গত বিসিএস মানে ৩৫তম এর প্রিলি আর লিখিত
পরীক্ষার সময় এই গ্রুপে নিয়মিত আসতাম। ভালই লাগত। সবাই সবার অভিজ্ঞতা শেয়ার
করত। পরীক্ষা দিয়ে তাদের আক্ষেপ, খুশি, হতাশা এখানে ভাগাভাগি করত। আমিও তার অংশ ছিলাম। কিন্তু কখনই এখানে পোস্ট করা হয়নি।
প্রতিটা লিখিত পরীক্ষা দিয়েই আমার মনে হল খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছি। প্রস্তুতি না থাকায় আমি কোন প্রেশ্নেরই precise উত্তর জানতাম না। তারপরও লিখিত পরীক্ষার আগের রাতে ডাইজেস্ট বইয়ের পড়া আর অতীতের জ্ঞান দিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর করেছি, কোন কিছু বাদ দেইনি। যুক্তির চেয়ে সাহিত্য অনেক বেশি হয়েছিল। এভাবে অল্পবিদ্যার কারণে নিজের লেখা সব উত্তরকেই অত্যন্ত ভালো মনে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি অংক আর ইংরেজী পরীক্ষা দিয়ে। একটা অংকও ভূল করিনি এবার। ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষায় দুটো অংক ভুল করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি না পাওয়ার বেদনা এখনও মনে আছে।
আশেপাশে যারা বসে পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের সাথে পরিচয়ও হয়েছে। কিন্তু তারপর আর বেশিদিন দেশে না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। ৯ তারিখ পরীক্ষা দিয়েই ভিসা অফিসে গিয়েছিলাম। ১৯ তারিখে ফ্লাইট ছিল। এরপর নতুন জীবনে ঢুকে গেলাম।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ করব কিনা জানিনা। তবে এবার আর পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষার সময় পুরনো বন্ধুদের সাথে আড্ডাটা মিস করব। আর মিস করব এই গ্রুপে শেয়ার করা অনুভূতিগুলোর সাথে অংশীদার হয়ে যাওয়াটা।
বিসিএস ক্যাডার এখন দেশের অন্যতম ভাল পেশা। অনেকেই তাই এ ধরণের পেশার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা অনেক পরিশ্রম করছে তাদের জন্য শুভকামনা রইল। চেষ্টা করলে অনেক কিছুকেই সম্ভব করা যায়। তবে বিসিএস না হলেও আশাহত হওয়ার কিছু নেই। জীবন মানে শুধু বিসিএস না। আরও অনেক কিছু আছে জীবনে করার। পজিটিভভাবে বেঁচে থেকে জীবনকে সুন্দর করাই আসল কথা। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর ফলাফল যা হয় তা মেনে নেওয়াই ভালো।
আজকে ইফতির পোস্ট দেখে একটু নস্টালজিক হয়ে গিয়ে এই পোস্টটি করছি।
বিসিএস একবারই দেয়া হয়েছে। এবার রেজিস্ট্রেশন করে আসলেও আর দেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষা দিয়ে ভালই লেগেছিল। প্রিলিতে অন্ধকারে ঢিল মেরে চান্স পেয়ে গেলাম। তারপর লিখিত পরীক্ষাগুলোও দিয়েছিলাম। বাসায় পাশেই পরীক্ষায় সিট পড়ায় তেমন কষ্টো করতে হয়নি। আমি থাকতাম মোহাম্মদপুরে লিখিত পরীক্ষা ছিল আগারগাঁওয়ে, প্রিলি ধানমন্ডিতে।
বিসিএস একবারই দেয়া হয়েছে। এবার রেজিস্ট্রেশন করে আসলেও আর দেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষা দিয়ে ভালই লেগেছিল। প্রিলিতে অন্ধকারে ঢিল মেরে চান্স পেয়ে গেলাম। তারপর লিখিত পরীক্ষাগুলোও দিয়েছিলাম। বাসায় পাশেই পরীক্ষায় সিট পড়ায় তেমন কষ্টো করতে হয়নি। আমি থাকতাম মোহাম্মদপুরে লিখিত পরীক্ষা ছিল আগারগাঁওয়ে, প্রিলি ধানমন্ডিতে।
প্রতিটা লিখিত পরীক্ষা দিয়েই আমার মনে হল খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছি। প্রস্তুতি না থাকায় আমি কোন প্রেশ্নেরই precise উত্তর জানতাম না। তারপরও লিখিত পরীক্ষার আগের রাতে ডাইজেস্ট বইয়ের পড়া আর অতীতের জ্ঞান দিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর করেছি, কোন কিছু বাদ দেইনি। যুক্তির চেয়ে সাহিত্য অনেক বেশি হয়েছিল। এভাবে অল্পবিদ্যার কারণে নিজের লেখা সব উত্তরকেই অত্যন্ত ভালো মনে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি অংক আর ইংরেজী পরীক্ষা দিয়ে। একটা অংকও ভূল করিনি এবার। ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষায় দুটো অংক ভুল করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি না পাওয়ার বেদনা এখনও মনে আছে।
আশেপাশে যারা বসে পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের সাথে পরিচয়ও হয়েছে। কিন্তু তারপর আর বেশিদিন দেশে না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। ৯ তারিখ পরীক্ষা দিয়েই ভিসা অফিসে গিয়েছিলাম। ১৯ তারিখে ফ্লাইট ছিল। এরপর নতুন জীবনে ঢুকে গেলাম।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ করব কিনা জানিনা। তবে এবার আর পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষার সময় পুরনো বন্ধুদের সাথে আড্ডাটা মিস করব। আর মিস করব এই গ্রুপে শেয়ার করা অনুভূতিগুলোর সাথে অংশীদার হয়ে যাওয়াটা।
বিসিএস ক্যাডার এখন দেশের অন্যতম ভাল পেশা। অনেকেই তাই এ ধরণের পেশার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা অনেক পরিশ্রম করছে তাদের জন্য শুভকামনা রইল। চেষ্টা করলে অনেক কিছুকেই সম্ভব করা যায়। তবে বিসিএস না হলেও আশাহত হওয়ার কিছু নেই। জীবন মানে শুধু বিসিএস না। আরও অনেক কিছু আছে জীবনে করার। পজিটিভভাবে বেঁচে থেকে জীবনকে সুন্দর করাই আসল কথা। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর ফলাফল যা হয় তা মেনে নেওয়াই ভালো।