সন্ধ্যায় খেতে বসছি, এমন সময় বাইরে থেকে পটকা ফুটানোর শব্দ
পাওয়া গেল। ভাবলাম ইংল্যান্ডেও মানুষ পটকা ফুটায়! পরে জানালা দিয়ে বাইরে
তাকিয়ে বুঝতে পারলাম পটকা না, আতশবাজি চলছে।
ব্যাপার কি, বুঝতে পারছিলাম না। এই সময় এক হাউজমেটও আসল চা বানাতে। তার
কাছ থেকে যা জানা গেল তার সার-সংক্ষেপ এইঃ আজকে ৫ নভেম্বর। অনেক আগে এই একই
দিনে রাজাকে হত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়। এই
উপলক্ষেই ব্রিটিশরা উল্লাস উৎযাপন করে। সেই কারণেই আতশবাজি। অনেক মানুষ
নাকি আবার খোলা মাঠে একত্রিত হয়ে এই আতশবাজি দেখে যদিও বাসা থেকেই তা দেখা
যায়। যাওয়ার সময় তাই সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, অদ্ভুত, ইংল্যাং একটা অদ্ভুত
দেশ তাই না?
সবার কাছেই কি তার দেশকে মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক মনে হয়। বাংলাদেশে যেমন আমরা প্রায়ই বলি, কোন আজব দেশে বাস করি।
যাই হোক, খাওয়ার শেষ করেই ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরলাম ৫ নভেম্বরের ব্যাপার বুঝতে। এই দিনকে বলে গাই ফক্স ডে। এই দিনের উপর একটা মুভিও আছে। "ভি ফর ভেনডেটা"। সেই মুভিতে দেখানো হয়েছে খুব বিপ্লবী চরিত্রের একজন মানুষ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কিভাবে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। আর জনগণ তার সাতে একাত্ম ঘোষণা করে।
তবে উইপিডিয়া অনুসারে আসল ঘটনা হল, রাণী এলিজাবেথের শাসনামলে ক্যাথলিকরা খুব অবহেলিত ছিল। তাই এলিজাবেথের পর রাজা জেমস সিংহাসনে বসলে তারা আশা করতে থাকে এইবার তাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা না হলে তারা আশাহত হয় এবং বোমা মেরে পার্লামেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যাই হোক, রাজাকে মারার পরিকল্পনা থাকলেও রাজা জেমস বেঁচে যায় এবং ক্যাথলিকদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
বোমা বিস্ফোরণস্থলে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে বোমার পাহারায় ছিল গাই ফক্স। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে জনগণ ঐ দিন অর্থাৎ ১৬০৫ সালের ৫ নভেম্বরকে উদযাপন করে আনন্দের উপলক্ষ হিসেবে। ঐসময় থেকে এই দিনে পোপের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হত। আঠারশতকের দিকে এসে আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। মানুষ গাই ফক্সের নাম ও পোশাক পড়ে গাইয়ের জন্য পয়সা চাওয়া শুরু করে এই সব অনুষ্ঠানে। পোপের বদলে গাইয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করা শুরু হয় এসময় থেকে। এভাবে ৫ই নভেম্বরের নাম এখন হয়ে গেছে গাই ফক্স দিবস।
তাছাড়া আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে এখনও ব্রিটিশ পার্লেমেন্টের অধিবেসন শুরুর আগে ভূগর্ভস্থ সেলারে তল্লাসী চালানো হয়, যাতে গাইয়ের মত কেউ লুকিয়ে থাকতে না পারে। গার্ডরা সেই তল্লাসী চালায় আবার হারিকেন (লন্ঠন) হাতে নিয়ে।
আসলেই ইংল্যান্ড বড় অদ্ভূত দেশ।
সবার কাছেই কি তার দেশকে মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক মনে হয়। বাংলাদেশে যেমন আমরা প্রায়ই বলি, কোন আজব দেশে বাস করি।
যাই হোক, খাওয়ার শেষ করেই ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরলাম ৫ নভেম্বরের ব্যাপার বুঝতে। এই দিনকে বলে গাই ফক্স ডে। এই দিনের উপর একটা মুভিও আছে। "ভি ফর ভেনডেটা"। সেই মুভিতে দেখানো হয়েছে খুব বিপ্লবী চরিত্রের একজন মানুষ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কিভাবে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। আর জনগণ তার সাতে একাত্ম ঘোষণা করে।
তবে উইপিডিয়া অনুসারে আসল ঘটনা হল, রাণী এলিজাবেথের শাসনামলে ক্যাথলিকরা খুব অবহেলিত ছিল। তাই এলিজাবেথের পর রাজা জেমস সিংহাসনে বসলে তারা আশা করতে থাকে এইবার তাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা না হলে তারা আশাহত হয় এবং বোমা মেরে পার্লামেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যাই হোক, রাজাকে মারার পরিকল্পনা থাকলেও রাজা জেমস বেঁচে যায় এবং ক্যাথলিকদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
বোমা বিস্ফোরণস্থলে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে বোমার পাহারায় ছিল গাই ফক্স। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে জনগণ ঐ দিন অর্থাৎ ১৬০৫ সালের ৫ নভেম্বরকে উদযাপন করে আনন্দের উপলক্ষ হিসেবে। ঐসময় থেকে এই দিনে পোপের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হত। আঠারশতকের দিকে এসে আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। মানুষ গাই ফক্সের নাম ও পোশাক পড়ে গাইয়ের জন্য পয়সা চাওয়া শুরু করে এই সব অনুষ্ঠানে। পোপের বদলে গাইয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করা শুরু হয় এসময় থেকে। এভাবে ৫ই নভেম্বরের নাম এখন হয়ে গেছে গাই ফক্স দিবস।
তাছাড়া আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে এখনও ব্রিটিশ পার্লেমেন্টের অধিবেসন শুরুর আগে ভূগর্ভস্থ সেলারে তল্লাসী চালানো হয়, যাতে গাইয়ের মত কেউ লুকিয়ে থাকতে না পারে। গার্ডরা সেই তল্লাসী চালায় আবার হারিকেন (লন্ঠন) হাতে নিয়ে।
আসলেই ইংল্যান্ড বড় অদ্ভূত দেশ।