প্রশ্ন => উত্তর; উত্তর => প্রশ্ন।
তো এতে কিছুদিনের মধ্যে ঐ ছাত্রের অনেক উন্নতি হল। এরপর অবশ্য সে স্ট্রাটেজিটা একটু পালটিয়ে ফেলল। বই পড়ার সময় এখন আর কোন প্রশ্ন লিখে রাখতে হয় না। সে মনে মনে ভাবতে পারে কোন কোন প্রশ্ন করার যায় নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার থেকে। এতে ওর ক্রিটিক্যাল থিংকিং অনেক বেড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সে এ স্টার পায় সায়েন্সে।
শুধু ভাল প্রস্তুতি থাকলেই চলবেনা। পরীক্ষার হলে ভাল পারফর্ম করতে হবে। এজন্য মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে সবার আগে। 'জাস্ট চিল'। আমি সাধারণত পরীক্ষার সময় গান গাই অথবা চকলেট খাই। এতে আমার মনে হয় নিজের ঘরেই বসে আসি। অনেকে অন্যভাবে পরীক্ষার হলের সিচুয়েশনের সাথে অভ্যস্থ হয়। যেমন- পরীক্ষার হলে একটু আগে ভাগে গিয়ে আশেপাশের মানুষজনের সাথে সৌজন্য বিনিময় করে। পরিস্থিতি নাকি তাতে একটু স্বাভাবিক মনে হয়। আমার অবশ্য এতে লাভ হয় না। তো ব্যপার হল, যেভাবেই হোক নিশ্চিত করতে হবে নিজের পারা প্রশ্নর উত্তর দিতে যাতে ভুল না হয়। কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলে সেটার উত্তর করা তো আর আপনার হাতে নাই। কিন্তু যা পারেন তা লিখে আসতে না পারাটা একটা আফসোস।
সবশেষে সব পরীক্ষাই একটা 'পরীক্ষা' । জীবন হচ্ছে একটা বড় পরীক্ষা। এর কোন পরীক্ষায় পাশ হবে, কোন পরীক্ষায় ফেল। তবে পাশ অথবা ফেল যাই করেন একটা জিনিস ভেবে দেখাটা জরুরী যে, সেই পরীক্ষার অভিজ্ঞতায় আপনি নতুন কি কি শিখেছেন। সেটাকে কিভাবে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন- পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে হয়ত আপনার লেখার দক্ষতা অনেক বেড়ে গেছে তখন সেটাকে ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্স রাইটার হয়ে যেতে পারেন। কারণ দিনশেষে আপনার নিজের জীবনের ভার আপনাকেই নিতে হবে। ফেল করলেও জীবন চালিয়ে যেতে হবে। অন্যকে ব্লেম করে, সিস্টেম কে দোষ দিয়ে, বা কোটার বিষাদ্গার করে আপনার চাকরি হবে না। ব্যর্থ হলেও ভাবতে হবে সেই অবস্থায় কি করা যায়। যে বিপদের সময় নতুন করে কিছু করতে পারে দিনশেষে শেষ হাসিটা তারই হয়।
মঞ্জিলুর রহমান
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড
তো এতে কিছুদিনের মধ্যে ঐ ছাত্রের অনেক উন্নতি হল। এরপর অবশ্য সে স্ট্রাটেজিটা একটু পালটিয়ে ফেলল। বই পড়ার সময় এখন আর কোন প্রশ্ন লিখে রাখতে হয় না। সে মনে মনে ভাবতে পারে কোন কোন প্রশ্ন করার যায় নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার থেকে। এতে ওর ক্রিটিক্যাল থিংকিং অনেক বেড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সে এ স্টার পায় সায়েন্সে।
শুধু ভাল প্রস্তুতি থাকলেই চলবেনা। পরীক্ষার হলে ভাল পারফর্ম করতে হবে। এজন্য মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে সবার আগে। 'জাস্ট চিল'। আমি সাধারণত পরীক্ষার সময় গান গাই অথবা চকলেট খাই। এতে আমার মনে হয় নিজের ঘরেই বসে আসি। অনেকে অন্যভাবে পরীক্ষার হলের সিচুয়েশনের সাথে অভ্যস্থ হয়। যেমন- পরীক্ষার হলে একটু আগে ভাগে গিয়ে আশেপাশের মানুষজনের সাথে সৌজন্য বিনিময় করে। পরিস্থিতি নাকি তাতে একটু স্বাভাবিক মনে হয়। আমার অবশ্য এতে লাভ হয় না। তো ব্যপার হল, যেভাবেই হোক নিশ্চিত করতে হবে নিজের পারা প্রশ্নর উত্তর দিতে যাতে ভুল না হয়। কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলে সেটার উত্তর করা তো আর আপনার হাতে নাই। কিন্তু যা পারেন তা লিখে আসতে না পারাটা একটা আফসোস।
সবশেষে সব পরীক্ষাই একটা 'পরীক্ষা' । জীবন হচ্ছে একটা বড় পরীক্ষা। এর কোন পরীক্ষায় পাশ হবে, কোন পরীক্ষায় ফেল। তবে পাশ অথবা ফেল যাই করেন একটা জিনিস ভেবে দেখাটা জরুরী যে, সেই পরীক্ষার অভিজ্ঞতায় আপনি নতুন কি কি শিখেছেন। সেটাকে কিভাবে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন- পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে হয়ত আপনার লেখার দক্ষতা অনেক বেড়ে গেছে তখন সেটাকে ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্স রাইটার হয়ে যেতে পারেন। কারণ দিনশেষে আপনার নিজের জীবনের ভার আপনাকেই নিতে হবে। ফেল করলেও জীবন চালিয়ে যেতে হবে। অন্যকে ব্লেম করে, সিস্টেম কে দোষ দিয়ে, বা কোটার বিষাদ্গার করে আপনার চাকরি হবে না। ব্যর্থ হলেও ভাবতে হবে সেই অবস্থায় কি করা যায়। যে বিপদের সময় নতুন করে কিছু করতে পারে দিনশেষে শেষ হাসিটা তারই হয়।
মঞ্জিলুর রহমান
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড