বিশ্বকাপটা এবার একটু অন্যরকম। এমন একটা দেশে বসে বিশ্বকাপ দেখছি যারা
নিজেরাই বিশ্বকাপে খেলছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল বিশ্বকাপের কোন শোরগোল
এখানে নেই।
সবাই খেলা দেখে। সেটা নিয়ে কথা বলে। কিন্তু মাতামাতি নেই তেমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও বাংলাদশের চেয়ে কম। আর কোন টিমের পতাকা নেই কোন বাড়ির ছাদে।
ইংল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার সময়ের পার্থক্য নেই বললেই চলে। তাই রাত জেগে খেলা দেখতে হয়না। প্রতিদিন বিকেলে বাসায় ফিরে টিভি ছেড়ে দেই। আর রেস্ট নিতে নিতে ম্যাচ দেখি।
সবাই খেলা দেখে। সেটা নিয়ে কথা বলে। কিন্তু মাতামাতি নেই তেমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও বাংলাদশের চেয়ে কম। আর কোন টিমের পতাকা নেই কোন বাড়ির ছাদে।
ইংল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার সময়ের পার্থক্য নেই বললেই চলে। তাই রাত জেগে খেলা দেখতে হয়না। প্রতিদিন বিকেলে বাসায় ফিরে টিভি ছেড়ে দেই। আর রেস্ট নিতে নিতে ম্যাচ দেখি।
ইংল্যান্ডে আছি বলে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করছি এবার।
যাই হোক বিশ্বকাপ নিয়ে দুটি পর্যবেক্ষণ লেখব বলে শুরু করেছিলাম।
প্রথম পর্যবেক্ষণটি আজকের ম্যাচ নিয়ে। আজকের আর্জেন্টিনা - নাইজেরিয়ার খেলা আরেকটু হলেই ড্র হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খেলা শেষের কিছুক্ষন আগে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় রোহো গোল করে তার দলকে জিতিয়ে দেয়। রোহো একজন ডিফেন্ডার। ডিফেন্ডার হয়ে গোল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে রোহো যেকারণে অন্যদের থেকে আলাদা তার কারণ হল সে বাম দিক থেকে আক্রমণ করে ডি বক্সে ঢুকে পরে। এরপর বল মাঠের মধ্যভাগে চলে গেলেও সে ফিরে না গিয়ে ডি বক্সেই বলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডান দিক থেকে একটা ক্রস আসে। আর বক্সে ওৎ পেতে থাকা রোহো গোল দেয়। সত্যি বলতে আর্জেন্টিনার জন্য ততক্ষণে 'ডু অর ডাই সিচুয়েশন'। রোহো যদি ডিফেন্ডার হিসেবে নিয়মমতো রক্ষণভাগে চলে যেত তাতে নির্ঘাত ম্যাচ হেরে যেত। বরং নিয়মের বাইরে গিয়েছে বলেই দারুন কিছু করতে পেরেছে। এ থেকে একটা শিক্ষা হল, সব সময় গৎ বাধা নিয়মে চলতে হয়না। মাঝে মাঝে বৃহৎ স্বার্থে অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একারণে ক্লাসের দুষ্ট ছেলেরা অনেক ক্ষেত্রেই দারুন কিছু করে ফেলে। রোহো আজকের ম্যাচের দুষ্ট ছেলে।
যাই হোক বিশ্বকাপ নিয়ে দুটি পর্যবেক্ষণ লেখব বলে শুরু করেছিলাম।
প্রথম পর্যবেক্ষণটি আজকের ম্যাচ নিয়ে। আজকের আর্জেন্টিনা - নাইজেরিয়ার খেলা আরেকটু হলেই ড্র হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খেলা শেষের কিছুক্ষন আগে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় রোহো গোল করে তার দলকে জিতিয়ে দেয়। রোহো একজন ডিফেন্ডার। ডিফেন্ডার হয়ে গোল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে রোহো যেকারণে অন্যদের থেকে আলাদা তার কারণ হল সে বাম দিক থেকে আক্রমণ করে ডি বক্সে ঢুকে পরে। এরপর বল মাঠের মধ্যভাগে চলে গেলেও সে ফিরে না গিয়ে ডি বক্সেই বলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডান দিক থেকে একটা ক্রস আসে। আর বক্সে ওৎ পেতে থাকা রোহো গোল দেয়। সত্যি বলতে আর্জেন্টিনার জন্য ততক্ষণে 'ডু অর ডাই সিচুয়েশন'। রোহো যদি ডিফেন্ডার হিসেবে নিয়মমতো রক্ষণভাগে চলে যেত তাতে নির্ঘাত ম্যাচ হেরে যেত। বরং নিয়মের বাইরে গিয়েছে বলেই দারুন কিছু করতে পেরেছে। এ থেকে একটা শিক্ষা হল, সব সময় গৎ বাধা নিয়মে চলতে হয়না। মাঝে মাঝে বৃহৎ স্বার্থে অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একারণে ক্লাসের দুষ্ট ছেলেরা অনেক ক্ষেত্রেই দারুন কিছু করে ফেলে। রোহো আজকের ম্যাচের দুষ্ট ছেলে।
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ আমাদের নিজেদের নিয়ে। আমরা কেন বিশ্বকাপ নিয়ে এত
মাতামাতি করি? মেসি রোনালদোকে নিয়ে লাফালাফি করি? একে তো আমাদের দেশ ফুটবল
খেলে না, তারসাথে মেসি রোনালদোও আমাদের দেশের নয়। আমার মতে, এর একটা কারণ
হল আমাদের জীবনে উৎসাহ খোঁজার মত উৎসের অভাব। আমরা নিজেরা বেশিরভাগ কাজেই
ভাল নই। তাই অন্য দেশের খেলোয়াড়রা দারুন কিছু করলেও আমরা সেখান থেকে উৎসাহ
খোঁজার চেষ্টা করি। আর একটা কারণ হল, আমাদের সমাজের সব কিছুতেই বিশৃঙ্খলা।
কোন কিছুকেই ভরসা বা বিশ্বাস করা যায় না। বাস ঠিক সময়ে আসে না। পরীক্ষা ঠিক
সময়ে হয় না। কোন অফিসে গেলে কাজ ঠিকমত হয়না। এতে আমরা অনেক হতাশ থাকি। তাই
এমন কিছু খুঁজতে থাকি যাতে আস্থা রাখা যায়। ফুটবল বিশ্বকাপ এরকম একটা
আস্থার জায়গা। ঠিক চার বছর পর পর এটা ফিরে আসে। সব কিছু চকচকে ঝকঝকে। সব
কিছুতে অনেক উত্তেজনা কিন্তু বিশৃঙ্খলা নেই। এরকম জিনিসের প্রতি আস্থা তৈরি
হওয়াই স্বাভাবিক। তাছাড়া এই একটা জিনিস সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে একাত্ম
হয়ে বন্ধু বান্ধব সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা যায়। ফলে ফুটবল বিশ্বকাপ চুড়ান্ত
আবেগের জায়গা ধারণ করে।