একটা সময় নির্ঝঞ্জাট ছিল জীবন
অনুভূতিগুলো ছিল সাদামাটা আর জটিলতাহীন।
এখন বদলে গেছে সব, অনুভূতির ধরণ-ধারণ
প্রাণের তারনা হারিয়ে কুটীলতা আর কৃত্রিমতায়।
মানুষ এককালে অন্যদের সাথে কথা বলত
সাধারণ বিষয় নিয়ে, কি খাচ্ছে, কি দাচ্ছে এসব।
সিনেমায় দেখা যেত নায়ক নায়িকাকে প্রশ্ন করছে
কি তার প্রিয় রঙ, কে তার প্রিয় কবি।
প্রেমিকারা একসময় প্রেমিকের হাত ধরে
হাটত সবুজ ঘাসে আর পার করে ফেলত সময়।
উদ্দেশ্যহীন আলাপ-আলোচনাগুলো ঘিরে
সাফল্য না থাকলেও সুখ থাকত ঠিকই।
জীবন একসময় আবর্তিত হত ছোট পরিসরে
সবাই নিজেদের ভেতর গড়ে তুলত তাদের
স্বপ্ন সুন্দর পৃথিবী। সেই স্বপ্নে বিভোড় থেকে
বড় বড় অনেক কিছুই করে ফেলত তারা।
এখন কাজের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ঢাক-ঢোলের
কথার চেয়ে বক্তৃতা দিতেই এখব সবাই পটু
তাইতো বিস্তৃত জীবনে এত কিছুর মাঝেও
আত্মার শান্তিটুকু খূঁজে পায়না অনভ্যস্ত অনেকে।
মানুষ এখন বড়-বেশি হিসেবি আর সচেতন
ওয়েল অর্গানাইজড বলে সবকিছু ছকে বাধা
স্মার্টফোনের ক্যালেন্ডারে জমা রাখা রুটিন
অনুযায়ী সবার চালন চলন হয় নিয়ন্ত্রিত।
সামাজিকতার প্রধান বাহন এখন ইন্টারনেট
সোস্যাল মিডিয়ায় লিখে আর ছবি পোস্ট করেই
অপরকে জানান দেয় নিজের অস্তিত্ব
নিজের বিবেক বুদ্ধি আর মেধা প্রকাশ পায় তাতে।
ব্যক্তিত্বের পর্দা মেকাপের বাইরে এখন
ক্যামেরার ফিল্টারের উপরও নির্ভর করে
মেগাপিক্সেল তো বেশি হতে হবেই তবে
পোস্ট করার আগে ছবিটা রিটাচ করা চাই।
মতামত দিতেই হবে, নিজের অথবা অপরের বিষয়ে।
আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে সক্রিয় দুর্নিবার আন্দোলন
হবে নিজের ইজ্জত আর সাথে তালগাছ বাঁচাতে
সব কিছুর পর দিনশেষে প্রাপ্তি তাই তালগাছ।
একই মতামতের মানুষই শুধু সহাবস্থান করে
বহুদেহ একপ্রাণ, এককথা তাদের, একই সবকিছু
সম্ভবত একটাই মাথা। বহুদেহের একমাথা
তাতেও দিব্বি কাজ চলে যায় ঝামেলা ছাড়া।
ঝগড়ার প্রয়োজনে একহয় অনেকে, সংঘবদ্ধভাবে
গড়ে ওঠে বড় বড় গ্রুপ বা সিউডো-সোসাইটি
তাদের উচ্ছন্নে যাওয়া তর্কের প্রহসন হয়
সাধারণ মানুষগুলো যারা উতসুক চোখে দেখে সব।
বহুদিন আগে একটা সময় ছিল যেখন স্বপ্নগুলো
ছিল সাদামাটা। সেই স্বপ্নে নীল আকাশ থাকত
সবু ঘাস থাকত, প্রবাহিত নদী থাকত আর থাকত
অনেক পাখি যারা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ায়।
সেই স্বপ্নগুলোয় আরো থাকত মানুষ, কাছের মানুষ
হাসি থাকত, তাদের আনন্দ কান্না থাকত
এখন স্বপ্ন-জাগরণ পুরোটাই শুধু ফেসবুক লাইকের
চিন্তায় বিভোড়, আর অন্যের মন জয় করায়।
কিছু মানুষ তারপরও দলছুট হয়ে পুরান মানসিকতা
নিয়েই বেচে থাকতে চায়, দেখে খুব সাধারণ স্বপ্ন।
প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে আকাশ দেখে যাবে
যে আকাশে থাকবে অনেক পাখি, মগ্ন থাকবে তাতে।
পাদটীকাঃ
দুষ্টুমিতে ভরা তুমি ছিলে বলেই
আমার উচ্ছলতাগুলো বেঁচে ছিল।
অনুভূতিগুলো ছিল সাদামাটা আর জটিলতাহীন।
এখন বদলে গেছে সব, অনুভূতির ধরণ-ধারণ
প্রাণের তারনা হারিয়ে কুটীলতা আর কৃত্রিমতায়।
মানুষ এককালে অন্যদের সাথে কথা বলত
সাধারণ বিষয় নিয়ে, কি খাচ্ছে, কি দাচ্ছে এসব।
সিনেমায় দেখা যেত নায়ক নায়িকাকে প্রশ্ন করছে
কি তার প্রিয় রঙ, কে তার প্রিয় কবি।
প্রেমিকারা একসময় প্রেমিকের হাত ধরে
হাটত সবুজ ঘাসে আর পার করে ফেলত সময়।
উদ্দেশ্যহীন আলাপ-আলোচনাগুলো ঘিরে
সাফল্য না থাকলেও সুখ থাকত ঠিকই।
জীবন একসময় আবর্তিত হত ছোট পরিসরে
সবাই নিজেদের ভেতর গড়ে তুলত তাদের
স্বপ্ন সুন্দর পৃথিবী। সেই স্বপ্নে বিভোড় থেকে
বড় বড় অনেক কিছুই করে ফেলত তারা।
এখন কাজের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ঢাক-ঢোলের
কথার চেয়ে বক্তৃতা দিতেই এখব সবাই পটু
তাইতো বিস্তৃত জীবনে এত কিছুর মাঝেও
আত্মার শান্তিটুকু খূঁজে পায়না অনভ্যস্ত অনেকে।
মানুষ এখন বড়-বেশি হিসেবি আর সচেতন
ওয়েল অর্গানাইজড বলে সবকিছু ছকে বাধা
স্মার্টফোনের ক্যালেন্ডারে জমা রাখা রুটিন
অনুযায়ী সবার চালন চলন হয় নিয়ন্ত্রিত।
সামাজিকতার প্রধান বাহন এখন ইন্টারনেট
সোস্যাল মিডিয়ায় লিখে আর ছবি পোস্ট করেই
অপরকে জানান দেয় নিজের অস্তিত্ব
নিজের বিবেক বুদ্ধি আর মেধা প্রকাশ পায় তাতে।
ব্যক্তিত্বের পর্দা মেকাপের বাইরে এখন
ক্যামেরার ফিল্টারের উপরও নির্ভর করে
মেগাপিক্সেল তো বেশি হতে হবেই তবে
পোস্ট করার আগে ছবিটা রিটাচ করা চাই।
মতামত দিতেই হবে, নিজের অথবা অপরের বিষয়ে।
আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে সক্রিয় দুর্নিবার আন্দোলন
হবে নিজের ইজ্জত আর সাথে তালগাছ বাঁচাতে
সব কিছুর পর দিনশেষে প্রাপ্তি তাই তালগাছ।
একই মতামতের মানুষই শুধু সহাবস্থান করে
বহুদেহ একপ্রাণ, এককথা তাদের, একই সবকিছু
সম্ভবত একটাই মাথা। বহুদেহের একমাথা
তাতেও দিব্বি কাজ চলে যায় ঝামেলা ছাড়া।
ঝগড়ার প্রয়োজনে একহয় অনেকে, সংঘবদ্ধভাবে
গড়ে ওঠে বড় বড় গ্রুপ বা সিউডো-সোসাইটি
তাদের উচ্ছন্নে যাওয়া তর্কের প্রহসন হয়
সাধারণ মানুষগুলো যারা উতসুক চোখে দেখে সব।
বহুদিন আগে একটা সময় ছিল যেখন স্বপ্নগুলো
ছিল সাদামাটা। সেই স্বপ্নে নীল আকাশ থাকত
সবু ঘাস থাকত, প্রবাহিত নদী থাকত আর থাকত
অনেক পাখি যারা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ায়।
সেই স্বপ্নগুলোয় আরো থাকত মানুষ, কাছের মানুষ
হাসি থাকত, তাদের আনন্দ কান্না থাকত
এখন স্বপ্ন-জাগরণ পুরোটাই শুধু ফেসবুক লাইকের
চিন্তায় বিভোড়, আর অন্যের মন জয় করায়।
কিছু মানুষ তারপরও দলছুট হয়ে পুরান মানসিকতা
নিয়েই বেচে থাকতে চায়, দেখে খুব সাধারণ স্বপ্ন।
প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে আকাশ দেখে যাবে
যে আকাশে থাকবে অনেক পাখি, মগ্ন থাকবে তাতে।
পাদটীকাঃ
দুষ্টুমিতে ভরা তুমি ছিলে বলেই
আমার উচ্ছলতাগুলো বেঁচে ছিল।