মানুষ কি আসলেই বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন একটা প্রাণী?

যখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তখন বিচারবুদ্ধির ভূমিকা কতটুকু আর আবেগের ভূমিকা কতটুকু?
প্রতিদিনই আমরা সাধারণত অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। এই যেমন ঘুম থেকে ওঠার পর ঠিক কোন কাজ করব। সকালে কি খাব। অফিসে যাব কি যাব না। অফিসের পর কি করব। কাউকে ফোন দিব কি দিবোনা।
 ছবিতেঃ ধূসর ভাজযুক্ত অংশই মস্তিস্কের নিওকর্টেক্স, বর্ণযুক্ত অংশ লিম্বিক সিস্টেম।

শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল ২০২০

গত কয়েকবছর ধরে ফেসবুক এবং আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে কিছুটা লেখালিখি করছি। প্রত্যেক বছরের প্রথম দিনেই আমি সাধারণত গত বছরের ঘটনাবলী নিয়ে একটা পোস্ট লিখি। এবারও তা করতে চেয়েছি। কিন্তু পিছন ফিরে তাকালে স্মরণীয় ঘটনার চেয়ে সংকটের বাহুল্যই বেশি চোখে পড়ে।

সংকটের কোন অভাব ছিল না ২০২০ সালে। একদিকে করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী অন্যদিকে আমার পিএইচডির ফান্ডিং শেষ হওয়া দুই মিলিয়ে বেশ কাঠখোড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও বছরটা ভালয় ভালয় শেষ করতে পেরেছি এইটাই স্বস্তির বিষয়।


অন্ধকারের আলো

"তোমার সবদিকে যখন অন্ধকার,
তখন চারপাশটা আর একবার একটু ভাল করে দেখ।
কারণ এমনো হতে পারে - অন্ধকারের মাঝে তুমিই আলো।"
--- জালাল উদ্দিন রুমী

আল-আন্দালুস

মধ্যযুগে সমগ্র ইউরোপ যখন অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন স্পেনের মুসলিমরা গড়ে তুলেছিল জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এক সাম্রাজ্যের। দক্ষিণ স্পেনের বিস্তৃত অঞ্চল ছিল এই সাম্রাজ্যের অধীনে। আরবেরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেছিল আল-আন্দালুস। বর্তমান সময়ে এই অঞ্চলকে সবাই চেনে স্পেনের রাজ্য আন্দালুসিয়া হিসেবে।

যেমন ছিল আমার ২০১৯ঃ গবেষণা এবং জীবন

তিনটি শব্দে বছরটির সারসংক্ষেপ করতে গেলে যা দাঁড়ায় তা হলোঃ পুরোই দৌড়ের উপর।
গত জানুয়ারীতে আমস্টারডাম শহরের জমকালো আলোকসজ্জায় যখন নতুন বছরের উৎযাপন করছিলাম তখন বোঝার কোন উপায় ছিলনা কি অপেক্ষা করছে এ বছরে।

আমস্টারডাম - ব্রাসেলস ট্যুর শেষ করে অক্সফোর্ডে প্রথম দিন ল্যাবে গিয়ে পুরাতন ইমেইল ঘাটতে গিয়ে বুঝলাম একটা বিশেষ ইমেইল প্রথমবার পড়ার সময় বিশাল ভুল করে ফেলেছি। সেই ইমেইলটি ছিল একটা সম্মেলনের বিষয়ে।


ক্রিসমাসের ছুটি ২০১৯

গত ক্রিসমাসগুলোতে ছুটির সময় নিয়মিত দেশে যাওয়া হলেও, এবার যাচ্ছি না। গবেষণার চাপ সামলাতে গিয়ে এত বেশি কাজ জমা পরে গেছে যে এই সময় ছুটি কাটানোটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি আমার কাছে।


নিউ ইয়র্ক

নিউ ইয়র্ক ঘোরাঘুরি শেষ করে বাল্টিমোরে যাচ্ছি।

আজকের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রজ্জল আর ঝলমলে। গত দুইদিন এমন মেঘলা আবহাওয়া ছিল যে আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলোর মাথা দেখা যাচ্ছিল না।

নিউ ইয়র্কে ছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক। ইউনিভার্সিটির হাউজিং এর একটা ফ্ল্যাটে থাকে। ঘোরাঘুরি যা করেছি সব ম্যানহাটন এলাকায়।


গন্তব্য বাল্টিমোর

জানুয়ারি মাসটা ব্যস্ততার মধ্যে কখন কেটে গেল টেরই পেলাম না। আমস্টারডাম-ব্রাসেলস ট্যুরের পর তাই অক্সফোর্ড এর বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি।

আজকে প্রথম অক্সফোর্ডের বাইরে বের হলাম। বাসে উঠলাম একমাস পর। যাচ্ছি হিথ্রো এয়ারপোর্টের দিকে।


বই পড়া

আমার স্কুল জীবন পার করেছি কুড়িগ্রামে। ছোট শহর হওয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে বিষয়ে পড়ার ব্যবস্থা সেখানে খুবই কম ছিল। ইন্টারনেট তখনও সেভাবে আসেনি। আর বোর্ড বইয়ের বাইরের কোন বই কুড়িগ্রামে পাওয়া কঠিন ছিল। তারপরও স্কুলের পড়াশুনা চুকিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের একটা সাবজেক্ট পড়ে এখন বিশ্ববিখ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোসায়েন্সে পিএইচডি করছি; এর অনেকটা কৃতিত্ব আমার জীবনে পড়া বইগুলোর।


বৃষ্টির প্রতি ভালবাসা

বৃষ্টি নিয়ে কাব্যিক ঢঙে এই কথাগুলো লিখেছিলাম সম্ভবত ২০১৪-১৫ সালের দিকে। আজকে হঠাৎ করে লেখাটা পড়ে মনে হল আগে কখনও আপলোড করা হয়নি। যদি আপলোড করেও থাকি আরেকবার পড়ে নিতে পারেন। অনুভূতিপ্রবণ একটা লেখা।
 
 
=o=