ক্রিসমাসের ছুটি ২০১৯

গত ক্রিসমাসগুলোতে ছুটির সময় নিয়মিত দেশে যাওয়া হলেও, এবার যাচ্ছি না। গবেষণার চাপ সামলাতে গিয়ে এত বেশি কাজ জমা পরে গেছে যে এই সময় ছুটি কাটানোটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি আমার কাছে।


পুরোপুরি ছুটি যাপন না করলেও, এই সপ্তাহ থেকে কাজ অনেক কমিয়ে দিয়েছি। এই সপ্তাহ এবং পরের সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় বিশ্রাম নিব, গল্পের বই পড়ব, গান শুনব, হাঁটতে যাব, দৌড়াব এবং ইয়োগা করব।

গতকাল থেকে এই রুটিন শুরু করেছি। অক্সফোর্ডে বাইরের তাপমাত্রা এখনও সহনীয়। গতকাল ছিল সাত-আট ডিগ্রীর মত। তাই দৌড়াতে বের হয়েছিলাম। আধা ঘন্টা দৌড় আর দেড় ঘন্টা হাঁটা শেষে যখন সামারটাউন থেকে বাসার দিকে ফিরছি তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে।

বছরের সবচেয়ে ছোট দিন (২২ ডিসেম্বর) সুন্দর সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে শেষ করে মনে প্রশান্তি নিয়ে বাসায় ফিরলাম। এরপর একটু বিশ্রাম নিয়ে বসে গেলাম ইয়োগা করতে।

রিলাক্স, ক্লোজ ইয়র আইজ, টেক এ ডিপ ব্রেইথ।

আজকের দিনটা কিছুটা ভিন্ন। অফিসে গেলাম। কম্পিউটারে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সলটল করে একটু লেখালেখি করলাম। তারপর পার্কে গেলাম।

পার্কের সব চেরী গাছের মাথা ন্যাড়া। পাতা পরে গেছে। শীতের ঠান্ডায় বেশিরভাগ গাছের পাতা পরে যায়। তবে একটা গাছ কিছুটা ভিন্ন। গাছে কোন পাতা না থাকলেও এই শীতের মধ্যেও ফুল ফুটেছে। শীতের মধ্যেও একটা গাছের মনে ঠিকই বসন্ত।

মঞ্জিলুর রহমান
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড

লেখাটি শেয়ার করুন

Share on FacebookTweet on TwitterPlus on Google+