কয়েকটি অনুকাব্য

১।
মনের মধ্যে ঢেউ উঠেছে
মন হয়েছে সাগর।
চোখ দিয়ে তার নোনতা জল
গড়িয়ে পড়ে চিবুক বেয়ে
মনে যে তোর কবর।

২।
তোমার জন্মদিনে
ভেবেছিলাম তোমায় একটা আংটি দিব কিনে।
পকেট চেক করি, মানিব্যাগ খুলে
আংটির কথা ভেবেছিলাম ভুলে।
বের করি কলম আর খাতা
এবারো তোমার ভাগ্যে আমার কবিতা।

ভার্চুয়াল জগতে প্রাণ-৪ : কৃত্রিম মস্তিষ্ক

আগের লেখাগুলোতে কম্পিউটারে কি করে বিবর্তনের অনুরূপ পরীক্ষা করা হয় তা বলা হয়েছে। এই জ্ঞানকে ব্যবহার করে কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরি করা সম্ভব। লরা গ্যাব্রষ্কি একধরণের এভিডিয়ান বিবর্তিত করেছেন যা একটা আলোক উৎস সংবেদন করতে পারে। পরবর্তিতে এই এভিডিয়ানদের জিনোমকে কম্পিউটার কোডে বদলে দিয়ে একটা রোবট তৈরি করা হয়েছে। রোবটটি আলোক উৎসের দিকে যেতে পারে। তারমানে কিছু সরলতম ডিজিটাল জীব একটু জটিলতর হয়ে গেছে।

কুল গাছ (গল্প)

একটি জেলা শহরে বড় হয়েছে ওরা। রূপক আর মেঘলা। এইচএসসি শেষ করে এবছরই রূপক ঢাকা মেডিকেলে আর মেঘলা ভর্তি হয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। একই শহরের হলেও ওদের তেমন একটা কথা-বার্তা ছিল না, যদিও দু'জনই একে অপরকে চিনত। কিন্তু ঢাকায় এসে কিভাবে কিভাবে যেন ওদের বন্ধুন্ত্ব হয়ে গেল। হয়ত একই শহর থেকে এসেছে বলে মনের টান থেকে, অথবা দু'জনেরই কোন একসময়ের সুপ্ত ইচ্ছার কারণে।

যাই হোক এখন ওদেরকে আলাদা করাই কঠিন। সারাদিন ফোনে কথা, দেখা করা এসব ওদের আর মোটেও অস্বাভাবিক লাগছে না। ওরা বোধহয় ভূলেই গেছে কিছুদিন আগেও ওদের কোন কথা বার্তা ছিল না।

ভার্চুয়াল জগতে প্রাণ-৩ : স্মৃতির উন্মেষ

এভিডিয়ানদের মধ্যে স্মৃতি পরীক্ষা করার জন্য খাদ্য-দ্রব্যগুলোকে কম্পিউটারের কিছু সেলের গ্রীডে বন্টন করা হল। সেল মানে একটা মেমোরি লোকেশন যা তার মধ্যে কতটুকু খারার আছে তা মনে রাখে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রীডে অবশ্য খাবারের পরিমাণ একটি গ্রেডিয়েন্টে কম বেশী করা হল। অনেকটা নিচের ছবির মত। হালকা রঙের সেলগুলোতে কম খাবার, আর গাঢ় নীলগুলোতে বেশী খাবার। প্রথম প্রজন্মের এভিডিয়ানদের ছেড়ে দেয়া হল গ্রেডিয়েন্টের যে দিকে খারার কম সে দিকে। একটি সেলের পাশের সেলটিতে থাকে তার চেয়ে বেশি খাবার।

ভার্চুয়াল জগতে প্রাণ-২ : এভিডিয়ানদের জগত

আগের পর্ব
এভিডিয়ানরা বেশ কয়েক প্রজম্ন ধরে নিজেদের অনুলিপি তৈরি করে করে যাচ্ছিল। যদিও অনুলিপিকরণ একেবারে নির্ভুল হল না। তারপরও এতে ভুল এত সামান্যই হল যে তা দৃষ্টি এড়িয়ে গেল। তাদের মিউটেশন হচ্ছিল আসলে। এই সামান্য মিউটেশনের গুরুত্ব প্রথমে উপলব্ধি করেনি কেউ।এভাবে কয়েক চক্র পরে হঠাত দারুণ কিছুর দেখা মেলে। এভাবে চলতে চলতে এদের ১০,০০০ তম উত্তরাধিকারীর মধ্যে উদ্ভব হবে স্মৃতির।

ভার্চুয়াল জগতে প্রাণ-১ : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথে

আজ একটু সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেল। কাকের ডাকে। একটা না, অনেক কাক। এত কাকের ডাকে ঘুমানো দায়। বাজে ব্যপার। অথচ ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে ঘুম ভাঙতো পাখির মধুর কিচির মিচির শব্দে।

ছাড়পোকা থেকে রক্ষা পেতে (বিশেষ করে হলবাসীদের জন্য)

ছাড়পোকা নিয়ে অনেকের বেশ কিছু মজ়ার অভিজ্ঞতা চোখে পড়ে অনেক ব্লগে। এটা মানুষের জ়ীবনের সাথে কত ঘনিষ্টভাবে জড়িত সেটা বোঝা যায় এই ইংরেজী বচন শুনলে, "good night, sleep tight and don't let the bed bug bite"।

এটি মানুষের অন্যতম বহিঃপরজীবী। বিছানা, তোশক ইত্যাদি যেখানে রাতে ঘুমান হয় সে সব জায়গায় মুলত এরা বসবাস করে এবং ডিম পাড়ে। মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।

গুগল করলে দেখা যায় এটা মানুষের জীবন-যাত্রায় অন্যতম সমস্যা। এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি রক্ষা পাওয়াও কঠিন।

নেশাময় সন্ধ্যা

গ্রীষ্মের ছুটিতে এখন বাড়িতে আছি। দিন গুলো খুব মজ়ায় কাটছে বলবনা। তবে এই কথাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করতেই বোধ হয় উঠে পড়ে লেগেছিল আজকের সন্ধ্যার প্রকৃতি।

শেষ বিকেলে বাড়ির বাইরে বেরুলাম আশপাশ একটু ঘুরে দেখব বলে। সূর্য ডুব ডুব করছে। পরিবেশটা দারুণ। শিরশিরে শীতল বাতাস গায়ে এসে লাগতেই একেবারে যেন রিচার্জর্ড হয়ে গেলাম।

হাটছি মেটো রাস্তায়।

দু'দিকে জমি গুলোর ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন ধান গাছের গোড়ার অংশগুলো অবশিষ্ট আছে। একটা পাটক্ষেতও আছে। আর পাটক্ষেতের বিপরীতে রাস্তার অপর পাশে একটা সবজি বাগান। এদিকের বেশির ভাগ জমি অবশ্য আমাদের অথবা আব্বুর বড় ভাইদের।

প্রথম পোস্ট

যত দিন যাচ্ছে ( মানে বয়স বাড়ছে) নিজেকে মরা মরা মনে হচ্ছে। অনুভব করার শক্তি কমে যাচ্ছে। তাই বাঁচার জন্য লেখা দরকার।

ফরাসি লেখক Michel Butor বলেছেন, "Every word written is a victory against death."

এজন্য অনেক দিন থেকেই ভাবছি ব্লগে একটা একাউন্ট খুলব। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা খোলা হয়ে ওঠে নি। আর এতে মানব সভ্যতার খুব একটা ক্ষতি যে হয়েছে তাও নয়। আমি এরিস্টটল বা সক্রেটিস নই যে আমার একটি কথা মিস হলেই বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

একজন সচেতন নাগরিকের দিনলিপি থেকে

গত কয়েক দিন ধরে দেশে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা প্রচণ্ডভাবে ভাবিয়ে তুলছে। কিছু কিছু ঘটনায় আমি সরকার এবং সংস্লিস্ট কতৃপক্ষের উপর ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতা ও তার ফলশ্রুতিতে লিবিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এতে অধিকাংশ প্রবাসীর মত বাংলাদেশিরাও বিপদে পড়ে। বেসরকারি হিসেব মতে সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় নব্বই হাজার। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে, দেশে ফিরে আসা তো স্বপ্নের মত। সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হল সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের অসক্রিয়তা এবং নির্লীপ্ততা। আমাদের দেশের অর্থনীতি অনেকটাই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রবাসীদের অভিযোগ বিদেশে অবস্থানকালে তারা কখনই প্রত্যাশামত সরকারি সহযোগিতা পান না।

ব্লগে আমার প্রথম পোস্ট

ইদানীং লিখতে ইচ্ছা করে খুব। মনের ভিতর নানা চিন্তা ঘুর-ঘুর করে সব সময়।বেশির ভাগ কথাই শেয়ার করি বন্ধুদের সঙ্গে, কিন্তু তার পরও এমন অনেক কথা থেকে যায় যেগুলো কাউকে বলা যায় না, বা সেগুলো বলার জন্য অনেক তুচ্ছ। সেগুলো লিখতে পারলে মনে এক ধরনের শীতলতা অনুভব করা যায়। এ ধরনের ভাবনা থেকেই ব্লগে আসা।