মাত্রই ঘুম থেকে উঠল শুভ। ফোনে তিনটি মিসকল। নিশি ফোন দিয়েছিল। বিরক্তির সাথে কললিস্ট চেক করতে করতে একবার ভাবল কলব্যাক করবে। পরক্ষণেই মত পাল্টে ফেলল। কোন কল না করেই ফোনটা রেখে দিল আগের জায়গায়।
কিছুক্ষণ পর আবার নিশির কলে ফোনটা বেজে উঠল।
- হ্যালো
- হ্যালো, শুভ?
- কি বলার জন্য ফোন দিয়েছ।
- শুভ আমি এখনও তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে কোনভাবে ভুলতে পারছিনা।
- তাহলে ছেড়ে গিয়েছিলে কেন?
- আগের কথা বলে কি লাভ আছে?
- লাভ না থাকলেও আগের কথার ফয়সালা তো করতেই হবে।
- তাহলে শোন, আমি তোমার উপর রাগ করেই তোমাকে ছেড়ে গিয়েছিলাম। নিজেই কষ্ট পেয়েছি এতে। কষ্টে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছি।
- কিভাবে? ট্যাবলেট খেয়ে?
- হ্যা। ঘুমের ঔষধ।
- তাহলে তো তোমার বেঁচে থাকার কথা নয়।
- সময়মত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ায় ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছি।
- শোন, বোকার মত কথা বলবে না। তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি এবং এর আগেও বহুবার ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তুমি করেছ। সুতরাং তোমার ভালভাবেই জানার কথা ঠিক কতটা ট্যাবলেট খেলে তুমি মারা যাবে। অন্তত তার চেয়ে কয়েকটা বেশি ঔষধ খাওয়া উচিৎ ছিল তোমার। তারমানে তুমি জেনেবুঝেই এমন সংখ্যাক ঔষধ খেয়েছ যাতে মারা না যাও। সেইফ সাইডে থাক। সুতরাং এটাকে আত্মহত্যার চেষ্টা না বলে বলা উচিৎ দীর্ঘনিদ্রার চেষ্টা।
এরপর নিশির শুভর সাথে কথা বলার রুচি চলে যায়। নিশি শুভর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। শীঘ্রই আর একটি প্রেমে পরে নিশি। সেই প্রেমে নিশি আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আবারও ভাগ্যগুণে বেঁচে যায়। এভাবে এই চক্র চলতেই থাকে। কিন্তু নিশি বেঁচে থাকে মরেনা। কারণ নিশিরা সবসময় বেঁচে থাকে।
কিছুক্ষণ পর আবার নিশির কলে ফোনটা বেজে উঠল।
- হ্যালো
- হ্যালো, শুভ?
- কি বলার জন্য ফোন দিয়েছ।
- শুভ আমি এখনও তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে কোনভাবে ভুলতে পারছিনা।
- তাহলে ছেড়ে গিয়েছিলে কেন?
- আগের কথা বলে কি লাভ আছে?
- লাভ না থাকলেও আগের কথার ফয়সালা তো করতেই হবে।
- তাহলে শোন, আমি তোমার উপর রাগ করেই তোমাকে ছেড়ে গিয়েছিলাম। নিজেই কষ্ট পেয়েছি এতে। কষ্টে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছি।
- কিভাবে? ট্যাবলেট খেয়ে?
- হ্যা। ঘুমের ঔষধ।
- তাহলে তো তোমার বেঁচে থাকার কথা নয়।
- সময়মত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ায় ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছি।
- শোন, বোকার মত কথা বলবে না। তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি এবং এর আগেও বহুবার ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তুমি করেছ। সুতরাং তোমার ভালভাবেই জানার কথা ঠিক কতটা ট্যাবলেট খেলে তুমি মারা যাবে। অন্তত তার চেয়ে কয়েকটা বেশি ঔষধ খাওয়া উচিৎ ছিল তোমার। তারমানে তুমি জেনেবুঝেই এমন সংখ্যাক ঔষধ খেয়েছ যাতে মারা না যাও। সেইফ সাইডে থাক। সুতরাং এটাকে আত্মহত্যার চেষ্টা না বলে বলা উচিৎ দীর্ঘনিদ্রার চেষ্টা।
এরপর নিশির শুভর সাথে কথা বলার রুচি চলে যায়। নিশি শুভর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। শীঘ্রই আর একটি প্রেমে পরে নিশি। সেই প্রেমে নিশি আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আবারও ভাগ্যগুণে বেঁচে যায়। এভাবে এই চক্র চলতেই থাকে। কিন্তু নিশি বেঁচে থাকে মরেনা। কারণ নিশিরা সবসময় বেঁচে থাকে।
মঞ্জিলুর রহমান
সামারটাউন, অক্সফোর্ড