জার্নাল ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে প্লস ওয়ানের ২০০৮ সালের একটা আর্টিকেলে চোখ পড়ল। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সেমির জেকি আর জন পল রোমায়ার কাজ। তাদের নাম আগে জীবনে শুনিনি। তারা লিখেছে মস্তিষ্কের ঠিক কোন জায়গার নিউরনের কারণে মানুষের মধ্যে ঘৃণা কাজ করে সেটা দেখানোই তাদের পেপারের উদ্দেশ্য। এর আগে ভালোবাসা নিয়েও গবেষণা করেছে তারা এবং পেপারের ভূমিকায় তারা লিখেছে ভালোবাসা ও ঘৃণা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তারা এমন কিছু ফলাফল পেয়েছে যে তাতে তারা বিস্মিত।
ভালবাসা নিয়ে করা গবেষণাগুলো অবশ্য ভিন্ন জার্নালে ছাপানো হয়েছে, একটা ২০০০ সালের নিউরোরিপোর্টে আর একটা ২০০৪ সালের নিউরোইমেজে। ২০০০ সালের পেপারটা রোমান্টিক ভালোবাসা অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা নিয়ে আর ২০০৪ সালেরটা সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা নিয়ে। দুই ক্ষেত্রেই ব্যক্তিকে তার ভালোবাসার মানুষ অথবা সন্তানের ছবি দেখিয়ে তার মস্তিষ্কের এফএমআরআই করা হয়। এফএমআরআই হল এমআরআই এর একটা টাইপ, যেটার শক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এমআরআই মেশিনের থেকে অনেক বেশি। মস্তিষ্কের এফএমআরআই করলে দেখা যায় একটা ঐ সময় মস্তিষ্কের কোন কোন জায়গাগুলো বেশি কাজ করছে আর কোন কোন জায়গাগুলো কম কাজ করছে।
তো গবেষণায় দেখা গেছে প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা আর মা-সন্তানের ভালোবাসায় মস্তিষ্কের একই জায়গাগুলো কাজ করে। অর্থাৎ এই দুই ধরণের ভালোবাসার ক্ষেত্রে মস্তষ্কের ক্রিয়া মোটামোটি একই।
ঘৃণা নিয়ে করা গবেষণায় ব্যক্তিকে এমন একজনের ছবি দেখানো হয় যাকে সে প্রচন্ড ঘৃণা করে। এই অবস্থায় তার মস্তিষ্কের এফএমআরআই করা হয়। এতে দেখা গেছে ঘৃণার পিছনে মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলো ভালোবাসার ক্ষেত্রে কাজ করে না। তবে ব্যতিক্রম হল পিউটামেন আর ইনসুলা। মস্তিষ্কের এই জায়গাগুলো ভালোবাসা আর ঘৃণা দুই ক্ষেত্রেই কাজ করে। এ থেকে একটা ব্যপার ব্যাখ্যা করা যায় যে, কিভাবে অনেক সময় ভালোবাসা খুব দ্রুত ঘৃণায় পরিণত হয়। যদিও কিভবে তা হয় সেটা বোঝার জন্য আরও গবেষণা দরকার।
এই গবেষণাগুলো আর একটা দারুণ ব্যাপারও দেখিয়েছে। সেটা হল যখন কেউ তার ভালোবাসার মানুষের ছবি দেখে তখন মস্তিষ্কের কিছু কিছু জায়গা অনেক কম কাজ করে। এই জায়গাগুলো মূলত মানুষের বিচার বিবেচনা এবং অন্যের উদ্দেশ্য বোঝার জন্য দায়ী। কিন্তু ঘৃণিত ব্যক্তিকে দেখলে এই জায়গাগুলো অনেক বেশি করে কাজ করে। এইজন্যই, ভালোবাসার মানুষের সব কাজকেই ঠিক মনে হয়, মনে হয় তার কোন ভুল নেই, আর ঘৃণিত মানুষের সব কাজকেই ভুল মনে হয়। অর্থাৎ কেউ যদি আপনাকে ঘৃণা করে তাহলে আপনার যেকোন কাজই সে একটা না একটা ভুল খুঁজে পাবে। আর আপনাকে ভালোবাসলে আপনার সব ভুলগুলো তার দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে। মনে হবে যেন সে একটা অন্ধ। এইজন্যেই বলে, লাভ ইজ ব্লাইন্ড।
ভালবাসা নিয়ে করা গবেষণাগুলো অবশ্য ভিন্ন জার্নালে ছাপানো হয়েছে, একটা ২০০০ সালের নিউরোরিপোর্টে আর একটা ২০০৪ সালের নিউরোইমেজে। ২০০০ সালের পেপারটা রোমান্টিক ভালোবাসা অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা নিয়ে আর ২০০৪ সালেরটা সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা নিয়ে। দুই ক্ষেত্রেই ব্যক্তিকে তার ভালোবাসার মানুষ অথবা সন্তানের ছবি দেখিয়ে তার মস্তিষ্কের এফএমআরআই করা হয়। এফএমআরআই হল এমআরআই এর একটা টাইপ, যেটার শক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এমআরআই মেশিনের থেকে অনেক বেশি। মস্তিষ্কের এফএমআরআই করলে দেখা যায় একটা ঐ সময় মস্তিষ্কের কোন কোন জায়গাগুলো বেশি কাজ করছে আর কোন কোন জায়গাগুলো কম কাজ করছে।
তো গবেষণায় দেখা গেছে প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা আর মা-সন্তানের ভালোবাসায় মস্তিষ্কের একই জায়গাগুলো কাজ করে। অর্থাৎ এই দুই ধরণের ভালোবাসার ক্ষেত্রে মস্তষ্কের ক্রিয়া মোটামোটি একই।
ঘৃণা নিয়ে করা গবেষণায় ব্যক্তিকে এমন একজনের ছবি দেখানো হয় যাকে সে প্রচন্ড ঘৃণা করে। এই অবস্থায় তার মস্তিষ্কের এফএমআরআই করা হয়। এতে দেখা গেছে ঘৃণার পিছনে মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলো ভালোবাসার ক্ষেত্রে কাজ করে না। তবে ব্যতিক্রম হল পিউটামেন আর ইনসুলা। মস্তিষ্কের এই জায়গাগুলো ভালোবাসা আর ঘৃণা দুই ক্ষেত্রেই কাজ করে। এ থেকে একটা ব্যপার ব্যাখ্যা করা যায় যে, কিভাবে অনেক সময় ভালোবাসা খুব দ্রুত ঘৃণায় পরিণত হয়। যদিও কিভবে তা হয় সেটা বোঝার জন্য আরও গবেষণা দরকার।
এই গবেষণাগুলো আর একটা দারুণ ব্যাপারও দেখিয়েছে। সেটা হল যখন কেউ তার ভালোবাসার মানুষের ছবি দেখে তখন মস্তিষ্কের কিছু কিছু জায়গা অনেক কম কাজ করে। এই জায়গাগুলো মূলত মানুষের বিচার বিবেচনা এবং অন্যের উদ্দেশ্য বোঝার জন্য দায়ী। কিন্তু ঘৃণিত ব্যক্তিকে দেখলে এই জায়গাগুলো অনেক বেশি করে কাজ করে। এইজন্যই, ভালোবাসার মানুষের সব কাজকেই ঠিক মনে হয়, মনে হয় তার কোন ভুল নেই, আর ঘৃণিত মানুষের সব কাজকেই ভুল মনে হয়। অর্থাৎ কেউ যদি আপনাকে ঘৃণা করে তাহলে আপনার যেকোন কাজই সে একটা না একটা ভুল খুঁজে পাবে। আর আপনাকে ভালোবাসলে আপনার সব ভুলগুলো তার দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে। মনে হবে যেন সে একটা অন্ধ। এইজন্যেই বলে, লাভ ইজ ব্লাইন্ড।