোঝা যায় এই ইংরেজী বচন শুনলে, "good night, sleep tight and don't let the bed bug bite"।

এটি মানুষের অন্যতম বহিঃপরজীবী। বিছানা, তোশক ইত্যাদি যেখানে রাতে ঘুমান হয় সে সব জায়গায় মুলত এরা বসবাস করে এবং ডিম পাড়ে। মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।

গুগল করলে দেখা যায় এটা মানুষের জীবন-যাত্রায় অন্যতম সমস্যা। এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি রক্ষা পাওয়াও কঠিন।