গতকাল অর্থাৎ ১লা জুন এডুইন অলড্রিন ওরফে বাজ অলড্রিন এসেছিলেন অক্সফোর্ডে। হ্যাঁ সেই বাজ অলড্রিন যিনি নীল আর্মস্ট্রং এর সাথে এপোলো ১১ তে করে গিয়েছিলেন চাঁদে। সেখানে গিয়ে চাঁদের বুকে কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়িয়েছেন। তারপর কিছু ছবি তুলে, চাঁদের ধূলি ও নুড়ি সংগ্রহ করে আবার পৃথিবীতে সহি-সালামতে ফিরে এসেছেন। চাঁদের বুকে পা রাখা মানুষ তারাই প্রথম।
এই দু'জনের নাকি চাঁদে পা দেওয়ার কথা ছিল একই সময়ে। যাতে কেউ প্রথম বা দ্বিতীয় না হয়। কিন্তু নীল আর্মস্ট্রং তাড়াহুড়ো করে সব প্রটোকল চেক না করেই চাঁদে নেমে পরে আর বাজ অলড্রিন ভাল ছাত্রের মত সব নিয়ম মাননে গিয়ে হয়ে যায় চাঁদে পা দেওয়া দ্বিতীয় মানুষ।
তার অক্সফোর্ডে আসার উদ্দেশ্য নিজের লেখা নতুন বই "নো ড্রিম ইজ টু হাই" এর প্রমোশন করা। সেই জন্য বইটির উপর একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল শেলডোনিয়ান থিয়েটারে যেখানে বাজ নিজে কথা বলেন।
ইভেন্টটি এতই পপুলার ছিল যে মাত্র একদিনেই সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। ভাগ্যিস অন্য সব কাজের মত প্রোক্রাস্টিনেট না করে এবার সময়মত টিকেটটি কেটে ফেলেছিলাম। তাই শেষ পর্যন্ত যাওয়া হল।
কথা শুরু করলেন তার নাম কেন বাজ এই নিয়ে। বাবার নাম এডুইন অলড্রিন হওয়ায় তার নাম ছিল এডুইন অলড্রিন জুনিয়র। ছোট বেলায় তার বোন তাকে বলত ব্রাদার যেটা উচ্চারণে ব্রাজার শোনা যেত। সেই থেকেই তার নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে।
ইভেন্টের শেষে ছিল বাজের লেখা বই কেনা এবং বইতে তার অটোগ্রাফ নেওয়ার ব্যবস্থা। অনেক বড় লাইন দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম বই কিনব না। কিন্তু পড়ে মনে হল আর কোনদিন কেউ চাইলেও চাঁদে যাওয়া প্রথম মানুষ হতে পারবে না। সে এখন একটা লিজেন্ডের অংশ। সুতরাং বেঁচে থাকতেই তার লেখা বইয়ে তার অটোগ্রাফ পাওয়া গেলে ক্ষতি কি! বাড়ি গিয়ে ছোট বোনকে দেওয়া যাবে। সে ব্যপারটা থেকে অনেক উৎসাহিত হবে। এই ভেবে একটা বই কিনে লাইনে দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফও নিলাম। বাজকে হাইও বলা হল। আমার একবন্ধুসহ তার সাথে একটা সেলফিও তুললাম। সেই সেলফি আমার কাছে নাই যদিও।
আমার সারাজীবনে নিজের চোখে দেখা সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে বাজ অলড্রিনই বোধ হয় শীর্ষে।