কিছুদিন আগে বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) মহাকাশে তাদের প্রথম স্যাটেলাইট
উৎক্ষেপণ করল। এই ঘটনায় দেশবাসী মোটামোটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগ
অনেক গর্বিত হয় আর একভাগ বলতে থাকে, এই টাকা তো অন্য খাতে ব্যয় করা যেত।
গরীবের আবার স্যাটেলাইট!
কিন্তু একটু মাথা খাটালেই আমরা বুঝতে পারব স্যাটেলাইটের দাম চালের থেকে সস্তা। কিভাবে? ধরুন, প্রত্যেক মানুষ দিনে তিন প্লেট ভাত খায় যার দাম দশ টাকা। বাংলাদেশে আঠার কোটি মানুষ আছে। প্রত্যেকে দশ টাকার ভাত খেলে প্রতিদিন ভাতের পিছনে খরচ একশ আশি কোটি টাকা। তাহলে বছরে ভাতের পিছনে খরচ ৩৬৫*১৮০ = ৬৫ হাজার সাতশ কোটি টাকা। সেখানে স্যাটেলাইটের পুরো ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকার মত। আর একটা স্যাটেলাইট চলবে পনের বছর। বিটিআরসি ৫০% নিজে ব্যবহার করবে। বাকি ৫০% ভাড়া দিতে পারলে সাত আট বছরেই আসল উঠে আসবে। বাকি সময় থেকে আবার লাভও হবে। তার মানে স্যাটেলাইটে খরচ তো হবেই না বরং অতিরিক্ত আয় হবে।
কিন্তু একটু মাথা খাটালেই আমরা বুঝতে পারব স্যাটেলাইটের দাম চালের থেকে সস্তা। কিভাবে? ধরুন, প্রত্যেক মানুষ দিনে তিন প্লেট ভাত খায় যার দাম দশ টাকা। বাংলাদেশে আঠার কোটি মানুষ আছে। প্রত্যেকে দশ টাকার ভাত খেলে প্রতিদিন ভাতের পিছনে খরচ একশ আশি কোটি টাকা। তাহলে বছরে ভাতের পিছনে খরচ ৩৬৫*১৮০ = ৬৫ হাজার সাতশ কোটি টাকা। সেখানে স্যাটেলাইটের পুরো ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকার মত। আর একটা স্যাটেলাইট চলবে পনের বছর। বিটিআরসি ৫০% নিজে ব্যবহার করবে। বাকি ৫০% ভাড়া দিতে পারলে সাত আট বছরেই আসল উঠে আসবে। বাকি সময় থেকে আবার লাভও হবে। তার মানে স্যাটেলাইটে খরচ তো হবেই না বরং অতিরিক্ত আয় হবে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ করতে হবে। স্যাটেলাইট একটা সমন্বিত উদ্যোগ। একটা
স্যাটেলাইট দিয়েই দেশের সব মানুষের কাজ চলে যাবে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা
স্যাটেলাইটের প্রয়োজন নেই। দেশের সব মানুষ মিলে শেয়ার করবে বলেই
স্যাটেলাইটের খরচ ভাতের চেয়ে কম। সবার যেখানে লাগে একটা স্যাটেলাইট সেখানে
প্রত্যেকের জন্য লাগে আলাদা আলাদা প্লেট ভাত।
শুধু স্যাটেলাইট নয় এমন আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো সমন্বিত উদ্যোগ। যেমন - স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘর, খেলার মাঠ, চিড়িয়াখানা, মসজিদ ইত্যাদি। সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে প্রতিষ্ঠান বলে।
স্যাটেলাইট একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন স্যাটেলাইটের মত এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করে? কারণ মানুষ অনেক স্বার্থপর। সে সব সময় দেখে কোন কাজ করলে সাথে সাথে তার কি লাভ হবে। স্বল্পমেয়াদি লাভ না থাকলে সেই কাজের দিকে সবার চোখে পরে না।
এই আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে আমাদের দেশে সহজে বড় কিছু করা যায় না বা সম্ভব হয় না। উন্নত দেশগুলো কিন্তু এমন নয়। তারা ব্যক্তির আগে সমাজকে দেখে। তাই সেখানে বাড়িঘর হয় ছোট আর জাদুঘর হয় বড়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয় আরো বিশালাকার। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করতে গেলেই সবাই হিসেব কষতে বসবে জাদুঘরে তার কি লাভ। যেজন্য আমাদের দেশে সেটা হয়ও না। তাই আমার দেশে মানুষের বাড়ি ঘরে সান-শওকত আর জাদুঘরে গরিবানা।
মঞ্জিলুর রহমান
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড
শুধু স্যাটেলাইট নয় এমন আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো সমন্বিত উদ্যোগ। যেমন - স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘর, খেলার মাঠ, চিড়িয়াখানা, মসজিদ ইত্যাদি। সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে প্রতিষ্ঠান বলে।
স্যাটেলাইট একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন স্যাটেলাইটের মত এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করে? কারণ মানুষ অনেক স্বার্থপর। সে সব সময় দেখে কোন কাজ করলে সাথে সাথে তার কি লাভ হবে। স্বল্পমেয়াদি লাভ না থাকলে সেই কাজের দিকে সবার চোখে পরে না।
এই আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে আমাদের দেশে সহজে বড় কিছু করা যায় না বা সম্ভব হয় না। উন্নত দেশগুলো কিন্তু এমন নয়। তারা ব্যক্তির আগে সমাজকে দেখে। তাই সেখানে বাড়িঘর হয় ছোট আর জাদুঘর হয় বড়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয় আরো বিশালাকার। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করতে গেলেই সবাই হিসেব কষতে বসবে জাদুঘরে তার কি লাভ। যেজন্য আমাদের দেশে সেটা হয়ও না। তাই আমার দেশে মানুষের বাড়ি ঘরে সান-শওকত আর জাদুঘরে গরিবানা।
মঞ্জিলুর রহমান
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড