নিজের ঢোল নিজে না পেটালে এখন আর কাজ হয় না। আপনি যদি চুপ করে থাকেন তাহলে
সবাই মনে করবে আপনি কিছুই জানেন না। আবার বেশি বলা শুরু করলে নিজের ভিতরে ইগো তৈরি
শুরু হয়, যেটা আপনার ট্যালেন্টের জন্য ক্ষতিকর। দুইটার মধ্যে ব্যালেন্স করে চলাটা
জরুরী। লাইফের সবকিছুতেই ব্যালেন্স করা দরকার। এই যেমন আপনি নিজের কাজ নিয়ে যদি
উত্তেজিত না হন তাহলে হয়ত সেই কাজটি করার উদ্যোম পাবে না। আবার বেশি উত্তেজিত হয়ে
গেলে সেটার বশে কাজটাই হবে না। একইভাবে আপনি যদি কোন কিছুকে ভাল না বাসেন তাহলে
সেটাকে পাবেন না, আবার অতিরিক্ত ভালবাসলে পাগল হয়ে যাবেন। এখানেও দরকার ব্যালেন্স।
ভারসাম্য না থাকলে জীবন চলে না।
মাঝে মাঝে ভাবি খুব সস্তা কিছু স্ট্যাটাস দিব। এই যেমন অমুকে অমুক করে কেন?
তমুকে তমুক করে কেন। আমার খুব বিরক্ত লাগে এতে, এই টাইপ কিছু একটা লিখব। স্ট্যাটাস
লেখা শুরু করলে দেখা যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই লেখার টোন ভাব-গম্ভীর হয়ে গেছে।
দার্শনিক জিনিসপত্র লেখা শুরু করে দিয়েছি। তারপর আর সেটা পোস্ট করা হয়না। মনে হয়
এই সব গুরু-গম্ভীর কথা কে শুনবে। এখানেও একটা ব্যালেন্স দরকার। সস্তা আর
ভাব-গম্ভীরের মধ্যকার। বেশি ভাব-গম্ভীর হলে আপনি কিছু বলতেই পারবেন না আর বেশি সস্তা
হলে আপনাকে কেউ দামই দিবে না।
তারমানে দিনশেষে জীবন একটি ব্যালেন্সের সমীকরণ। আপনার কাজ সমীকরণের উভয়পক্ষের
সমতা করা।