যারা বাংলার সিনেমার খবর নিয়মিত রাখেননা তাদের কাছে হয়ত এই খবরটি শকিং যে অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের একটি সন্তানও আছে।
কিন্তু যারা বাংলা সিনেমার খবর নিয়মিত ফলো করেন তারা বহুদিন থেকে এই ধারণা করে আসছেন যে বাংলা সিনেমার সেরা এই জুটি বিবাহিত। আমারও তাই ধারণা ছিল। কারণ এই জুটির একটি সিনেমা হলে গিয়ে দেখলেও আমি নিয়মিত এদের খবর রাখতাম।
সিনেমা জগতে এমন খবর খুবই নিয়মিত। ক্যারিয়ারের খাতিরে তারকারা বিশেষ করে নায়িকারা তাদের বিয়ে ও সংসারের খবর প্রায়ই চেপে যান। কারণ স্পষ্ট। দর্শক অবিবাহিত নায়িকার সিনেমা দেখতেই বেশি পছন্দ করে।
অপু বিশ্বাস তাঁর সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, হঠাৎ সবকিছু ফাঁস করে দেওয়ার মূল কারণ বুবলি। শাকিব কেন বুবলির সাথে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিল। কিন্তু আমাদের তথাকথিত ভদ্র সমাজ অপু বিশ্বাসের এই সাক্ষাৎকারকে দেখছেন নারী আন্দোলনের চেতনা হিসেবে এবং নারীর প্রতি পুরুষের দীর্ঘদিনের শোসনের প্রতীক হিসেবে।
এটা ঠিক আমাদের সমাজে নারীরা পিছিয়ে আছে। কিন্তু এখানে নারীর শোসনের যে উদাহরণটা দেয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। এই রকম ভুল জিনিসের সাথে ভুল বিষয়কে জড়ালে অনেক সময় সমাজের আসল সমস্যার ধরণ ঢাকা পরে যায়।
আমাদের প্রশ্ন করা উচিৎ একজন অভিনেত্রী কেন তাঁর বিয়ের কথা গোপন না করলে আমরা তাঁর অভিনয় দেখতে চাই না। কেন তিনি বিয়ের পাশাপাশি এই পেশায় কাজ করতে পারেন না। যদি পারতেন তাহলে অপু বিশ্বাসকে এতদিন এতকিছু গোপন করতে হত না।
একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে, বুবলি হয়ত অপু বিশ্বাসের জায়গাটা নিতে যাচ্ছেন এবং অপু বিশ্বাস সেটা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তিনি নিজেই কিছুদিনের মধ্যে ফিট হয়ে সিনেমা জগতে ফিরে আসতে চান। সব নায়িকার জীবনে এমন সময় আসে। যখন তাকে অন্যের জন্য স্থানটা ছেড়ে দিতে হয় কিন্তু তিনি সেটা দিতে চাননা। অপু বিশ্বাসও হয়ত এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য সময় হলে হয়ত বিষয়টি গোপনই থাকত। কিন্তু সবকিছু চেঞ্জ করে দিয়েছে শাকিব আর অপুর সন্তান। সন্তানের কথা ভেবেই হয়ত, পেশাদার অপু বিশ্বাস তাঁর গোপনীয়তার খোলস আর ধরে রাখতে পারেননি। সবার কাছে বলেছেন, নিজের সন্তানের কথা।
ভালো লাগছে, সবশেষে একজন মায়ের জয় হয়েছে একজন অভিনেত্রীর কাছে। আবেগের জয় হয়েছে পেশাদারিত্বের কাছে। কারণ দিনশেষে এই মানবিক অনুভূতিগুলোই অনেক দামী। মানবতার জন্যও এগুলোর গুরুত্ব অন্য যেকোন কিছুর থেকে অনেক বেশি।
এখন শাকিব, অপু বা বুবলিকে জাজ না করে আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাজ করি তাহলেই সবকিছু ভালমত চলবে।
মঞ্জিলুর রহমান
সামারটাউন, অক্সফোর্ড
কিন্তু যারা বাংলা সিনেমার খবর নিয়মিত ফলো করেন তারা বহুদিন থেকে এই ধারণা করে আসছেন যে বাংলা সিনেমার সেরা এই জুটি বিবাহিত। আমারও তাই ধারণা ছিল। কারণ এই জুটির একটি সিনেমা হলে গিয়ে দেখলেও আমি নিয়মিত এদের খবর রাখতাম।
সিনেমা জগতে এমন খবর খুবই নিয়মিত। ক্যারিয়ারের খাতিরে তারকারা বিশেষ করে নায়িকারা তাদের বিয়ে ও সংসারের খবর প্রায়ই চেপে যান। কারণ স্পষ্ট। দর্শক অবিবাহিত নায়িকার সিনেমা দেখতেই বেশি পছন্দ করে।
অপু বিশ্বাস তাঁর সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, হঠাৎ সবকিছু ফাঁস করে দেওয়ার মূল কারণ বুবলি। শাকিব কেন বুবলির সাথে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিল। কিন্তু আমাদের তথাকথিত ভদ্র সমাজ অপু বিশ্বাসের এই সাক্ষাৎকারকে দেখছেন নারী আন্দোলনের চেতনা হিসেবে এবং নারীর প্রতি পুরুষের দীর্ঘদিনের শোসনের প্রতীক হিসেবে।
এটা ঠিক আমাদের সমাজে নারীরা পিছিয়ে আছে। কিন্তু এখানে নারীর শোসনের যে উদাহরণটা দেয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। এই রকম ভুল জিনিসের সাথে ভুল বিষয়কে জড়ালে অনেক সময় সমাজের আসল সমস্যার ধরণ ঢাকা পরে যায়।
আমাদের প্রশ্ন করা উচিৎ একজন অভিনেত্রী কেন তাঁর বিয়ের কথা গোপন না করলে আমরা তাঁর অভিনয় দেখতে চাই না। কেন তিনি বিয়ের পাশাপাশি এই পেশায় কাজ করতে পারেন না। যদি পারতেন তাহলে অপু বিশ্বাসকে এতদিন এতকিছু গোপন করতে হত না।
একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে, বুবলি হয়ত অপু বিশ্বাসের জায়গাটা নিতে যাচ্ছেন এবং অপু বিশ্বাস সেটা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তিনি নিজেই কিছুদিনের মধ্যে ফিট হয়ে সিনেমা জগতে ফিরে আসতে চান। সব নায়িকার জীবনে এমন সময় আসে। যখন তাকে অন্যের জন্য স্থানটা ছেড়ে দিতে হয় কিন্তু তিনি সেটা দিতে চাননা। অপু বিশ্বাসও হয়ত এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য সময় হলে হয়ত বিষয়টি গোপনই থাকত। কিন্তু সবকিছু চেঞ্জ করে দিয়েছে শাকিব আর অপুর সন্তান। সন্তানের কথা ভেবেই হয়ত, পেশাদার অপু বিশ্বাস তাঁর গোপনীয়তার খোলস আর ধরে রাখতে পারেননি। সবার কাছে বলেছেন, নিজের সন্তানের কথা।
ভালো লাগছে, সবশেষে একজন মায়ের জয় হয়েছে একজন অভিনেত্রীর কাছে। আবেগের জয় হয়েছে পেশাদারিত্বের কাছে। কারণ দিনশেষে এই মানবিক অনুভূতিগুলোই অনেক দামী। মানবতার জন্যও এগুলোর গুরুত্ব অন্য যেকোন কিছুর থেকে অনেক বেশি।
এখন শাকিব, অপু বা বুবলিকে জাজ না করে আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাজ করি তাহলেই সবকিছু ভালমত চলবে।
মঞ্জিলুর রহমান
সামারটাউন, অক্সফোর্ড