নিউ ইয়র্ক ঘোরাঘুরি শেষ করে বাল্টিমোরে যাচ্ছি।
আজকের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রজ্জল আর ঝলমলে। গত দুইদিন এমন মেঘলা আবহাওয়া ছিল যে আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলোর মাথা দেখা যাচ্ছিল না।
নিউ ইয়র্কে ছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক। ইউনিভার্সিটির হাউজিং এর একটা ফ্ল্যাটে থাকে। ঘোরাঘুরি যা করেছি সব ম্যানহাটন এলাকায়।
প্রথম দিন পৌঁছেই বন্ধুর সাথে রাতের বেলা ঘুরতে বেড়িয়েছি। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মাঝ দিয়ে হেঁটে একটা বারে গেলাম। সেখানে লাইভ জ্যাজ আর অনেক গেম খেলার ব্যবস্থা। পুরো সময় সেখানে কাটিয়ে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পাশের একটা ফুড কার্ট থেকে গীরো (অনেকে বলে জাইরো, কেউ বলে জিরো, সঠিক উচ্চারণ কি আমি জানি না) খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম।
পর দিন ঘুম থেকে উঠে হাঠতে বেড়িয়েছি। সেন্ট্রাল পার্ক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গাগেনহাইম মিউজিয়ামে গেছি। এটাই আমার প্রথম কোন গাগেনহাইম মিউজিয়ামে যাওয়া। মোট তিনটি গাগেনহাইম মিউজিয়াম আছে। একটা নিউ ইয়র্কে, একটা বিলবাওয়ে আর একটা রোমে। ড্যান ব্রাউনের সর্বশেষ বইয়ে বিলবাওয়েরটার কথা আছে। সেখান থেকেই আমার এই মিউজিয়াম সমন্ধে আগ্রহ জাগে। গত গ্রীষ্মে বিলবাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও যাওয়া হয়নি। তাই নিউ ইয়র্ক গাগেনহাইমে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।
মিউজিয়ামে টিকেট কেটে ক্যাফেতে গেলাম সকালের নাস্তার জন্য। কারণ ক্ষুধায় ততক্ষনে অবস্থা কাহিল। একটা ক্রোসন্ত আর একটা কফি নিয়ে বসলাম ক্যাফেতে। ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে ভাবলাম ল্যাপটপ খুলে মেইল চেক করি। কি মনে করে আমার কাজের ফোল্ডার চেক করতে গিয়ে দেখি একটা ফাইল ভুলে ডিলিট করে ফেলেছি। তাই মিউজিয়ামের বসেই সেই কাজ আবার করতে লেগে গেলাম। দুই ঘন্টা পর কাজ শেষ করে এগজিবিসন দেখতে গেলাম।
সুইডেনের আর্টিস্ট হিলমা আফ ক্লিনটের কাজের এগোজিবিসন চলছিল মূল গ্যালারিতে। গাগেনহাইমের ছয়তলা গ্যালারির পুরোটা আসলে একটা সর্রপিলাকার সিঁড়ির মত। নিচতলা থেকে হাটতে শুরু করলে ঘুরতে ঘুরতে ছয়তলা চলে যাওয়া যায়। ঘুরে ঘুরে সব গুলো চিত্রকর্ম দেখলাম।
হিলমা আফ ক্লিন্টকে এবস্ট্রাক আর্টের অন্যতম প্রথিকৃত বলা হয়। বেশ কয়েকটা ছবি আমার মাথায় এখনও গেথে আছে।
গ্যালারিতে অনেকক্ষন বসে থেকে অন্যান্য প্রদর্শনী গুলোও দেখলাম। নিউইয়র্ক গাগেনহাইমে পিকাসোর আঁকা দি ওম্যান আয়রনিং দেখার সৌভাগ্য হল।
বিকেলে বাসায় ফিরে বন্ধুর সাথে ঘুরতে বের হলাম। পর্যটকরা সাধারণত যা করে সেগুলো করতে বের হলাম আরকি। স্ট্যাচু অব লিবার্টি, টাইমস স্কয়ার, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এ গেলাম। তারপর কোরিয়া টাউনে গেলাম খেতে। একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম যেখানে যত খুশি যেকোন আইটেম নিয়ে ওজন অনুযায়ী দাম দিতে হয়। সব ধরণের আইটেমই ট্রাই করলাম মোটামোটি। এরপর একটা রুফটপ বারে গেলাম যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়।
তারপর এক স্লাইস পিৎজা খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম। নিউ ইয়র্কে পিৎজা খেতে খেতে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া একটা কমন ঘটনা। তাই আমরাও সেটা করলাম।
বাসায় ফিরে ঘুম। আজকে আরো কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে এখন বাল্টিমোরের পথে যাচ্ছি। এখন মাথায় শুধু কাজের চিন্তা। বাল্টিমোরে গিয়ে ঘোরাঘুরি কম আর কাজ বেশি করব।
শহর হিসেবে নিউ ইয়র্ক থাকার জন্য বেশ ভালোই বলা যায়। করার মত অনেক কিছু আছে। ভাল রেস্টুরেন্ট শপিং সেন্টার তো আছেই। তার সাথে ভাল মিউজিয়াম, থিয়েটার আর লাইভ মিউজিকের অভাব নেই। মানুষ কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায় না। সবাই আছে নিজের মত।
- নিউ জার্সির কোন একটা হাইওয়ে
আজকের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রজ্জল আর ঝলমলে। গত দুইদিন এমন মেঘলা আবহাওয়া ছিল যে আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলোর মাথা দেখা যাচ্ছিল না।
নিউ ইয়র্কে ছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক। ইউনিভার্সিটির হাউজিং এর একটা ফ্ল্যাটে থাকে। ঘোরাঘুরি যা করেছি সব ম্যানহাটন এলাকায়।
প্রথম দিন পৌঁছেই বন্ধুর সাথে রাতের বেলা ঘুরতে বেড়িয়েছি। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মাঝ দিয়ে হেঁটে একটা বারে গেলাম। সেখানে লাইভ জ্যাজ আর অনেক গেম খেলার ব্যবস্থা। পুরো সময় সেখানে কাটিয়ে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পাশের একটা ফুড কার্ট থেকে গীরো (অনেকে বলে জাইরো, কেউ বলে জিরো, সঠিক উচ্চারণ কি আমি জানি না) খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম।
পর দিন ঘুম থেকে উঠে হাঠতে বেড়িয়েছি। সেন্ট্রাল পার্ক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গাগেনহাইম মিউজিয়ামে গেছি। এটাই আমার প্রথম কোন গাগেনহাইম মিউজিয়ামে যাওয়া। মোট তিনটি গাগেনহাইম মিউজিয়াম আছে। একটা নিউ ইয়র্কে, একটা বিলবাওয়ে আর একটা রোমে। ড্যান ব্রাউনের সর্বশেষ বইয়ে বিলবাওয়েরটার কথা আছে। সেখান থেকেই আমার এই মিউজিয়াম সমন্ধে আগ্রহ জাগে। গত গ্রীষ্মে বিলবাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও যাওয়া হয়নি। তাই নিউ ইয়র্ক গাগেনহাইমে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।
মিউজিয়ামে টিকেট কেটে ক্যাফেতে গেলাম সকালের নাস্তার জন্য। কারণ ক্ষুধায় ততক্ষনে অবস্থা কাহিল। একটা ক্রোসন্ত আর একটা কফি নিয়ে বসলাম ক্যাফেতে। ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে ভাবলাম ল্যাপটপ খুলে মেইল চেক করি। কি মনে করে আমার কাজের ফোল্ডার চেক করতে গিয়ে দেখি একটা ফাইল ভুলে ডিলিট করে ফেলেছি। তাই মিউজিয়ামের বসেই সেই কাজ আবার করতে লেগে গেলাম। দুই ঘন্টা পর কাজ শেষ করে এগজিবিসন দেখতে গেলাম।
সুইডেনের আর্টিস্ট হিলমা আফ ক্লিনটের কাজের এগোজিবিসন চলছিল মূল গ্যালারিতে। গাগেনহাইমের ছয়তলা গ্যালারির পুরোটা আসলে একটা সর্রপিলাকার সিঁড়ির মত। নিচতলা থেকে হাটতে শুরু করলে ঘুরতে ঘুরতে ছয়তলা চলে যাওয়া যায়। ঘুরে ঘুরে সব গুলো চিত্রকর্ম দেখলাম।
হিলমা আফ ক্লিন্টকে এবস্ট্রাক আর্টের অন্যতম প্রথিকৃত বলা হয়। বেশ কয়েকটা ছবি আমার মাথায় এখনও গেথে আছে।
গ্যালারিতে অনেকক্ষন বসে থেকে অন্যান্য প্রদর্শনী গুলোও দেখলাম। নিউইয়র্ক গাগেনহাইমে পিকাসোর আঁকা দি ওম্যান আয়রনিং দেখার সৌভাগ্য হল।
বিকেলে বাসায় ফিরে বন্ধুর সাথে ঘুরতে বের হলাম। পর্যটকরা সাধারণত যা করে সেগুলো করতে বের হলাম আরকি। স্ট্যাচু অব লিবার্টি, টাইমস স্কয়ার, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এ গেলাম। তারপর কোরিয়া টাউনে গেলাম খেতে। একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম যেখানে যত খুশি যেকোন আইটেম নিয়ে ওজন অনুযায়ী দাম দিতে হয়। সব ধরণের আইটেমই ট্রাই করলাম মোটামোটি। এরপর একটা রুফটপ বারে গেলাম যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়।
তারপর এক স্লাইস পিৎজা খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম। নিউ ইয়র্কে পিৎজা খেতে খেতে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া একটা কমন ঘটনা। তাই আমরাও সেটা করলাম।
বাসায় ফিরে ঘুম। আজকে আরো কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে এখন বাল্টিমোরের পথে যাচ্ছি। এখন মাথায় শুধু কাজের চিন্তা। বাল্টিমোরে গিয়ে ঘোরাঘুরি কম আর কাজ বেশি করব।
শহর হিসেবে নিউ ইয়র্ক থাকার জন্য বেশ ভালোই বলা যায়। করার মত অনেক কিছু আছে। ভাল রেস্টুরেন্ট শপিং সেন্টার তো আছেই। তার সাথে ভাল মিউজিয়াম, থিয়েটার আর লাইভ মিউজিকের অভাব নেই। মানুষ কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায় না। সবাই আছে নিজের মত।
- নিউ জার্সির কোন একটা হাইওয়ে