উদযাপন না থাকলেও বছর তো শুরু হল। সেই উপলক্ষে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই একটা উৎসবই বাঙালিদের উৎসব। বাঙালিদের কখনও জোড় করে একই রঙের একই ধরণের কাপড় পড়ানো যায় না। স্কুলে ইউনিফর্ম থাকলে সেটাও সবাই পরতে চায় না। সবাই নিজেকে আলাদা দেখাতে চায়। আর গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হওয়ায় নীল-সবুজ-হলুদ বিভিন্ন রঙের পোশাক পড়ায় অভ্যস্থ আমরা। অন্তত এই একটা দিন লাল-সাদা রঙের পোশাকে সব মানুষকে ঢাকার রাস্তায় দেখা যায়। অন্যসময়ের হিজিবিজি দৃশ্যের জায়গায় এটা চোখ জুড়ানো একটা দৃশ্য।
অনেকে নববর্ষের সকালে পান্তাভাত খাওয়াকে দোষনীয় মনে করে। যে এটা নিজেকে
একদিনের বাঙালি বানানো। কিন্তু আমরা তো প্রতিদিনই বাঙালি। বিশেষ দিনে এই
একটা কাজ করার উদ্দেশ্য হল আমাদের শিকড়কে খোঁজার চেষ্টা। নিজেদের অতীতকে
ধরে রাখার চেষ্টা। প্রতিদিন পান্তাভাত খাওয়া বাস্তবিক না। অন্তত একটা দিন
পান্তা ভাত খেয়ে মানুষের যদি মনে পড়ে অন্য জাতি থেকে তাদের স্বকীয়তা কি
তাহলে ক্ষতি কি?
শুভ নববর্ষ।
শুভ নববর্ষ।