ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।
ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।
নিজের পেট এনিমেল না থাকায় এটার তাৎপর্য বুঝি নাই কখনও। যদিও বাড়িতে গরু পোষা হত। কিন্তু সেটার উদ্দেশ্য ছিল দুধ উৎপাদন। ছাগল পোষা হত। যার উদ্দেশ্য ছিল মাংস খাওয়া।
তবে আমাদের একটা ছাগল ছিল যেটার সাথে আমার বেশ বন্ধুত্ব হয়েছিল। আমি ছাগলটির পিঠে চড়ে বেড়াতাম। আর সেও কোন অভিযোগ ছাড়াই আমাকে বহন করত। একটা নামও বোধ হয় দিয়েছিলাম তার। কিন্তু মনে করতে পারছি না। পরে কোন এক অনুষ্ঠানে তাকে জবাই করা হয়! ব্যপারটাতে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। জবাই করার পর দেখা গেল তার লিভার নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অর্থাৎ এসময় তাকে জবাই করা না হলে এমনিও অচিরেই সে মরে যেত।
বাড়িতে বিড়ালও থাকত। কিন্তু পোষা প্রাণীরমত আদরে না। তারা তাদের মত থাকত। খাবার খেতে বসলে টেবিলের নিয়ে ঘুরে বেড়াত। এসময় তাদেরকে কিছু খেতে দেওয়া হত। বিড়ালদের একটা মজার ব্যপার আছে। এরা একবার গৃহপালিত হয়ে গেলে বাড়িছাড়া করা কঠিন। তাদের উপদ্রব মনে করে অনেক দূরে কোথাও রেখে আসলেও তারা পথ চিনে ঠিকই ফিরে আসে।
আমাদের বাড়িতে কোন কুকুর ছিল না। নানু বাড়িতে কুকুর থাকত একসময়। একটা না অনেক কয়টা। আমি অবশ্য সব সময় কুকুর ভয় পেতাম। কুকুরের ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হতাম না।
এখন আমাদের বাড়িতে গরু-ছাগল নেই। নানু বাড়িতেও আর কুকুর নেই। একটা পেট এনিমেল হয়ত নিয়ে নিব বুড়ো বয়সে। তারপর এখানকার লোকদের মত একসাথে পার্কে হাঁটতে যাব বিকেলবেলা।