tag:blogger.com,1999:blog-87952339794333986892024-03-20T00:07:47.780+06:00মঞ্জিলুর রহমানের ডায়েরীআমার বাংলা ব্লগ
<br>bangla.monzilurrahman.comMonzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comBlogger117125tag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-54032206055818264462021-01-02T13:54:00.009+06:002021-01-02T18:17:15.638+06:00মানুষ কি আসলেই বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন একটা প্রাণী?<div><div dir="auto"><div class="ecm0bbzt hv4rvrfc e5nlhep0 dati1w0a" data-ad-comet-preview="message" data-ad-preview="message" id="jsc_c_cm"><div class="j83agx80 cbu4d94t ew0dbk1b irj2b8pg"><div class="qzhwtbm6 knvmm38d"><span class="d2edcug0 hpfvmrgz qv66sw1b c1et5uql rrkovp55 a8c37x1j keod5gw0 nxhoafnm aigsh9s9 d3f4x2em fe6kdd0r mau55g9w c8b282yb iv3no6db jq4qci2q a3bd9o3v knj5qynh oo9gr5id hzawbc8m" dir="auto"><div class="kvgmc6g5 cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;"></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">যখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তখন বিচারবুদ্ধির ভূমিকা কতটুকু আর আবেগের ভূমিকা কতটুকু?</div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">প্রতিদিনই আমরা সাধারণত অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। এই যেমন ঘুম থেকে ওঠার পর ঠিক কোন কাজ করব। সকালে কি খাব। অফিসে যাব কি যাব না। অফিসের পর কি করব। কাউকে ফোন দিব কি দিবোনা।</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQ44Jne0dfFa0ioXcIxAiG1Ik8pJMHEROY7f4dc_X3lC-Q9iANhib4vNCbwYakdtZfr65xpDUO7yS1h3O1F-AUG6uvMz1LC5uBQr0Ii0lJbvwMou59kPGSR0hUEwoFri_auNF2QXUHi-CM/s673/image.axd.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="473" data-original-width="673" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQ44Jne0dfFa0ioXcIxAiG1Ik8pJMHEROY7f4dc_X3lC-Q9iANhib4vNCbwYakdtZfr65xpDUO7yS1h3O1F-AUG6uvMz1LC5uBQr0Ii0lJbvwMou59kPGSR0hUEwoFri_auNF2QXUHi-CM/s320/image.axd.jpg" width="320" /> </a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ছবিতেঃ ধূসর ভাজযুক্ত অংশই মস্তিস্কের নিওকর্টেক্স, বর্ণযুক্ত অংশ লিম্বিক সিস্টেম।</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div></div><span><a name='more'></a></span><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">একটা সহজ উদাহরণ দেওয়া যাক। আপনি একটি কাপড়ের দোকানে গেলেন। একটা জামা কিনবেন। বিক্রেতা কয়েকটা জামা দেখালো আপনাকে। এরমধ্যে একটি জামার বেলায় বলল, এই জামায় আপনাকে যা লাগবেনা! আপনি লজ্জায় আটখানা হয়ে জামাটি কিনে নিলেন। </div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">আর একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। আপনি ফেসবুকে ঢুকে ভিডিও দেখা শুরু করলেন। একটার পর একটা ভিডিও দেখছেন কারণ আপনার ভালোলাগে। </div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">আরো একটি উদাহরণ দেই। আপনি ফেসবুক ব্রাউজ করছেন। হঠাৎ করে আপনার প্রিয় তারকার একটি ছবি দেখে আপনি আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলেন। কমেন্টে লিখলেন, আই লাভ ইউ।</div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">উপরে কয়েকটা ঘটনার উদাহরণ দিলাম যেগুলোকে অবিবেচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদাহরণ বলা যায়। </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">এইযে আবেগ অনেক সময়ই আমাদের বিচার বুদ্ধির উপর কর্তৃত্ব করে তার কারণ হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের একটি অংশ যাকে আমরা ইংরেজীতে লিমবিক সিস্টেম বলে থাকি। আর মস্তিষ্কের নিওকর্টেক্স হল বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন এলাকা। আর মস্তিষ্কের নিওকর্টেক্স হল বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন এলাকা। করোটির কাছাকাছি থাকে নিওকর্টেক্স আর গভীরে থাকে লিমবিক সিস্টেম (ছবি উপরে)। <br /></div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্য নিওকর্টেক্স থাকলেও কীট-পতঙ্গ, উভচর এবং সরীসৃপদের তা থাকে না। সরীসৃপ যেমন সাপ, গিরকিটি ও টিকটিকিদের মধ্যে মস্তিষ্কের লিমবিক সিস্টেম সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ একটি সরীসৃপ যখন খাবারের সন্ধান করছে এবং আশেপাশে ঘুরে খাবার খুঁজছে তখন এর লিমবিক সিস্টেম মূলত একে চালিত করছে।</div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">সরীসৃপরা প্রবৃত্তি দ্বারা প্রতিনিয়ত তারিত হয় এবং ক্ষুধা, যৌনতা এবং প্রজননের পিছনে জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করবে। অন্যদিকে স্তন্যপায়ীরা বিশেষ করে প্রাইমেট (বাংলা করলে দ্বারায় - শ্রেষ্ট বর্গভুক্ত) অর্থাৎ লেমুর, বানর, শিম্পাঞ্জি, গরিলা ও মানুষ এদের আচরণ মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় নিওকর্টেক্স এর মাধ্যমে। এই কারণে এরা অনেক জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে।</div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">তবে ক্ষুধা, যৌনতা বা অন্যান্য কিছুর অভাববোধ করলে প্রাণীর লিমবিক সিস্টেমই মূলত তাকে তারিত করে। এক্ষেত্রে মানুষকে বেশি আবেগী হতে দেখা যায়।</div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">যে সমাজে অভাব অনটন বেশি সেই সমাজে বিচারবুদ্ধির উপর আবেগের রাজত্ব বিদ্যমান থাকে। একারণে মানুষ কতটুকু বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন সেটা অনেক সময় তার অভাব ও স্বচ্ছলতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ...</div><div dir="auto" style="text-align: start;"> </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q"><div dir="auto" style="text-align: start;">মঞ্জিলুর রহমান</div><div dir="auto" style="text-align: start;">- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div></div></span></div></div></div></div></div><p> </p>Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-57275404861979453472021-01-02T06:36:00.000+06:002021-01-02T06:36:37.900+06:00শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল ২০২০<p>গত কয়েকবছর ধরে ফেসবুক এবং আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে কিছুটা লেখালিখি করছি। প্রত্যেক বছরের প্রথম দিনেই আমি সাধারণত গত বছরের ঘটনাবলী নিয়ে একটা পোস্ট লিখি। এবারও তা করতে চেয়েছি। কিন্তু পিছন ফিরে তাকালে স্মরণীয় ঘটনার চেয়ে সংকটের বাহুল্যই বেশি চোখে পড়ে।</p><p>সংকটের কোন অভাব ছিল না ২০২০ সালে। একদিকে করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী অন্যদিকে আমার পিএইচডির ফান্ডিং শেষ হওয়া দুই মিলিয়ে বেশ কাঠখোড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও বছরটা ভালয় ভালয় শেষ করতে পেরেছি এইটাই স্বস্তির বিষয়।</p><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeuQTlmT8pYNKGioAsztTc2OPd6rHk_5aP3c3vZk-Gl0y18Lp8jq9Is5hQtnymXyjr5ejhXje8oJI11KPeGL4KZ6C5U_cu3E5-zutCiBIuIJhpVpBrHXPPKwi-wDW3o_qGL827309v6aZ4/s1574/Coronavirus+COVID-19.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1500" data-original-width="1574" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeuQTlmT8pYNKGioAsztTc2OPd6rHk_5aP3c3vZk-Gl0y18Lp8jq9Is5hQtnymXyjr5ejhXje8oJI11KPeGL4KZ6C5U_cu3E5-zutCiBIuIJhpVpBrHXPPKwi-wDW3o_qGL827309v6aZ4/s320/Coronavirus+COVID-19.jpg" width="320" /></a></div><br /><span><a name='more'></a></span>কোভিড-১৯<p></p><p>জানুয়ারী ২০২০ঃ বছরটা শুরু করেছি স্পেনের আন্দালুসিয়া ভ্রমণের মধ্য দিয়ে। ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মৃদু আবহাওয়া আর দারুণ ঝলমলে রোদে শীতের দিনগুলো বেশ ভালভাবেই কাটছিল। এরসাথে ছিল ঘোরাঘুরি আর খাবার দাবার - নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ, অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী, জলপাই আর কাজুবাদাম। স্পেনের খাবারের গুণগত মান যুক্তরাজ্যের খাবারের গুণগত মান থেকে অনেক ভাল। জীবন-যাপন আর আমোদ আহলাদের দিক থেকে ইউরোপের মূল ভুখণ্ডের লোকজন সবসময়ই বিলেতের থেকে এগিয়ে থাকে।</p><p>মালাগা, কর্ডোবা, গ্রানাডা আর সেভিয়ার পথে প্রান্তরে ঘুরে যখন অক্সফোর্ডে ফিরে আসলাম ততদিনে বিশ্ব গণমাধ্যমে এক ভাইরাসের কথা প্রচারিত হচ্ছে। চীনের উহান শহরে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরছে সেই ভাইরাস। ইউরোপের মানুষজন সেইভাবে এই ভাইরাসকে গা করছে না।</p><p>অক্সফোর্ডে ফিরে আমি কিছুটা চৈতন্য ফিরে ফেলাম। আমার পিএইচডি এর ফান্ডিং মার্চ পর্যন্ত। এরপরে অর্থ উপার্জন করতে না পারলে গাছতলায় থাকা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তাই খরচ কমানোর জন্য বাসা পরিবর্তন করলাম যাতে বাসাভাড়ায় কিছু টাকা বাঁচে। কিন্তু নতুন বাসায় গিয়ে দেখি বাড়িওয়ালা আমাকে মিথ্যা বলেছে। এই বাসায় প্রকৃতপক্ষে দুইজনের বদলে প্রায় পাঁচজন মানুষ থাকে। সবাই পাকিস্তানি। মানুষ হিসেবে বেশ ভাল। আমাকে ভাই বলে। কিন্তু এত মানুষজনের ভীড়ে থাকা সম্ভব নয় তাই আমি আমার পুরনো বাসায় আবার ফেরত গেলাম।</p><p>মার্চ ২০২০ঃ অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে আমি কিছু চাকুরির জন্য আবেদন করেছি। কয়েকটাতে ইন্টারভিউয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছি। একটা পোস্টডকের জন্য আমেরিকার একজন প্রফেসর বলল সে আমাকে চাকুরি অফার করতে চায় আমি যাব কিনা। আমি তখনও ঠিক করিনি যাব কিনা তবে বললাম আমার যাওয়ার ইচ্ছা বলেই তো জবে এপ্লাই করেছি। এরইমধ্যে একটা ইমেইল পেলাম একটা স্টার্ট আপ থেকে। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আমাকে গবেষক হিসেবে নেওয়ার জন্য ইন্টারভিউ নিতে চায়। আমি হ্যাঁ বললাম। কিন্তু আলোচনা ও ইন্টারভিউ শেষে বোঝা গেল আমার জন্য তাদের পজিশনটা ঠিক নয়। </p><p>এরই মধ্যে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম উহানের করোনা ভাইরাস ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপই ইউরোপ আমেরিকায় আতংক শুরু হয়ে গেল। সেই সপ্তাহান্তে আমার কার্ডিফ যাওয়ার কথা ছিল ভ্রমণের জন্য। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হওয়া শুরু করল যুক্তরাজ্যে। তাই কার্ডিফ ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে ফেললাম। পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি খারাপ হতে লাগল। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে থাকল। প্রথমে সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধোওয়া, এরপর বাসা থেকে কাজ করা, সবশেষে শুরু হল লকডাউন। বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। শুরুমাত্র জরুরী প্রয়োজন ও শরীর চর্চার জন্য বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে। আমি সরকারী নির্দেশ মোতাবেক বাড়িতে সময় যাপন করতে থাকলাম। ছাদে যাই, পার্কে যাই আর বই পড়ি।<br /></p><p><br /></p><p>করোনাকাস্ট</p><p>এপ্রিল ২০২০ঃ লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমরা কয়েক বন্ধু (সামির, হাসান, আনিস এবং কচি) নিয়মিত আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম অনলাইন ভিডিওর মাধ্যমে। একদিন আমি বন্ধুদেরকে প্রস্তাব দিলাম আমাদের আড্ডাগুলো ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রচার করলে কেমন হয়। প্রথমে কেউ রাজি না হলেও ধীরে ধীরে সবাই রাজি হয়ে গেল। এভাবেই শুরু হল করোনাকাস্ট। করোনাভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে নতুন তথ্য ও গবেষণাগুলোকে আমরা তুলে ধরতে থাকলাম আলোচনার মাধ্যমে। এপ্রিল ও মে মাস জুরে অনেকগুলো পর্ব করা হয়েছিল করোনাকাস্টের। </p><p><br /></p><p>গবেষণা</p><p>জুন ২০২০ঃ মহামারীর কারণে পিএইচডির কোন কাজ হয়নি গত কয়েকমাসে। তাই লকডাউন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আবার কাজে মনোযোগ দেওয়া শুরু করলাম। এরইমধ্যে শহর থেকে দূরে গাছগাছালি পূর্ণ সুন্দর একটা বাসা খুঁজে বের করেছি। বসন্ত আর গ্রীষ্মের দিনগুলো এই বাসায় বসেই কাজ করতে থাকলাম। আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য কলেজের কাছে আবেদন করলাম। তারা বাড়তি কিছু ফান্ডিং দিতে রাজি হল।</p><p>অগাস্ট ২০২০ঃ গত কয়েকমাসের টানা পরিশ্রমে আমার একটি গবেষণাপত্রের রিভিশনের কাজ শেষ। জমা দিলাম। দুইটি চাকুরির অফার পেলাম। আমেরিকারটা এবং একটা স্টার্ট-আপে। কিছুদিনের মধ্যেই স্টার্ট-আপ বলল কাজ শুরু করে দিতে। আমার যেহেতু অর্থাভাব চলছিল তাই পার্ট-টাইম কাজ শুরু করে দিলাম। <br /></p><p>সেপ্টেম্বর ২০২০ঃ যুক্তরাজ্যে গ্রীষ্মকাল শেষ। শরতের আমেজ শুরু হয়ে গেলে। এরই মধ্যে আমার স্টার্ট বলল আমি যেন অক্টোবর থেকে অফিসে যাওয়া শুরু করি। এতদিন বাসা থেকে কাজ করছিলাম। তাদের অফিস ইংল্যান্ডের একটি ছোট শহর (টাউন - কিন্তু সিটি নয়) লাফবরহতে। সেপ্টেম্বরের একদিন সেখানে আমার নতুন অফিস দেখতে চলে গেলাম। অফিস দেখে একটা বাসা ঠিক করে চলে আসলাম সেখানে অক্টোবরে উঠার জন্য।<br /></p><p><br /></p><p>চাকরি</p><p>অক্টোবর ২০২০ঃ লাফবরহতে চলে এসেছি অফিস করার জন্য। পরিকল্পনা হচ্ছে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাওয়া, আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করা এবং ভিসা পেলে প্রথমে বাংলাদেশে যাওয়া আর ফিরে এসে আমেরিকা চলে যাওয়া। পিএইচডি এর থিসিস জমা দিয়ে দিব এই ফাঁকে। কিন্তু ভিসা অফিসে যোগাযোগ করার পর জানতে পারলাম আমেরিকার দূতাবাস ভিসার সাক্ষাতকার দিচ্ছে না। তাই পূর্বের পরিকল্পনা বাতিল করলাম।</p><p>নভেম্বর ২০২০ঃ আবারও করোনা মহামারীর প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় দ্বিতীয় লকডাউন দেওয়া হল। আমি বাসা থেকে কাজ করা শুরু করলাম। পিএইচডি এর থিসিস জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে দিলাম।</p><p>ডিসেম্বর ২০২০ঃ লাফবরহতে আমার কোন বন্ধু-বান্ধব নেই। অফিসে যাওয়া নেই। বাসায় থাকতে থাকতে ভয়াবহ বিষন্নতা গ্রাস করতে থাকল আমাকে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আবারও অক্সফোর্ডে ফিরে আসলাম। এই বাসার পিছনে বাগান আর তারপর নদী। বাগানে কাঠবিড়ালি, পাখি আর হরিণেরা বেড়াতে আসে মাঝে মধ্যে। লাফবরহ থেকে আমার সব জিনিসপত্র আনিনি এখনও। জানুযায়িতে যাব সেগুলো নিয়ে আসতে।</p><p><br /></p><p>পরিকল্পনা</p><p>পুরো ২০২০ সাল ছিল পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার বছর। তাই নতুন করে তেমন পরিকল্পনা করছি না। কিন্তু কিছুদিন আগে বন্ধু এলেক্সের সাথে হাঁটতে বের হলে ও বলল, চল আমরা দুই জনে মিলে কিছু একটা করি। আমি একটা প্রকল্পের আইডিয়া বললাম। এখন সেটা নিয়ে কাজ করা শুরু হতে পারে। তবে আমি বেশি প্রেসার দিচ্ছি না নিজেকে। প্রত্যাশা কম কিভাবে করতে হয় সেটা মহামারীর একবছর হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিয়েছে আমাকে। ২০২১ এ থিসিস জমা দিব। পোস্টডক শুরু করব। সাথে কোন একটা সাইড প্রজেক্ট হিসেবে একটা স্টার্ট-আপ শুরু করার ইচ্ছা আছে। হলে হবে, না হলে নাই। এত বড় একটা মহামারী পার করতে পেরেছি এটাই অনেক বড় একটা সার্থকতা।</p><p><br /></p><p>শিক্ষা</p><p>মহামারীর একবছরে শিক্ষণীয় জিনিসের কোন অভাব নাই। সবচেয়ে বড় যেটা শিখেছি তা হল বিপদ কখন আসে তা বলা কঠিন। তাই বিপদের প্রস্তুতি রাখা উচিত সব সময়। এই সময়ে আমি অর্থ জমানোর গুরুত্ব বুঝতে শিখেছি। একটা ভাল বাসা যেখানে আরামদায়কভাবে প্রশান্তির সাথে কাজ করা যায় তার গুরুত্ব বুঝতে শিখেছি। সাথে সাথে বুঝতে শিখেছি কাছের মানুষগুলোর সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব।<br /></p><p> </p><p>মঞ্জিলুর রহমান</p><p>- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড <br /></p>Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-58366055959363977072020-04-30T19:17:00.000+06:002020-08-03T19:20:02.521+06:00অন্ধকারের আলো<p> "তোমার সবদিকে যখন অন্ধকার,<br /> তখন চারপাশটা আর একবার একটু ভাল করে দেখ।<br /> কারণ এমনো হতে পারে - অন্ধকারের মাঝে তুমিই আলো।"<span class="text_exposed_show"><br /> --- জালাল উদ্দিন রুমী<span></span></span></p><a name='more'></a><p></p><div class="text_exposed_show"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s800/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="351" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/w512-h351/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="512" /></a></div><p> </p><p>গত দুই সপ্তাহের বাসন্তি আবহাওয়ার পর অক্সফোর্ড আবার মেঘলা। সকাল থেকে টুপুর টুপুর করে বৃষ্টি পরছে।</p><p> বৃষ্টি হলে প্রতিদিনের মত দৌড়াতে বা হাঁটতে যাওয়া হয় না।</p><p> তাই কফি খেতে খেতে দু'চার লাইন লেখি ফেসবুকে।</p><p> ইংল্যান্ডের বসন্ত কাল শুরু হয়ে যায় মার্চের শেষদিক থেকে। শীতে ন্যাড়া হয়ে যাওয়া গাছে একটা দুইটা পাতা গজাতে শুরু করে।</p><p> এপ্রিলে সবগাছই প্রায় সবুজ হয়ে যায়। পার্কগুলো আর রাস্তার ধারের ফুলগাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে যায়।</p><p> সবার শুরুতেই ফোঁটা শুরু করে ড্যাফোডিল। পার্কের লন, বাসা-বাড়ির সামনে এবং কবরস্থান সবখানেই ড্যাফোডিলের দেখা মেলে।</p><p> ঘাসফুল গুলো ফোঁটা শুরু করে তার পরপরেই। ডেইজি, বাটারকার্প, ড্যান্ডিলায়ন আর স্পিডওয়েলে পার্কের লনগুলো ভরে যায়।</p><p> এরসাথে পার্কের কোনায় বা বাসা-বাড়ির বাগানে ফোঁটে টিউটিপ আর লাইলাক।</p><p> চেরীগাছগুলো ফুলেফুলে ভরে যায়। আপেল, ক্র্যাব আপেলও যোগ হয়ে এদের সাথে।</p><p>
বৃক্ষ ধরণের গাছের মধ্যে বীচ, বার্চ আর চেস্টনাট গাছগুলোয় পাতা চলে আসে।
চেস্টনাট গাছগুলোয় ফুল ফুটলে চারদিকের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়।</p><p> তাই
রোদেলা দিনে ঘরের ভেতরে বসে থাকা কঠিন। আলতো রোদে প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটতে
বা দৌঁড়াতে বের হয়। বাসায় থাকলেও বেশিরভাগ সময় ছাদে গিয়ে কাজ করি বা বই
পড়ি। আমাদের ছাদ থেকে দেখা যায় অক্সফোর্ডের অনেকগুলো কলেজের দালান। প্রতিটা
কলেজের দালানের শীর্ষে থাকে অনেকটা গম্বুজেরমত মোচাসদৃশ চূড়া। এক্সেটার,
লিংকন, জিসাস, ট্রিনিটি আর ব্যালিওল কলেজের স্থাপত্য উপভোগ করার জন্য
আমাদের ছাদ একটা দারুণ জায়গা।</p><p> আজ মেঘলা দিনেও নিজেকে তাই ভাগ্যবান মনে হয় এই ভেবে যে - বন্দীত্বের এই সময়েও জীবনটা তেমন খারাপ নয়।</p><p> সত্যি বলতে অনেক অন্ধকারের মধ্যেও খুঁজলে আলো পাওয়া যায়। কৃষ্ণ-গহ্বরেরও আলো থাকে।</p><p> খারাপ সময় নিজের চারপাশে ভাল করে একটু তাকালেই খুঁজে পাওয়া যায় সুখের চিহ্ন বা পরিতৃপ্তির আহ্লাদ।</p><p> মঞ্জিলুর রহমান<br /> অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য।</p></div>Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-85666204140452784382020-01-04T20:20:00.000+06:002020-08-03T19:22:12.803+06:00আল-আন্দালুস<div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message" id="js_5"><p>
মধ্যযুগে সমগ্র ইউরোপ যখন অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন স্পেনের মুসলিমরা
গড়ে তুলেছিল জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এক সাম্রাজ্যের। দক্ষিণ স্পেনের
বিস্তৃত অঞ্চল ছিল এই সাম্রাজ্যের অধীনে। আরবেরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেছিল
আল-আন্দালুস। বর্তমান সময়ে এই অঞ্চলকে সবাই চেনে স্পেনের রাজ্য আন্দালুসিয়া
হিসেবে।<span></span></p><a name='more'></a><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s800/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="351" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/w512-h351/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="512" /></a></div><p> </p><p>আন্দালুসিয়া সমন্ধে আমি তেমন কিছুই জানতাম না। পাওলো
কোয়েলহোর ফ্যান্টাসি উপন্যাস দ্যা আলকেমিস্ট বইয়ে এর কথা উল্লেখ থাকলেও
আন্দালুসিরার ইতিহাস সমন্ধে আমার জ্ঞান শুন্যই ছিল বলা যায়।</p><p> তাই
এবারের ছুটিতে বেড়াতে যাব বলে গন্তব্য হিসেবে যখন স্পেনের এই প্রদেশকে বেছে
নিলাম স্বাভাবিকভাবে আন্দালুসিয়ার কিছু ইতিহাস আগে থেকে জেনে নেওয়ার সুযোগ
হাতছাড়া করলাম না। বিভিন্ন উৎস থেকে আমি যে তথ্যগুলো জেনেছি সেটাই এই
লেখার বিষয়বস্তু।<br /> আমার প্রশ্ন ছিল স্পেনে মুসলিমরা এসেছিল কিভাবে? আর
এসেছিলই যখন তারা সেখান থেকে হারিয়ে গেল কিভাবে? উল্লেখ্য, আধুনিক স্পেন
মূলত ক্যাথলিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত এবং এর জনসংখ্যার খুব ক্ষুদ্র অংশ
মুসলমান। কিন্তু সাতশ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর স্পেনের চেহারা ছিল আলাদা।
বিশেষ করে এর দক্ষিণাংস। আরবদের কৃতিত্বে আন্দালুসিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল ছিল
মুসলিমদের শাসনাধীন। সেখানে মুসলমান, ইহুদী ও খ্রীস্টান একে অপরের সাথে
সহাবস্থান করত এবং ধর্ম নিয়ে সেভাবে কোন রক্তারক্তি ছিল না।</p><p> স্পেনের
মুসলিমরা এসেছিল মূলত উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে। ছয়শ
শতাব্দীতে মদীনায় মুসলিম সাম্রাজ্য পত্তনের পরপরই খুব দ্রুত সেই সাম্রাজ্য
বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। একশ বছরের মধ্যেই তা সিরিয়া, মিসর এবং মরক্কোর
উত্তরের অনেক অংশে বিস্তার লাভ করে। সিরিয়া ও মরক্কোর মুসলিমরা ভূমধ্যসাগর
পার হয়ে স্পেনে প্রবেশ করলে সেখান থেকেই কালসুচনা হয় নতুন এক সভ্যতার। সেই
সভ্যতা মোটেও ধর্মীয় গোঁড়ামি নির্ভর ছিল না। বরং গণিত, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের
চর্চায় তারা ছিল এশিয়া ও ইউরোপের অন্যান্য যেকোন অঞ্চলের চেয়ে অনেক এগিয়ে।</p><p>
আল-আন্দালুসের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কর্ডবা শহর। নবম – দশম শতকের দিকে মুসলিম
শাসনামলে এই শহরে গড়ে ওঠে বড় বড় প্রাসাদ, অট্টালিকা এবং বাগান। সেসময় এই
শহরের জনসংখ্যা এবং চাকচিক্য ছিল লন্ডনের থেকেও বেশি। কর্ডবার পাশাপাশি আর
একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল গ্রেনাডা। এই শহর ছিল আল-আন্দালুসের সাংস্কৃতিক
রাজধানী। সকল ধর্মের কবি, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীরা এখানে তাদের স্বাধীন
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করত।</p><p> শিক্ষা-দীক্ষায় আল-আন্দালুস ছিল একদম
আধুনিক। রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ সবাই শিক্ষা গ্রহণ করত। শিক্ষা
মানে শুধু কোরান পরে তেলাওয়াত করা নয় বরং জীবনের উপযোগি প্রায়োগিক শিক্ষা।
খ্রিস্টান সমাজে শুধু পাদ্রিরা জ্ঞানের চর্চা করত। কিন্তু আল-আন্দালুসে
ধনী-গরীব সকলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তাই খুব দ্রুতই এই অঞ্চল অনেক ধনী এবং
সম্পদশালী হয়ে ওঠে। সেই ধন-সম্পদ ব্যবহার করেই তারা তাদের অবকাঠামো এবং
সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখে।</p><p> বলা হয়ে যাকে, সাধারণ জীবনের
সমস্যাগুলো আল-আন্দালুসের মানুষজন সমাধান করত গণিত ও যুক্তির দ্বারা। এর
মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা না গেলেই কেবল তারা ধর্ম গ্রন্থের আশ্রয় গ্রহণ
করত।</p><p> স্পনের এই মুসলিমরা একদিকে যেমন আরব থেকে বয়ে আনা জ্ঞানের
চর্চা করত, তেমনি তারা পশ্চিমা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাও অব্যাহত রেখেছিল।
তাদের কারণেই আরবের বিভিন্ন মনীষিদের কাজ ল্যাটিনে অনুবাদিত হয়। সেইসব
অনুবাদের কারণে প্রাচীন গ্রীসের হারিয়ে যাওয়া জ্ঞান আরব হয়ে আবার ইউরোপে
ফিরে আসে। অক্সফোর্ডের লাইব্রেরীতে এমন আরবী থেকে ল্যাটিনে অনুবাদিত অনেক
পান্ডুলিপি এখনও সংরক্ষিত আছে।</p><p> স্পেনের এই মুসলিম সভ্যতার হাত ধরেই
ইউরোপে নবজাগরণ তথা রেনেসাঁর উদ্ভব হয়। সেখান থেকে আধুনিক ইউরোপের সূচনা।
কিন্তু ইউরোপে আল-আন্দালুসের ভূমিকা কখনও সেভাবে স্বীকৃত হয়নি। সত্যিকার
অর্থে মুসলিমরাও আল-আন্দালুসকে তার প্রাপ্য কৃতিত্বটি দেয় নি। দ্বাদশ
শতাব্ধীতে উত্তর আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে মুসলিমরা মনে করে আল-আন্দালুস
এলাকার মানুষজন পথভ্রান্ত মুসলমান। তাদের মধ্যে ‘খাঁটি’ ইসলাম প্রতিষ্ঠার
উদ্দেশ্যে তারা আল-আন্দালুস আক্রমণ করে। একদিকে দক্ষিণ থেকে আফ্রিকার
মুসলিমদের আক্রমণ অন্যদিকে উত্তর থেকে ক্যাথলিকদের আক্রমণে আল-আন্দালুস
ধীরে ধীরে দূর্বল হতে থাকে। চৌদ্দশ সালে সর্বশেষ গ্রেনাডার পতনের মাধ্যমে
ইতিহাসে সমাপ্ত হয় আল-আন্দালুস নামক অধ্যায়ের। ক্যাথলিকরা সমগ্র স্পেনে
পুনরায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে যা আজ অবধি বর্তমান।</p><p> এবারের স্পেন সফরে
কর্ডবা এবং গ্রেনাডা এই দুই শহরেই ঘুরতে যাব। এই লেখাটি যখন লিখছি তখন আমি
লন্ডন থেকে মালাগাগামী বিমানে। মালাগার পর গ্রেনাডা, কর্ডবা ঘুরে তারপর
যাব সেভিয়ায়। সেভিয়া থেকে ফিরব অক্সফোর্ডে। দেখা যাক, আন্দালুসিয়া তথা
আল-আন্দালুসে কি ধরণের এডভেজ্ঞার অপেক্ষা করছে আমার জন্য।</p><p> - লন্ডন ও মালাগার মধ্যকার কোন এক জায়গায়<br /> ৩/১/২০১৯</p></div>Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-78364444799787941872019-12-31T20:22:00.002+06:002020-08-03T17:49:17.650+06:00যেমন ছিল আমার ২০১৯ঃ গবেষণা এবং জীবন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message" id="js_9">
তিনটি শব্দে বছরটির সারসংক্ষেপ করতে গেলে যা দাঁড়ায় তা হলোঃ পুরোই দৌড়ের উপর।<br />
গত জানুয়ারীতে আমস্টারডাম শহরের জমকালো আলোকসজ্জায় যখন নতুন বছরের উৎযাপন করছিলাম তখন বোঝার কোন উপায় ছিলনা কি অপেক্ষা করছে এ বছরে। <br />
<br />
আমস্টারডাম - ব্রাসেলস ট্যুর শেষ করে অক্সফোর্ডে প্রথম দিন ল্যাবে গিয়ে
পুরাতন ইমেইল ঘাটতে গিয়ে বুঝলাম একটা বিশেষ ইমেইল প্রথমবার পড়ার সময় বিশাল
ভুল করে ফেলেছি। সেই ইমেইলটি ছিল একটা সম্মেলনের বিষয়ে।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>ফেব্রুয়ারী
মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমার গবেষণা
নিয়ে একটা পোস্টার উপস্থাপন করার কথা। ভেবেছিলাম সান ডিয়োগের সম্মেলনের
জন্য যে পোস্টারটা বানিয়েছিলাম সেটা দিয়েই কাজ চালিয়ে দিব। তাই নতুন করে আর
পোস্টার বানানোর প্রয়োজন ছিল না।</div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message"><br /></div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message">
কিন্তু ভাল করে ইমেইলটা পড়ার পরই
বুঝলাম সেই পরিকল্পনায় গুরেবালি। পোস্টার নয় আমাকে ২০ মিনিট বক্তৃতা দিতে
হবে। তাও আবার সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রাইম টাইমে। ঐ সময় অন্য কোন সেশন
চলবে না। তাই হল ভর্তি শ্রোতা থাকবে।<br />
<br />
বক্তৃতা এবং ডিজিটাল উপস্থাপনা তৈরির জন্য হাতে সময় আছে প্রায় চল্লিশ দিনের মত। সত্যি বলতে অনেক ডাটা এনালাইসিস করাও বাকি ছিল।<br />
<br />
প্লান করলাম যেভাবেই হোক সবকিছু এই কম সময়ের মধ্যেই করে ফেলার। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন কাজ করতে থাকলাম সকাল-সন্ধ্যা।<br />
<br />
মাস শেষে কিভাবে কিভাবে যেন উপস্থাপনাটা দাঁড়িয়ে গেল।<br />
<br />
এরপর উপস্থাপনাসহ বক্তৃতা অনুশীলনের পালা। কতবার যে ল্যাবের সামনে এবং একা
একা প্রাকটিস করলাম। অনেক সংযোজন বিয়োজন হল। নিউ ইয়র্কগামী ফ্লাইটে বসেও
সংযোজন বিয়োজনের কাজ করতে থাকলাম।<br />
<br />
লন্ডন থেকে সরাসরি বাল্টিমোরের
ফ্লাইট না নিয়ে নিউ ইয়র্কের ফ্লাইট নেওয়ার কারণ হল - পথিমধ্যে কলাম্বিয়া
ইউনিভার্সিটির এক বন্ধুর সাথে দেখা করা এবং নিউ ইয়র্কে কিছুটা ঘোরাঘুরি
করা।</div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message"><br /></div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message">
যাই হোক, গবেষণাকে সহজ ভাষায় অন্যের বোধগম্য করে ব্যাখ্যা করা
সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সেটা যখন হয় নতুন কোন থিওরী বা নতুন কোন
ধারণা নিয়ে করা গবেষণা। অনেক সময় মাসের পর মাস চলে যায় নিজের গবেষণাকে
ব্যাখ্যা করার ভাষা খুঁজে পেতে।<br />
<br />
সম্মেলনে যে গবেষণাটি উপস্থাপন
করেছিলাম তার বিষয় ছিল, মস্তিষ্কের শ্রবণ সংবেদী স্নায়ু কোষের ক্রিয়া থেকে
প্রানী কোন শব্ধ শুনছে সেটা ডিকোড করা। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, স্নায়ু
কোষের ক্রিয়ায় প্রানী যে শব্দ অতীতে শুনেছে তার তথ্য যেমন থাকে তেমনি
ভবিষ্যতে যে শব্দ শোনার প্রত্যাশা করছে তার তথ্যও থাকে।<br />
<br />
বাল্টিমোরে সম্মেলনের ফাঁকে ফাঁকে একটা গবেষণাপত্রের রিভিশন করার কথা ছিল সুপারভাইজারের সাথে।<br />
<br />
কিন্তু যতবারই হোটেল সুইটের লিভিং রুমে ওকে নিয়ে কাজ করতে বসি, পাঁচ
মিনিটের মধ্যেই সে বলে তার কাজে মন বসে না। এরপর সে তার রুমে গিয়ে ল্যাপটপে
গান শোনা শুরু করে। কয়েকবার এমন হওয়ার পর আমি বেশ চটে গেলাম ওর উপর। তারপর
ওকে বললাম আচ্ছা অক্সফোর্ডে ফিরে গিয়ে আমরা এই কাজ শেষ করব।<br />
<br />
পরের
কয়েকদিন সম্মেলনের সময় ওকে এভোয়েড করলাম। ডিনার খেতে যাইতে চাইলে বলি আমি
একা ডিনার খাব। ঘুরতে গেলে সহপাঠী বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাই কিন্তু
সুপারভাইজরকে সাথে নেই না।</div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message"><br /></div><div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message">
এমন না যে এই প্রথম কোন কিছুর রিভিশন
করতে আমার সুপারভাইজর দেরী করছে। এরআগে তিন-চারবার তার নিজের দেওয়া
ডেড-লাইনই সে ভঙ্গ করেছে। যাই হোক এই মনোমালিন্য ভাঙল সম্মেলনের শেষদিনের
পার্টিতে।<br />
<br />
সে বলল অক্সফোর্ডে ফিরে গিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে রিভিশন শেষ করে আমাকে ফেরত দিবে।<br />
অক্সফোর্ডে ফিরে সেই রিভিশনের কাজ অবশেষে শেষ হল এপ্রিল মাসে। যাই হোক
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় আমি এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করা বন্ধ করে দেই।<br />
<br />
মে মাসে একটা পোস্টডক পজিশনের জন্য এপ্লাই করি। জুনের ইন্টারভিউয়ের পর
আমাকে জানানো হয় ঐ পজিশনে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাদের যেহেতু
এক্সপেরিমেন্টাল ল্যাব একজন থিওরীটিশানকে বেতন দেওয়ার মত ফান্ডিং তাদের
নেই।<br />
<br />
এরপর আমি অন্য একটা গবেষণাপত্রের কাজ করতে থাকি। এই গবেষণা
পত্রের বিষয়ঃ জীবের স্নায়ু তন্তের জটিলতা। আমি এখানে যুক্তি দেখাই যে
স্নায়ুতন্ত্র পর্যবেক্ষণ করতে গেলে শুধু গঠনের জটিলতা দেখে বোঝা সম্ভব না
যে স্নায়ুতন্ত্রের একটা অংশ কিভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে। অনেক ক্ষেত্রে
গাঠনিক দিক দিয়ে জটিল হলেও তারা যে গাণিতিক কর্ম বা এলগরিদম বাস্তবায়ন করে
সেটা আসলে সরল গাণিতিক রূপে প্রকাশ করা সম্ভব।<br />
<br />
এই গবেষণায় উদাহরণ
হিসেবে কানের ভিতরের একটা অঙ্গ যাকে ককলিয়া বলে তাকে বেছে নেই আমার যুক্তি
প্রমাণের জন্য। ককলিয়ার জন্য বিভিন্ন গাণিতিক মডেল তৈরি করে আমি দেখাই, যে
মডেল ককলিয়ার জৈবিক গঠনের উপর ভিত্তি করে তৈরি সেই মডেল মস্তিষ্কের ক্রিয়া
সমন্ধে যে ভবিষ্যতবাণী করে, তা অন্য একটি মডেল যেটা ককলিয়ার কার্যনীতির উপর
ভিত্তি করে তৈরি তা যে ভবিষ্যতবাণী করে, তার মতই।<br />
<br />
এই কাজ করতে
করতেই গ্রীষ্ম চলে আসে। আগষ্টে ল্যাবের এক বন্ধু আমার সাথে যৌথভাবে কাজ
করার প্রস্তাব দেয়। ওর অনেক পরীক্ষালব্ধ উপাত্ত থাকলেও সেটা বিশ্লেষণে ও
আমার সাহায্য চায়।<br />
একমাসের মধ্যে আমরা যৌথ ভাবে একটা গবেষণা প্রকল্প
দাড় করিয়ে ফেলি। আমার সুপারভাইজর প্রকল্পের পরিকল্পণা শুনে বেশ উত্তেজিত ও
খুশী হয়। তবে আমাদের দুজনেরই হাতে এত কাজ যে ২০২০ সালের আগে সেই প্রকল্পের
কাজ শুরু করা সম্ভব না।<br />
<br />
সেপ্টেম্বরে আমি একটা ইমেইল পাই। যে
পোস্টডক পজিশন থেকে এর আগে রিজেক্টেক হয়েছিলাম তারা আমার সাথে কথা বলতে
চায়। তারা আমাকে একটা প্রজেক্ট দাঁড়া করাতে বলে। আইডিয়া পছন্দ হলে তারা
আমাকে ফান্ড করবে। গত কয়েক মাসে সেই আইডিয়া দাঁড় করিয়েছি। ২০২০ এর দ্বিতীয়
সপ্তাহে তাদের সামনে আমার পরিকল্পনা উপস্থাপন করব।<br />
<br />
এরমধ্যে ককলিয়া
নিয়ে করা গবেষণাপত্রটির কাজ শেষ করে ফেলি। ডিসেম্বর মাসের প্রারম্ভে গবেষণাপত্রটি জমা দিয়েছি একটি জার্নালে। এখন রিভিয়ের কাজ চলছে। ক্রিসমাসের বন্ধের সময় অবসর কাটিয়েছি।<br />
<br />
গতকাল থেকে ল্যাবে যাওয়া শুরু করেছি। এখন আমার পিএইচডি এর শেষ
গবেষণাপত্রটি লেখা বাকি। যেটার বিষয় বস্তু, প্রানীর মস্তিষ্ক থেকে প্রানী
যে শব্দ শুনছে তার অতীত ও ভবিষ্যত ডিকোড করা। এই প্রকল্পের কাজই করছিলাম
বছরের শুরুর দিকে সম্মেলনে উপস্থাপনার জন্য।<br />
<br />
তবে এই বছর গবেষণাই যে
শুধু করেছি তা কিন্তু নয়। নিয়মিত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছি, অক্সফোর্ডের
তিন’তিনটি বলে গিয়েছি, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি এবং শরীরের যত্ন
নিয়েছি। অনেক ধরণের নতুন খাবার খেয়েছি। অনেক নতুন পদের রান্না করা শিখেছি।
প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে দৌড়াতে গিয়েছে। দৌড়ানো সম্ভব না হলে লম্বা দৈঘ্যের
পদব্রজে বের হয়েছি। ইয়োগা করা ছিল নিত্য-নৈমত্তিক। গ্রীষ্মে সাঁতার কেটেছি
অনেক দিন।<br />
<br />
এই বছর যুক্তরাজ্যের ভিতর অনেক শহরে ঘোরা হয়েছে – যেমন,
পোর্টমাউথ, সাউথহ্যাম্পটন, ব্রিস্টল, বাথ, নটিংহাম, স্ট্রাটফোর্ড আপন এভন,
লেমিংটন স্পা, গোরিং ও স্ট্রিথলী, কভেন্ট্রি এবং গ্লাসগো। যুক্তরাজ্যের
বাইরে সুইডেনের স্কটহোমে ঘুরতে গিয়েছি।<br />
<br />
বেশ কিছু বই পড়া হয়েছে এ
বছর। উল্লেখযোগ্য – ব্রেভ নিউ ওয়াল্ড। থমাস হেনরী হাক্সলীর নাতি আলডস
হাক্সলী এর ১৯৩০ এর দশকে লেখা এই সায়েন্স ফিকশনে এমন এক সময়ের কথা লেখা
হয়েছে যখন মানুষের জীবন প্রযুক্তি দ্বারা এতটাই নিয়ন্ত্রিত যে সেখানে
সাধারণ আবেগ অনুভূতির কোন জায়গা নেই। সেই সময়ের মানুষ ‘সোমা’ নামক একধরণের
ঔষধ সেবন করে নিজেদের সুখি করে যখন ইচ্ছা। সেক্সপিয়রের কয়েকটা বাক্যে ওই
সময়কে বর্ণনা করা যায় এভাবে,<br />
How amazing! How many wonderful
creatures there are here! Mankind is so beautiful! Oh, what a wonderful
new world, that has such people in it!<br />
<br />
২০১৯ এর একটা সেরা মুহুর্ত
ছিল যখন আমার ভাতিজি ঊর্বি রূপকথার জন্ম হল। আমি দেশে গিয়েছিলাম তাকে
দেখতে। একদিকে সে ক্ষুদ্র, দুর্বল, এবং অসহায় একজন শিশু অন্যদিকে তার
মধ্যেই ভবিষ্যের সমস্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। এই অনন্য পর্যবেক্ষণ আমার জন্য
ছিল অন্যরকম এক উপলক্ষ্য।<br />
<br />
বছর শেষে উপলব্দি গুলোকে তিনটি শব্দে
ব্যাখ্যা করতে গেলে যা দাঁড়াবে তা হলঃ ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স। ২০১৯ এ কাজ ও
জীবন দুটির ভারসাম্য ছিল বলেই এতো কঠিন সময়ও পিছন ফিরে তাকালে দেখি বছরের
বেশিরভাগ দিন খুশি ছিলাম। সুখী ছিলাম। তাই ২০২০ কে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য
একদম প্রস্তত এখন।<br />
<br />
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-24542124623849268212019-12-23T17:00:00.000+06:002020-01-01T20:27:57.728+06:00ক্রিসমাসের ছুটি ২০১৯<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
গত ক্রিসমাসগুলোতে ছুটির সময় নিয়মিত দেশে যাওয়া হলেও, এবার যাচ্ছি না।
গবেষণার চাপ সামলাতে গিয়ে এত বেশি কাজ জমা পরে গেছে যে এই সময় ছুটি
কাটানোটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি আমার কাছে।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>পুরোপুরি ছুটি
যাপন না করলেও, এই সপ্তাহ থেকে কাজ অনেক কমিয়ে দিয়েছি। এই সপ্তাহ এবং পরের
সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় বিশ্রাম নিব, গল্পের বই পড়ব, গান শুনব, হাঁটতে যাব,
দৌড়াব এবং ইয়োগা করব।<br />
<br />
গতকাল থেকে এই রুটিন শুরু করেছি। অক্সফোর্ডে বাইরের তাপমাত্রা এখনও সহনীয়। গতকাল ছিল সাত-আট ডিগ্রীর মত। তাই দৌড়াতে বের হ<span class="text_exposed_show">য়েছিলাম। আধা ঘন্টা দৌড় আর দেড় ঘন্টা হাঁটা শেষে যখন সামারটাউন থেকে বাসার দিকে ফিরছি তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
বছরের সবচেয়ে ছোট দিন (২২ ডিসেম্বর) সুন্দর সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে শেষ করে
মনে প্রশান্তি নিয়ে বাসায় ফিরলাম। এরপর একটু বিশ্রাম নিয়ে বসে গেলাম ইয়োগা
করতে।<br />
<br />
রিলাক্স, ক্লোজ ইয়র আইজ, টেক এ ডিপ ব্রেইথ।<br />
<br />
আজকের দিনটা কিছুটা ভিন্ন। অফিসে গেলাম। কম্পিউটারে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সলটল করে একটু লেখালেখি করলাম। তারপর পার্কে গেলাম।<br />
<br />
পার্কের সব চেরী গাছের মাথা ন্যাড়া। পাতা পরে গেছে। শীতের ঠান্ডায়
বেশিরভাগ গাছের পাতা পরে যায়। তবে একটা গাছ কিছুটা ভিন্ন। গাছে কোন পাতা না
থাকলেও এই শীতের মধ্যেও ফুল ফুটেছে। শীতের মধ্যেও একটা গাছের মনে ঠিকই
বসন্ত।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-20786975915774788932019-02-08T20:31:00.000+06:002020-01-01T20:32:54.436+06:00নিউ ইয়র্ক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
নিউ ইয়র্ক ঘোরাঘুরি শেষ করে বাল্টিমোরে যাচ্ছি।<br />
<br />
আজকের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রজ্জল আর ঝলমলে। গত দুইদিন এমন মেঘলা আবহাওয়া ছিল যে আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলোর মাথা দেখা যাচ্ছিল না।<br />
<br />
নিউ ইয়র্কে ছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক।
ইউনিভার্সিটির হাউজিং এর একটা ফ্ল্যাটে থাকে। ঘোরাঘুরি যা করেছি সব
ম্যানহাটন এলাকায়।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a> প্রথম দিন পৌঁছেই
বন্ধুর সাথে রাতের বেলা ঘুরতে বেড়িয়েছি। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মাঝ দিয়ে
হেঁটে একটা বারে গেলাম। সেখানে লাইভ জ্যাজ আর অনেক গেম খেলার ব্যবস্থা।
পুরো সময় সেখানে কাটিয়ে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পাশের একটা ফুড কার্ট থেকে
গীরো (অনেকে বলে জাইরো, কেউ বলে জিরো, সঠিক উচ্চারণ কি আমি জানি না) খেতে
খেতে বাসায় ফিরলাম।<br />
<div class="text_exposed_show">
<br />
পর দিন ঘুম থেকে উঠে হাঠতে বেড়িয়েছি। সেন্ট্রাল
পার্ক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গাগেনহাইম মিউজিয়ামে গেছি। এটাই আমার প্রথম কোন
গাগেনহাইম মিউজিয়ামে যাওয়া। মোট তিনটি গাগেনহাইম মিউজিয়াম আছে। একটা নিউ
ইয়র্কে, একটা বিলবাওয়ে আর একটা রোমে। ড্যান ব্রাউনের সর্বশেষ বইয়ে
বিলবাওয়েরটার কথা আছে। সেখান থেকেই আমার এই মিউজিয়াম সমন্ধে আগ্রহ জাগে। গত
গ্রীষ্মে বিলবাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও যাওয়া হয়নি। তাই নিউ ইয়র্ক
গাগেনহাইমে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।<br />
<br />
মিউজিয়ামে টিকেট কেটে
ক্যাফেতে গেলাম সকালের নাস্তার জন্য। কারণ ক্ষুধায় ততক্ষনে অবস্থা কাহিল।
একটা ক্রোসন্ত আর একটা কফি নিয়ে বসলাম ক্যাফেতে। ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে ভাবলাম
ল্যাপটপ খুলে মেইল চেক করি। কি মনে করে আমার কাজের ফোল্ডার চেক করতে গিয়ে
দেখি একটা ফাইল ভুলে ডিলিট করে ফেলেছি। তাই মিউজিয়ামের বসেই সেই কাজ আবার
করতে লেগে গেলাম। দুই ঘন্টা পর কাজ শেষ করে এগজিবিসন দেখতে গেলাম।<br />
<br />
সুইডেনের আর্টিস্ট হিলমা আফ ক্লিনটের কাজের এগোজিবিসন চলছিল মূল
গ্যালারিতে। গাগেনহাইমের ছয়তলা গ্যালারির পুরোটা আসলে একটা সর্রপিলাকার
সিঁড়ির মত। নিচতলা থেকে হাটতে শুরু করলে ঘুরতে ঘুরতে ছয়তলা চলে যাওয়া যায়।
ঘুরে ঘুরে সব গুলো চিত্রকর্ম দেখলাম।<br />
<br />
হিলমা আফ ক্লিন্টকে এবস্ট্রাক আর্টের অন্যতম প্রথিকৃত বলা হয়। বেশ কয়েকটা ছবি আমার মাথায় এখনও গেথে আছে।<br />
<br />
গ্যালারিতে অনেকক্ষন বসে থেকে অন্যান্য প্রদর্শনী গুলোও দেখলাম। নিউইয়র্ক
গাগেনহাইমে পিকাসোর আঁকা দি ওম্যান আয়রনিং দেখার সৌভাগ্য হল।<br />
<br />
বিকেলে
বাসায় ফিরে বন্ধুর সাথে ঘুরতে বের হলাম। পর্যটকরা সাধারণত যা করে সেগুলো
করতে বের হলাম আরকি। স্ট্যাচু অব লিবার্টি, টাইমস স্কয়ার, ওয়ার্ল্ড ট্রেড
সেন্টার, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এ গেলাম। তারপর কোরিয়া টাউনে গেলাম খেতে।
একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম যেখানে যত খুশি যেকোন আইটেম নিয়ে ওজন অনুযায়ী দাম
দিতে হয়। সব ধরণের আইটেমই ট্রাই করলাম মোটামোটি। এরপর একটা রুফটপ বারে
গেলাম যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়।<br />
<br />
তারপর এক স্লাইস পিৎজা খেতে
খেতে বাসায় ফিরলাম। নিউ ইয়র্কে পিৎজা খেতে খেতে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া একটা
কমন ঘটনা। তাই আমরাও সেটা করলাম।<br />
<br />
বাসায় ফিরে ঘুম। আজকে আরো কিছুক্ষন
ঘোরাঘুরি করে এখন বাল্টিমোরের পথে যাচ্ছি। এখন মাথায় শুধু কাজের চিন্তা।
বাল্টিমোরে গিয়ে ঘোরাঘুরি কম আর কাজ বেশি করব।<br />
<br />
শহর হিসেবে নিউ ইয়র্ক
থাকার জন্য বেশ ভালোই বলা যায়। করার মত অনেক কিছু আছে। ভাল রেস্টুরেন্ট
শপিং সেন্টার তো আছেই। তার সাথে ভাল মিউজিয়াম, থিয়েটার আর লাইভ মিউজিকের
অভাব নেই। মানুষ কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায় না। সবাই আছে নিজের মত।<br />
<br />
- নিউ জার্সির কোন একটা হাইওয়ে</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-74148416616245863632019-02-06T06:00:00.000+06:002020-01-01T20:36:11.321+06:00গন্তব্য বাল্টিমোর<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
জানুয়ারি মাসটা ব্যস্ততার মধ্যে কখন কেটে গেল টেরই পেলাম না।
আমস্টারডাম-ব্রাসেলস ট্যুরের পর তাই অক্সফোর্ড এর বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি।<br />
<br />
আজকে প্রথম অক্সফোর্ডের বাইরে বের হলাম। বাসে উঠলাম একমাস পর। যাচ্ছি হিথ্রো এয়ারপোর্টের দিকে।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি একটা সম্মেলনে কথা বলতে। বাল্টিমোর শহরে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
এটা মূলত একটা অডিটোরি নিউরোসায়েন্স সম্মেলন। শ্রবণের সাথে জড়িত যেকোন
বিষয় আলোচিত হয় এখানে। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোন একটি শহরে অনুষ্ঠিত
হয়। এ বছর বেছে নেওয়া হয়েছে বাল্টিমোর শহরকে।<br />
<br />
আমি কনফারেন্স এর দুদিন আগেই রওয়ানা দিচ্ছি। একটু পরেই নিউ ইয়র্কের প্লেনে উঠব।<br />
<br />
নিউ ইয়র্কে এক বন্ধুর সাথে দুদিন সময় কাটিয়ে তারপর যাব বাল্টিমোর।
সম্মেলনের প্রথম দিনই আমার কথা বলার স্লট। তাই সেটার প্রস্তুতি নিতেই
বেশিরভাগ সময় কেটে যাবে।<br />
<br />
সম্মেলনে যাওয়ার খরচ মেটাতে আয়োজকরা আমাকে
একটা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে ট্রাভেল গ্রান্ট হিসেবে। যারা এই পুরস্কার
পেয়েছে তাদের জন্য একটা স্পেশাল লাঞচের আয়োজন করেছে। সেটায় যাচ্ছি আমার
সুপারভাইজারকে নিয়ে।<br />
<br />
মাত্রই এয়ারপোর্টে পৌছালাম। প্লেন দু ঘন্টা পর। নিউইয়র্ক এ পৌঁছাব বিকেল বেলা। দেখা যাক আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেখানে।<br />
<br />
- হিথ্রো এয়ারপোর্ট, লন্ডন</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-74621051319310792952019-01-08T17:41:00.001+06:002019-01-08T17:41:36.408+06:00বই পড়া<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div data-contents="true">
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="g2q6-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="g2q6-0-0">
<span data-offset-key="g2q6-0-0"><span data-text="true">আমার স্কুল জীবন পার করেছি কুড়িগ্রামে। ছোট শহর হওয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে বিষয়ে পড়ার ব্যবস্থা সেখানে খুবই কম ছিল। ইন্টারনেট তখনও সেভাবে আসেনি। আর বোর্ড বইয়ের বাইরের কোন বই কুড়িগ্রামে পাওয়া কঠিন ছিল। তারপরও স্কুলের পড়াশুনা চুকিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের একটা সাবজেক্ট পড়ে এখন বিশ্ববিখ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোসায়েন্সে পিএইচডি করছি; এর অনেকটা কৃতিত্ব আমার জীবনে পড়া বইগুলোর।</span></span><br />
<br />
</div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="g2q6-0-0">
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="g2q6-0-0">
</div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="g2q6-0-0">
<span data-offset-key="g2q6-0-0"><span data-text="true"></span></span><br />
<a name='more'></a></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="gunj-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="b7f6n-0-0">
<span data-offset-key="b7f6n-0-0"><span data-text="true">যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন আমাদের স্কুলের এক ম্যাডাম স্কুলের পুরাতন লাইব্রেরীটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেন। আমিও সেই উদ্যোগে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করি। লাইব্রেরীতে কাজ করার সুবাদে ম্যাডাম আমাদের একটা বিশেষ সুবিধা দিলেন। অন্যরা যেখানে লাইব্রেরী থেকে একটা বই ধার নিতে পারে সেখানে আমিসহ অন্য ভলান্টিয়াররা একবারে পাঁচ থেকে দশটা বই নিতে পারি।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="3p4s1-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3p4s1-0-0">
<span data-offset-key="3p4s1-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="11a0q-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="11a0q-0-0">
<span data-offset-key="11a0q-0-0"><span data-text="true">আমি এই সুযোগটাকে কাজে লাগালাম। নিয়মিত স্কুল লাইব্রেরী থেকে বই ধার নেওয়া শুরু করলাম। দিন-রাত শুধু বই পড়ি।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="9eps8-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9eps8-0-0">
<span data-offset-key="9eps8-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="b1sql-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="b1sql-0-0">
<span data-offset-key="b1sql-0-0"><span data-text="true">কিছুদিনের মধ্যেই আমি একটা বিষয় খেয়াল করলাম। আমি বেশিরভাগ সময় নিজের অজান্তেই খুঁজে খুঁজে বিজ্ঞানের ধার করি। অন্য যেসব বই লাইব্রেরী থেকে নেই, তার বিশেরভাগ হয় কিছুদূর পড়েই পড়া বাদ দেই আর নাহয় খুব বেশি উপভোগ করি না। এই যেমন- একবার এক রাশিয়ান লেখকের বাংলায় অনুদিত একটি বই নিলাম লাইব্রেরী থেকে। পড়া শুরু করলাম। প্রথম গল্পটা ছিল একটা রাশিয়ান প্রেম কাহিনী। কিন্তু সেই প্রেম কাহিনীর আগা-গোড়া কোনটাই বুঝতে পারলাম না। তাই বইটি পড়া বাদ দিলাম। আরও অনেক বইয়ের ক্ষেত্রেও এরকম হল।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="b9fo5-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="b9fo5-0-0">
<span data-offset-key="b9fo5-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="aesrd-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="aesrd-0-0">
<span data-offset-key="aesrd-0-0"><span data-text="true">ভাল লাগুক আর না লাগুক অনেক বইই পড়তাম। অনেক সময় নতুন কিছু জানার জন্য, অনেক সময় নিজের উপর জোর করে। তবে বিজ্ঞানের বইগুলো মুগ্ধ হয়ে পড়তাম (নাকি নিজের কাছেই মুগ্ধ হওয়ার ভান করতাম!)। একটি বই পড়েছিলাম যেটায় যুগে যুগে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারগুলোর কথা লিখা ছিল। এই যেমন- কিভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বের করা হল, কিভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব বের করা হল এসব। আমার কাছে এইসব কে ম্যাজিকের চেয়ে কোন অংশে কম মনে হত না।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="ajqhi-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ajqhi-0-0">
<span data-offset-key="ajqhi-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="fbf11-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fbf11-0-0">
<span data-offset-key="fbf11-0-0"><span data-text="true">আর একটা বই পড়েছিলাম বিজ্ঞানী আইনস্টাইন কে নিয়ে, বইয়ের নাম 'মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন'। বইয়ের লেখকের নাম মনে নেই। সেই বইয়ে আইস্টাইনের জীবনের সব মজার ঘটনা, তার ভায়োলিন বাজানো, প্রেম, ব্যক্তিগত জীবন ও সর্বোপরি তার থিওরী অব রিলেটিভিটি নিয়ে জানতে পারি। মনে হতে থাকল আইনস্টাইনের মত একটা জীবন পেলে মন্দ হত না।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="8s3f8-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8s3f8-0-0">
<span data-offset-key="8s3f8-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="25pps-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="25pps-0-0">
<span data-offset-key="25pps-0-0"><span data-text="true">ক্লাস নাইনে ভাইয়া স্টিফেন হকিংয়ের এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম (বাংলায় কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস) বইটি কিনে দেয়। শুরুতে ভয়াবহ কঠিন লাগলেও ধীরে ধীরে বইয়ের মূল কথাগুলো বুঝতে পারি। আর এই বইটি পড়ার পরেই আমি বুঝতে পারি আমি আসলে জীবনে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করতে চাই। কারণ বিজ্ঞানের মাধ্যমেই মহাবিশ্বকে বোঝা সম্ভব।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="1c4ff-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1c4ff-0-0">
<span data-offset-key="1c4ff-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="cbfr2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cbfr2-0-0">
<span data-offset-key="cbfr2-0-0"><span data-text="true">আজ এতদিন পর পিছন ফিরে তাকালে বুঝতে পারি একেকটা বই কিভাবে আমার চিন্তাজগতকে গড়ে তুলেছে। কিভাবে আমার জীবনের বেশিরভাগ ধারণাগুলো আমার পড়া বইগুলোর দ্বারা আবর্তিত।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="8grkb-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8grkb-0-0">
<span data-offset-key="8grkb-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="e41du-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e41du-0-0">
<span data-offset-key="e41du-0-0"><span data-text="true">এখনও কোন কিছু শিখতে গেলে আমি সাধারণত বই পড়ে শিখতে পছন্দ করি। লেকচার বা অনলাইন টিউটোরিয়াল ফলো করার অভ্যাস এখনও গড়ে তুলতে পারিনি। এতদিন পরেও তাই বইই আমার প্রধান শিক্ষক।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="6eibv-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="6eibv-0-0">
<span data-offset-key="6eibv-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3dk1e" data-offset-key="dbir2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dbir2-0-0">
<span data-offset-key="dbir2-0-0"><span data-text="true">- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</span></span></div>
</div>
</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-61746976724190994882019-01-08T00:24:00.000+06:002019-01-08T00:24:29.109+06:00বৃষ্টির প্রতি ভালবাসা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div data-contents="true">
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="8g9-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8g9-0-0">
<span data-offset-key="8g9-0-0"><span data-text="true">বৃষ্টি নিয়ে কাব্যিক ঢঙে এই কথাগুলো লিখেছিলাম সম্ভবত ২০১৪-১৫ সালের দিকে। আজকে হঠাৎ করে লেখাটা পড়ে মনে হল আগে কখনও আপলোড করা হয়নি। যদি আপলোড করেও থাকি আরেকবার পড়ে নিতে পারেন। অনুভূতিপ্রবণ একটা লেখা।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8g9-0-0">
<span data-offset-key="8g9-0-0"><span data-text="true"> </span></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8g9-0-0">
<span data-offset-key="8g9-0-0"><span data-text="true"> </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="djevs-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="djevs-0-0">
<span data-offset-key="djevs-0-0"><span data-text="true">=o=</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="djevs-0-0">
<span data-offset-key="djevs-0-0"><span data-text="true"><a name='more'></a></span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5sjoo-0-0">
<span data-offset-key="5sjoo-0-0"><span data-text="true">ছোটবেলাটা আমার গ্রামে কেটেছে। গ্রামের বেশিরভাগ দিনই ছিল খুব একঘেয়ে। করার তেমন কিছু থাকত না। প্রতিদিন পার হয়ে যেত খুব সাধারণ কিছু কাজে। বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে, স্কুলে গিয়ে, স্কুল থেকে ফিরে এসে, ঘরে বসে পড়াশুনা করে আর পড়ার ফাঁকে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থেকে। এভাবেই সময় কেটে যেত। তবে একদম আলাদা ছিল বর্ষার দিনগুলো।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="bfn7p-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bfn7p-0-0">
<span data-offset-key="bfn7p-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="evb6j-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="evb6j-0-0">
<span data-offset-key="evb6j-0-0"><span data-text="true">বর্ষা এলেই একঘেয়ে জীবনে একটু ভিন্নতা চলে আসত। টিনের চালে ঝমঝম মূর্ছনায় বৃষ্টির গান সময়ের গতি একটু বাড়িয়ে দিত। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বিহীন অন্যান্য দিনের চেয়ে আলাদা এই দিনগুলোর জন্য তাই মুখিয়ে থাকতাম। কবে বৃষ্টি আসে। কবে খালি গায়ে একটু ছোটাছুটি করি। কবে বৃষ্টি ভেজা মেটে রাস্তায় একটু স্লিপ দেই। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতাম পুরো বর্ষাকাল।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="231ap-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="231ap-0-0">
<span data-offset-key="231ap-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="3nspk-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3nspk-0-0">
<span data-offset-key="3nspk-0-0"><span data-text="true">নারিকেল গাছের সাথে বৃষ্টির একটা আলাদা সম্পর্ক আছে। টিনের চালের উপর নারিকেল গাছ থাকলে সেখানে বৃষ্টির শব্দটা ভিন্ন হয়। মাঝে মাঝে জোরালো, মাঝে মাঝে ধীর। বাতাসের প্রবল বেগ নারিকেল পাতাগুলোকে টিনের সাথে ঝাঁপটা লাগায়। বারান্দার পাশে নারিকেল পাতা থাকলে একটা দৃশ্য চোখে পড়ে। পাতার ডগা বেয়ে চুইয়ে পরে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পানি। এক, দুই এভাবে ফোঁটাগুলো গুনে গুনে সময় পার করে দেয়া যায়।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="bsrun-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsrun-0-0">
<span data-offset-key="bsrun-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="fc7q6-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fc7q6-0-0">
<span data-offset-key="fc7q6-0-0"><span data-text="true">বর্ষার দিনে আশেপাশের লোকজন আমাদের বাইরের বারান্দায় চলে আসত। যে বারান্দার পাশে একটা নারিকেল গাছ আছে। আমাদের বাইরের বারান্দাটা একেবারে রাস্তার পাশে। কোন দরজা নেই, ফলে বৃষ্টির সময় পথচারীরা আশ্রয় নিতে পারে। অনেক লোক জড়ো হলে তারা গল্প-গুজব করতে পারে। হাসি-ঠাট্টায় তখন তাদের সময় পার হয়ে যায়।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="4pg4n-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4pg4n-0-0">
<span data-offset-key="4pg4n-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="410ou-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="410ou-0-0">
<span data-offset-key="410ou-0-0"><span data-text="true">এত মানুষ একসাথে দেখা ছিল আমার জন্য মজার ব্যপার। এমনকি উৎসব বললেও ভূল হবে না। আমি তাদেরকে গল্প-গুজব করতে শুনতাম। কারও কাছে হয়ত নারিকেল পাতা দিয়ে বাঁশি বানিয়ে নিতাম। আর বৃষ্টি দেখতাম। এভাবে কখন দিনের অনেকটাই চলে যেত টেরও পেতাম না।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="5j9g5-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5j9g5-0-0">
<span data-offset-key="5j9g5-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="3nvtf-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3nvtf-0-0">
<span data-offset-key="3nvtf-0-0"><span data-text="true">আজও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমি এখন গ্রামে নয় শহরে থাকি। এখন আর আগের মত বৃষ্টির কাছাকাছি যাওয়া হয়না। শহুরে জীবনে বর্ষায় গা বাঁচিয়ে চলি। কিন্তু তারপরও বৃষ্টি এখনও হৃদয়কে নাড়া দেয়। এখনও শুকনো শরীরে মন এক-আধটু আর্দ্র হয়। তখন মনের একাকীত্বগুলো বের হয়ে আসে। আমার কাছে বৃষ্টি হল পৃথিবীতে সব মানব মনের মিলিত কান্না।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="4lke8-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4lke8-0-0">
<span data-offset-key="4lke8-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="77los-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="77los-0-0">
<span data-offset-key="77los-0-0"><span data-text="true">বাস্তবে, অতৃপ্ত মনের সব মানুষ একজোট হয়ে অবিরাম কাঁদতে থাকলে কি হত, ভাবা যায়! এতে পৃথিবী পানিতে প্লাবিত না হলেও, দুঃখে প্লাবিত হতই। বৃষ্টির সময় সেই দুঃখের কিছুটা আঁচ হয়ত পাওয়া যায়।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="e81io-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e81io-0-0">
<span data-offset-key="e81io-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="8vg76-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8vg76-0-0">
<span data-offset-key="8vg76-0-0"><span data-text="true">দুঃখ আর ভালবাসা অবিচ্ছেদ্য। অতৃপ্তি থেকেই আসে ভালবাসা। পূর্ণতার আশায় বসে থাকে ভালবাসা পাগল লোকজন। বৃষ্টির ক্রন্দন অনুভব করায় সব অপূর্ণতা। বৃষ্টির সময় মানুষের মনও তাই অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই ভালবাসা প্রবণ হয়ে ওঠে। প্রিয়জনের কথা মনে করে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। অথবা একটু একটু করে চোখের অশ্রু বর্ষণ করে বৃষ্টির পানির পরিমান বাড়ায়।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="77g6f-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="77g6f-0-0">
<span data-offset-key="77g6f-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bmt80" data-offset-key="cljht-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cljht-0-0">
<span data-offset-key="cljht-0-0"><span data-text="true">আমার মনেও আজ একটু আর্দ্রতা বিরাজ করছে। শুষ্ক মনে আবেগ নিয়ে এসেছে বৃষ্টি। নিজেকে রোবট নয়, মানুষ মনে হচ্ছে। বৃষ্টিই এই পরাবাস্তব জগতকে বাস্তবে নিয়ে এসেছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমার ভালবাসা। অনেক অনেক ভালবাসা।</span></span></div>
</div>
</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-75560779318539041662018-08-05T01:18:00.000+06:002019-01-08T01:18:35.016+06:00লিসবন যাচ্ছি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আজকে রবিবার। ছুটির দিন। তারপরও কাল পর্তুগালের রাজধানী লিসবন যাচ্ছি বলে হাতের কিছু কাজ সারতে বিকেল বেলা ল্যাবে গেলাম।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে এক্সপেরিমেন্ট সেটআপ করছি। দেখা হওয়ার সাথে
সাথেই বন্ধুটি বাংলাদেশের আন্দোলনের বিষয় জিজ্ঞাসা করা শুরু করল। ছাত্ররা
আন্দোলন কেন করতেছে? পুলিশ কেন তাদের মারতেছে এই সব?<br />
<br />
আমি মনে মনে
ভাবলাম, আমাদের দেশের লোক যেখানে আন্দোলনের খবর ঠিকমত পাচ্ছেনা, সেখানে
বিদেশিরা ঠিকই সব খবর জানে। অনেকে নিজেদের চোখ বন্ধ করে রেখে মনে করে বাইরে
থেকে কেউ তাদের দেখত<span class="text_exposed_show">েছে না। কিন্তু পুরো পৃথিবীর সবাই দেখতেছে বাংলাদেশে কি হচ্ছে।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
ল্যাবের কাজ শেষ করে একটু আগে বাসায় ফিরলাম। কাল বিকেলে ফ্লাইট ধরতে হবে তাই ব্যাগ গুছাচ্ছি আর দেশের নিউজ দেখতেছি।<br />
<br />
মন খারাপ হচ্ছে আমার ছোট ভাই বোনগুলো মার খাচ্ছে দেখে। আবার তাদের
সাহসিকতা দেখে ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদও বাড়তেছে। একদম মিশ্র অনুভূতি।<br />
<br />
দেশের এধরণের মুহূর্তে বিদেশে বসে তেমন কিছু করার থাকেনা। তাই নিজেকে আরও
ভালভাবে তৈরির চেষ্টা করি। আরো ভাল বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করি।
ভবিষ্যতে দেশের প্রয়োজন হলে সাথে সাথে যেন চলে যেতে পারি সেজন্য নিজেকে
প্রস্তুত করি। আমার মনে হয়, নিজের জাতির জন্য এই কাজ করাটাই আমার দায়িত্ব।<br />
<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-548726647296750602018-08-05T01:15:00.000+06:002019-01-08T01:15:54.656+06:00গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ আন্দোলন কেন করে?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কারণ আন্দোলনের মাধ্যমেই একমাত্র জনগণের মনের কথা জানা যায়।<br />
<br />
মিডিয়ায় কথা বলা, টকশো, সরকারকে স্মারকলিপি প্রদান এগুলোর মাধ্যমেও আমরা
আমাদের নিজেদের ইচ্ছা সরকারকে জানাতে পারি। তবে সেটা সাধারণত মুষ্টিমেয়
লোকের ইচ্ছার কথা। ইস্যুর ভিত্তিতে সমষ্টীগত জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের একটাই
উপায়। আর সেটা হল আন্দোলন।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s1600/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="824" height="205" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s320/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>সেই
অর্থে কোন আন্দোলনই সরকারের প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা নয়। কারণ আন্দোলনের
মাধ্যমে সরকার জনগণের ইচ্ছার কথা জানতে পারছে। তাদের দায়িত্ব হল সেই ইচ্ছা
বাস্তবায়ন করা।<br />
<div class="text_exposed_show">
<br />
দেশের মালিক জনগণ। জনগণের টাকায় দেশের সকল সরকারী
কর্মচারী, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিরা বেতন নেন।
তাদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত সবকিছুর ভার বহন করে জনগণ। যে লোকটা দিন আনে
দিন খায় সেও তার যতসামান্য আয় দিয়ে এই ভারের একটা অংশ বহন করে। জনগণ যেহেতু
খাইয়ে পরিয়ে সরকারকে পালে, তাই জনগণ যখনই কোন ইস্যুতে আন্দোলন করে সাথে
সাথে সেই ইস্যুর সমাধানে সরকারের উঠেপরে লাগার কথা।<br />
<br />
সমস্যা তখনই হয়
যখন সরকার মনে করে জনগণের কাজ করা তার দায়িত্ব নয়। যখন সরকার নিজেকে দেশের
মালিক মনে করা শুরু করে। তখনই তারা জনগণের আন্দোলনকে বাস্তবায়ন করার
পরিবর্তে দমন করা শুরু করে।<br />
সেই ক্ষেত্রে জনগণের হাতে একটাই উপায়।
আর সেটা হল, সরকার যে দেশের মালিক নয় সেই বিভ্রান্তি ভেঙ্গে দেওয়া। দেশের
দায়িত্ব নিজের কাছে বুঝিয়ে নেওয়া। আন্দোলন করে সেটা সম্ভব নয়। সেটার জন্য
প্রয়োজন হয় বিপ্লবের।<br />
<br />
পুনশ্চঃ আন্দোলন করে তখনই কাজ হয়, যখন সেই আন্দোলন শোনার কেউ থাকে।<br />
<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-22729518153803467052018-08-02T01:12:00.000+06:002019-01-08T01:13:58.387+06:00নিজেই নিজের পুলিশ ও বিচারক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
গতমাসে জার্মানির বার্লিন শহরে গিয়ে একটা বিষয়ে আমি বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।<br />
<br />
শহরের কোন বাস, ট্রেন বা ট্রামে টিকেট চেক করা হয়না। কিন্তু মেশিন থেকে নিজ দায়িত্বে টিকেট কিনে সবাই যানবাহনে ওঠে।<br />
<br />
কোন সিকিউরিটি গার্ড নেই। কিন্তু সবাই সুশৃঙ্খল।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>এ থেকে আমি একটা বিষয় বুঝে গিয়েছিলাম। আমরা নিজেরা যদি নিজেদের দায়িত্ব নেই তাহলে আইন শৃঙ্খলার জন্য কোন পুলিশ লাগে না।<br />
<div class="text_exposed_show">
<br />
অক্সফোর্ডে ডিনার করার সময় আমরা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটা সিস্টেম ব্যবহার
করি। এটাকে বলে 'মিউচ্যুয়াল বাডি সিস্টেম'। ডিনারের সময় কেউ যদি বেসামাল
বা বিশৃঙ্খল হয়ে পরে তাহলে তার পাশের বাডি বা বন্ধু তাকে সামলিয়ে নিবে।
এভাবে সবাই সবাইকে সামলিয়ে রাখে বলে শৃঙ্খলা রক্ষা হয়।<br />
<br />
সমাজেও এভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব। নিজেরাই দায়িত্ববান হব। আর কেউ ভুল করলে পাশের জন ধরিয়ে দিবে।<br />
<br />
ছাত্র-ছাত্রীরা সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছে।<br />
<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড </div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-12546208392619886762018-08-02T01:10:00.000+06:002019-01-08T01:10:40.030+06:00তরুণদের আন্দোলনের কারণঃ আশা ও হতাশা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কোটার
আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন। তরুণদের এসব আন্দোলন শুধুমাত্র চাকরী
পাওয়া বা একজন ড্রাইভার এর শাস্তির দাবী ভাবলে সেটা অনেক বড় ভুল হবে।<br />
<br />
সত্যি বলতে আমরা তরুণরা অনেক হতাশাগ্রস্থ একটা সমাজে বেড়ে উঠেছি।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s1600/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="824" height="205" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s320/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>আমাদের সামনে সুন্দর একটা ভবিষ্যত নেই। এবং আমরা জানি আমাদের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই অবিচার হচ্ছে।<br />
<div class="text_exposed_show">
এই অবিচারগুলো বিদেশের কেউ এসে করে যাচ্ছেনা। বা অন্য গ্রহের কেউও করছেনা। আমাদের নিজেদের লোকজনই আমাদের উপর অবিচার করছে।<br />
<br />
একটু লোভের জন্য তারা পুরো সিস্টেমকে ধ্বংস করছে।<br />
<br />
যেসব দেশে মানুষ ঘুষ খায়না সেসব দেশে কি সবাই গরীব? বা যেসব দেশের পুলিশ মানুষ পেটায় না সেসব দেশে কি আইন শৃংখলা নেই?<br />
<br />
বরং সেসব দেশ আরও ভাল আছে। তাদের সবাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তাদের দেশে আইন-শৃংখলাও ভাল।<br />
এর অন্যতম কারণ সেইসব দেশের মানুষ বুঝে গেছে উন্নত হতে গেলে অন্যকারও
সম্পদ মেরে খেতে হবে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং সবাই মিলে একসাথে উন্নত হওয়া
যায়।<br />
<br />
অতীতে ধারণা করা হত সম্পদের পরিমাণ সীমিত। তাই একজনকে বড়লোক
হতে হলে অন্যকে গরীব হতে হবে। কিন্তু বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ অবস্থা বদলেছে।
আগের বছর যে জমিতে ১০০ টন ধান হত সেখানে এখন ১২৫ টন ধান হয়।<br />
ফলে অন্যজনের সম্পদ চুরির থেকে একটা ভাল স্ট্রাটেজী হল কিভাবে সবার সম্পদ একসাথে বাড়ানো যায় তার উপায় বের করা।<br />
<br />
কিন্তু এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার। আমাদের দেশের মানুষের এত সময় কোথায়?<br />
<br />
তাই ব্রীজ বানানোর সময় ১০০ কোটি বাজেট হলে আমরা সেখান থেকে ২৫ কোটি মেরে
দেই। এটা চিন্তা করি না ঐ ব্রীজের উপর দিয়ে আমার দেশের মানুষই মালামাল
পরিবহন করে সামনের একশ বছরে হয়ত ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করবে।<br />
<br />
১০ হাজার কোটির জায়গায় আমরা ২৫ কোটিকে বেছে নেই। ফলে দশ বছর পর ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে।<br />
বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে।<br />
<br />
স্বল্পমেয়াদী স্বল্প লাভের আশায় আমরা নিজের দেশটাকে গরীব ময়লা আবর্জনা
বানিয়ে রাখি। তারপর অন্য দেশে শ্রমিক হয়ে কাজ করতে যাই। গিয়ে তাদের ড্রেন
পরিষ্কার করে দিয়ে ডিসি হয়ে যাই। আমাদের সমাজের সবাই যেহেতু ডিসি এসপি হতে
যায় তাই সেটাই স্বাভাবিক।<br />
<br />
কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের তরুণ সমাজ জেগে ওঠে। তারা বোঝে যা হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না। তারা ব্যপারটাকে মেনে নিতে পারছে না।<br />
<br />
তাই তারা আন্দোলন করে। একটার পর একটা আন্দোলন করে। কারণ তারা বোঝে এরচেয়ে সুন্দর একটা জীবন তারা ডিজার্ভ করে।<br />
<br />
কিন্তু কবে আসবে সেই জীবন?<br />
<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-24902098086336698262018-08-02T01:05:00.001+06:002020-12-26T05:41:28.108+06:00আন্দোলনঃ তারুণ্যের শক্তি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
ওরা বাচ্চা না। ওরা শিশুও না। অনেক পূর্ণবয়স্ক মানুষের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত।<br />
<br />
সেটা ওদের আন্দোলনের ধরণেই সবাই টের পেয়ে গেছে আশা করি।<br />
<br />
আমাদের সমাজের একটা বড় সমস্যা হল সঠিক বয়সে আমরা কাউকে কাজে লাগাই না।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s1600/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="824" height="205" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s320/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>সত্যি বলতে কম বয়সে মানুষের উদ্যাম বেশি থাকে। স্বার্থপরতাও কম থাকে। এজন্য কম বয়সীরা অনেক বেশি আদর্শবাদী হয়।<br />
<div class="text_exposed_show">
<br />
উন্নত জাতিরা তাই কম বয়সীদের শক্তি সর্বোচ্চ কাজে লাগায়। আমাদের দেশে ঠিক
উলটো। কম বয়সীরা কিছু বললে তা কানে তোলা হয়না। তাদেরকে দায়িত্বও দেওয়া
হয়না। সম্মান দেওয়া তো অনেক দূরের কথা।<br />
<br />
কম বয়সীরা যা চায় সেই অনুযায়ী সমাজ চালালে সমাজ ঠিক পথে চলত।<br />
<br />
মানুষের বয়স যত বেশি হয়, ততই তারা আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর হতে থাকে।
দুঃখের বিষয় হল আমাদের সমাজে ত্রিশ-চল্লিশ বছর হওয়ার আগে মানুষের মতামতকে
মোটামোটি উপেক্ষাই করা হয়।<br />
<br />
আমাদের সমাজের মূল চালিকা শক্তি যেহেতু
তরুণদের পরিবর্তে বৃদ্ধরা তাই আমাদের সমাজের হাল-চালও বুড়ো মানুষের মতই।
কোন পরিবর্তন সহজে আসেনা। সবকিছু লক্কর ঝক্কর।<br />
<br />
আমি বলছি না
কিশোর-কিশোরীদের হাতে দেশ শাসনের ভার তুলে দিতে হবে। বেশি বয়সী লোকরাই দেশ শাসন করুক। কিন্তু তাদের মনের স্পিরিট হতে হবে কিশোর-কিশোরীর।<br />
<br />
আর কিশোর-কিশোরীদের কম বয়স থেকেই কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। আঠার বছর বয়সী সবাইকে একজন পূর্ণ বয়স্ক হিসেবে সম্মান দিতে হবে।<br />
<br />
সর্বপরি, পুরো সমাজ চালিত হবে তরুণ প্রজন্মকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।
তরুণ-তরুনীদের জীবন যেন সবচেয়ে সুন্দর হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
তাহলেই কেবল ভবিষ্যতে সুন্দর একটা সমাজ তৈরি হওয়া সম্ভব।<br />
<br />
- কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড </div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-43531067620449113502018-07-07T01:03:00.000+06:002019-01-08T01:03:59.991+06:00বার্লিনে প্রথমবার<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে একবার শখ করে জার্মান ভাষা শেখা শুরু করলাম।
বিকেলে আন্তর্জাতিক ভাষা শিক্ষা অনুষদে ক্লাস হত। কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু
শব্দ আর বাক্য বলা শিখে গিয়েছিলাম। এরপর ডিপার্টমেন্টের ক্লাস আর পরীক্ষার
চাপে জার্মান ভাষা শেখা চালিয়ে যেতে পারিনি।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>ব্রিটেনে এসে অনেক জার্মানের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। তবে তারা ইংরেজীতে খুব ভাল। কখনও তাদের সাথে জার্মান ভাষায় কথা হয়নি।<br />
<br />
জার্মান নিয়ে এত কথা বলার কারণ হল আগামী মাসে জার্মানী যাচ্ছি। বার্লিনে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে। এ<span class="text_exposed_show">টা
হল ফেডারেশন অফ ইউরোপিয়ান নিউরোসায়েন্স সোসাইটিস (সংক্ষেপে ফেন্স) এর
সম্মেলন। এবার তাই কিছুদিনের জন্য হলেও হয়ত জার্মান ভাষাটা ঝালিয়ে নেওয়ার
সুযোগ পাব।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
গত সপ্তাহে সেনগেন ভিসা হাতে পেয়েছি। বাংলাদেশী বলে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে যেতেই আমাদের ভিসা লাগে। অন্য অনেক জাতির লাগে না।<br />
<br />
সেনগেন ভিসার প্রসেসটাও বেশ ঝামেলার। তিন মাসের বেশি বিজনেস ভিসা দেয়না।
তবে আগষ্টে পর্তুগাল যাওয়ার সময় একই ভিসায় কাজ হয়ে যাবে বলে তত বেশি বিরক্ত
হচ্ছি না। দুই দুইবার ভিসার ঝামেলা তো আর করতে হচ্ছে না।<br />
<br />
- অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য <br />
<br />
২। জার্মান ভাষায় বেলজিয়ামকে বলে বেলগিয়েন আর ব্রাজিলকে বলে ব্রাজিলিয়েন।<br />
<br />
- ব্রান্ডেনবুর্গ, বার্লিন, জার্মানি <br />
<br />
৩। বার্লিনে আসার পর সব জায়গায় জার্মান বলার চেষ্টা করতেছি।<br />
<br />
খাবারের
দোকানে গিয়ে জার্মান দিয়েই শুরু করি। কিন্তু আমার জার্মান তত ভাল না। তাই
একটুতেই আটকে যাই। আর জার্মানরা আমার কষ্ট দেখে ইংরেজিতেই কথা বলা শুরু
করে। এরা ইংরেজিতে অনেক ভাল।<br />
<br />
তবে গতকাল রাতের খাবার খেতে গিয়ে পুরো কাজ জার্মানে সারতে পারলাম অবশেষে।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
আমি: হালো। ইস মোয়েস্টে আইন ... উন্ড আইন ... <br />
হিয়ার এজেন ওডার ভাগনেহমেন?<br />
আমি বললাম, হিয়ার।<br />
তারপর দাম দিতে বলল। ফুনফ অয়রো উন্ড আখটছিস। দাম দিলাম।<br />
এরপর ও আরো কিছু বলল। আমি বুঝলাম বসতে বলেছে। আমি তাকে ডানকে বলে বসে গেলাম।<br />
<br />
ডানকে মানে ধন্যবাদ।<br />
<br />
আজকে সকালে কফি সপে এসে কফি অর্ডার করার সময় আবার জার্মান ট্রাই করলাম।
এবার কাজ হলোনা। আমার ভাঙা উচ্চারণ দেখে কফি সপের মেয়েটা ইংরেজিতে বাকি কথা
বলে গেল। আমি জার্মান না পারার মনোকষ্ট নিয়ে বসে বসে কফি খাচ্ছি আর এই
পোস্ট লিখছি।<br />
<br /> - শারলোটেনবুর্গ, বার্লিন, জার্মানি</div>
</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-67870033137817200602018-06-27T00:58:00.000+06:002019-01-08T00:59:12.362+06:00বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে দুটি পর্যবেক্ষণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
বিশ্বকাপটা এবার একটু অন্যরকম। এমন একটা দেশে বসে বিশ্বকাপ দেখছি যারা
নিজেরাই বিশ্বকাপে খেলছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল বিশ্বকাপের কোন শোরগোল
এখানে নেই।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s1600/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="824" height="205" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s320/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<a name='more'></a>সবাই খেলা দেখে। সেটা নিয়ে কথা বলে। কিন্তু মাতামাতি নেই
তেমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও বাংলাদশের চেয়ে কম। আর কোন টিমের পতাকা নেই
কোন বাড়ির ছাদে।<br />
<br />
ইংল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার সময়ের পার্থক্য নেই বললেই
চলে। তাই রাত জেগে খেলা দেখতে হয়না। প্রতিদিন বিকেলে বাসায় ফিরে টিভি ছেড়ে
দেই। আর রেস্ট নিতে নিতে ম্যাচ দেখি।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
ইংল্যান্ডে আছি বলে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করছি এবার।<br />
<br />
যাই হোক বিশ্বকাপ নিয়ে দুটি পর্যবেক্ষণ লেখব বলে শুরু করেছিলাম।<br />
<br />
প্রথম পর্যবেক্ষণটি আজকের ম্যাচ নিয়ে। আজকের আর্জেন্টিনা - নাইজেরিয়ার খেলা
আরেকটু হলেই ড্র হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খেলা শেষের কিছুক্ষন আগে
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় রোহো গোল করে তার দলকে জিতিয়ে দেয়। রোহো একজন
ডিফেন্ডার। ডিফেন্ডার হয়ে গোল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে রোহো যেকারণে
অন্যদের থেকে আলাদা তার কারণ হল সে বাম দিক থেকে আক্রমণ করে ডি বক্সে ঢুকে
পরে। এরপর বল মাঠের মধ্যভাগে চলে গেলেও সে ফিরে না গিয়ে ডি বক্সেই বলের
জন্য অপেক্ষা করতে<span class="text_exposed_show"> থাকে। কিছুক্ষণের
মধ্যেই ডান দিক থেকে একটা ক্রস আসে। আর বক্সে ওৎ পেতে থাকা রোহো গোল দেয়।
সত্যি বলতে আর্জেন্টিনার জন্য ততক্ষণে 'ডু অর ডাই সিচুয়েশন'। রোহো যদি
ডিফেন্ডার হিসেবে নিয়মমতো রক্ষণভাগে চলে যেত তাতে নির্ঘাত ম্যাচ হেরে যেত।
বরং নিয়মের বাইরে গিয়েছে বলেই দারুন কিছু করতে পেরেছে। এ থেকে একটা শিক্ষা
হল, সব সময় গৎ বাধা নিয়মে চলতে হয়না। মাঝে মাঝে বৃহৎ স্বার্থে অন্যরকম
সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একারণে ক্লাসের দুষ্ট ছেলেরা অনেক ক্ষেত্রেই দারুন কিছু
করে ফেলে। রোহো আজকের ম্যাচের দুষ্ট ছেলে।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ আমাদের নিজেদের নিয়ে। আমরা কেন বিশ্বকাপ নিয়ে এত
মাতামাতি করি? মেসি রোনালদোকে নিয়ে লাফালাফি করি? একে তো আমাদের দেশ ফুটবল
খেলে না, তারসাথে মেসি রোনালদোও আমাদের দেশের নয়। আমার মতে, এর একটা কারণ
হল আমাদের জীবনে উৎসাহ খোঁজার মত উৎসের অভাব। আমরা নিজেরা বেশিরভাগ কাজেই
ভাল নই। তাই অন্য দেশের খেলোয়াড়রা দারুন কিছু করলেও আমরা সেখান থেকে উৎসাহ
খোঁজার চেষ্টা করি। আর একটা কারণ হল, আমাদের সমাজের সব কিছুতেই বিশৃঙ্খলা।
কোন কিছুকেই ভরসা বা বিশ্বাস করা যায় না। বাস ঠিক সময়ে আসে না। পরীক্ষা ঠিক
সময়ে হয় না। কোন অফিসে গেলে কাজ ঠিকমত হয়না। এতে আমরা অনেক হতাশ থাকি। তাই
এমন কিছু খুঁজতে থাকি যাতে আস্থা রাখা যায়। ফুটবল বিশ্বকাপ এরকম একটা
আস্থার জায়গা। ঠিক চার বছর পর পর এটা ফিরে আসে। সব কিছু চকচকে ঝকঝকে। সব
কিছুতে অনেক উত্তেজনা কিন্তু বিশৃঙ্খলা নেই। এরকম জিনিসের প্রতি আস্থা তৈরি
হওয়াই স্বাভাবিক। তাছাড়া এই একটা জিনিস সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে একাত্ম
হয়ে বন্ধু বান্ধব সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা যায়। ফলে ফুটবল বিশ্বকাপ চুড়ান্ত
আবেগের জায়গা ধারণ করে।</div>
</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-70373259602824302962018-05-22T00:54:00.000+06:002019-01-08T00:55:21.563+06:00সমন্বিত উদ্যোগ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) মহাকাশে তাদের প্রথম স্যাটেলাইট
উৎক্ষেপণ করল। এই ঘটনায় দেশবাসী মোটামোটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগ
অনেক গর্বিত হয় আর একভাগ বলতে থাকে, এই টাকা তো অন্য খাতে ব্যয় করা যেত।
গরীবের আবার স্যাটেলাইট!<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<a name='more'></a><br />
কিন্তু একটু মাথা খাটালেই আমরা বুঝতে পারব
স্যাটেলাইটের দাম চালের থেকে সস্তা। কিভাবে? ধরুন, প্রত্যেক মানুষ দিনে তিন
প্লেট ভাত খায় যার দাম দশ টাকা। বাংলাদেশে আঠার কোটি মানুষ আছে। প্রত্যেকে
দ<span class="text_exposed_show">শ টাকার ভাত খেলে প্রতিদিন ভাতের পিছনে
খরচ একশ আশি কোটি টাকা। তাহলে বছরে ভাতের পিছনে খরচ ৩৬৫*১৮০ = ৬৫ হাজার
সাতশ কোটি টাকা। সেখানে স্যাটেলাইটের পুরো ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকার মত।
আর একটা স্যাটেলাইট চলবে পনের বছর। বিটিআরসি ৫০% নিজে ব্যবহার করবে। বাকি
৫০% ভাড়া দিতে পারলে সাত আট বছরেই আসল উঠে আসবে। বাকি সময় থেকে আবার লাভও
হবে। তার মানে স্যাটেলাইটে খরচ তো হবেই না বরং অতিরিক্ত আয় হবে।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
এখানে একটা বিষয় লক্ষ করতে হবে। স্যাটেলাইট একটা সমন্বিত উদ্যোগ। একটা
স্যাটেলাইট দিয়েই দেশের সব মানুষের কাজ চলে যাবে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা
স্যাটেলাইটের প্রয়োজন নেই। দেশের সব মানুষ মিলে শেয়ার করবে বলেই
স্যাটেলাইটের খরচ ভাতের চেয়ে কম। সবার যেখানে লাগে একটা স্যাটেলাইট সেখানে
প্রত্যেকের জন্য লাগে আলাদা আলাদা প্লেট ভাত।<br />
<br />
শুধু স্যাটেলাইট নয়
এমন আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো সমন্বিত উদ্যোগ। যেমন - স্কুল, কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘর, খেলার মাঠ, চিড়িয়াখানা, মসজিদ ইত্যাদি। সামাজিক
বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে প্রতিষ্ঠান বলে।<br />
<br />
স্যাটেলাইট একটি রাষ্ট্রীয়
প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন স্যাটেলাইটের মত এমন উদ্যোগের
বিরোধিতা করে? কারণ মানুষ অনেক স্বার্থপর। সে সব সময় দেখে কোন কাজ করলে
সাথে সাথে তার কি লাভ হবে। স্বল্পমেয়াদি লাভ না থাকলে সেই কাজের দিকে সবার
চোখে পরে না।<br />
<br />
এই আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে আমাদের দেশে সহজে বড় কিছু
করা যায় না বা সম্ভব হয় না। উন্নত দেশগুলো কিন্তু এমন নয়। তারা ব্যক্তির
আগে সমাজকে দেখে। তাই সেখানে বাড়িঘর হয় ছোট আর জাদুঘর হয় বড়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয় আরো বিশালাকার। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করতে গেলেই
সবাই হিসেব কষতে বসবে জাদুঘরে তার কি লাভ। যেজন্য আমাদের দেশে সেটা হয়ও না।
তাই আমার দেশে মানুষের বাড়ি ঘরে সান-শওকত আর জাদুঘরে গরিবানা।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br /> কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-20115412057524505902018-05-10T00:48:00.000+06:002019-01-08T00:52:17.135+06:00সরকার কেন রকেট বানায় না<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
এই দশকের আগে
পর্যন্ত রকেট প্রযুক্তি ছিল পুরোপুরি সরকারের হাতে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা
বেসরকারি কোম্পানির কাছে চলে যাচ্ছে। স্পেসএক্স এই ক্ষেত্রে অনেকটা বিপ্লব
করে ফেলেছে। কারণ তাদের রকেট অনেক সস্তা। সম্ভবত ৫০ মিলিয়ন ডলার (স্মৃতি
থেকে লিখছি, ভুলও হতে পারে) হলেই তাদের রকেট ভাড়া করা যায়।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<br />
<a name='more'></a>যুক্তরাষ্ট্রে রকেট শিল্পকে এখনও এডভান্সড ওয়ারফেয়্যার খাত বিবেচনা করা হয়।
তবে আমার মনে হয় রকেট শিল্প খুব দ্রুতই যোগাযোগ খাতে চলে যাবে। ফলে একটা
বাস বা <span class="text_exposed_show">বিমানকে যেভাবে বিবেচনা করা হয় রকেটকে সেভাবে বিবেচনা করা হবে।</span><br />
<br />
আমরা যখন বিদেশে ফেডেক্স করে চিঠি পাঠাই, তখন ফেডেক্স চিঠিটা নিয়ে গেলেও
চিঠিটা আমাদেরই থাকে। একইভাবে স্পেসএক্স আমাদের স্যাটেলাইট বহন করে নিয়ে
গেলেও স্যাটেলাইটটি আমাদেরই থাকছে।<br />
<br />
অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ সরকার
নিজে কেন রকেট বানাচ্ছে না। কারণ সেটি করলে খরচ অনেক বেশি হত। আমেরিকা
সরকার কিছুদিন আগে রকেট বানানো বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ সরকারি রকেট প্রকল্প
অনেক ব্যয়বহুল। আমেরিকায় স্পেসএক্স আর বোয়িং এই দুই কোম্পানি মিলে সরকারের
সব রকেট উৎক্ষেপণ করে দেয়।<br />
<br />
তবে আমি স্বপ্ন দেখি এমন একদিন আসবে যখন বাংলাদেশের কোন কোম্পানি রকেট বানাবে। আর সেখানে কাজ করবে বাংলাদেশি তরুণেরা।<br />
<br />
ফ্যালকন নাইন ও বঙ্গবন্ধু-১<br />
=====================<br />
স্পেসএক্স
সবসময় আমার প্রিয় কোম্পানিগুলোর একটা। তাদের কারণে এখন রকেট উড়ানোর খরচ
অনেক কম। আগামীকাল তাদের ফ্যালকন নাইন ফ্যামিলির সর্বশেষ ভার্সন মহাকাশের
উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত উড়ে যাবে।<br />
<br />
এই রকেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল
উড়ার পর ল্যান্ড করে ৪৮ ঘন্টা পর আবার উড়তে পারবে। অন্য রকেট যেখানে একবার
উৎক্ষেপণের পর ধ্বংস হয়ে যায় সেখানে ফ্যালকন নাইন বারবার উৎক্ষেপণ করা
যাবে। ফলে একটি রকেট দিয়েই দশটির বেশি মিশন সম্পন্ন করা যাবে।<br />
<br />
ফ্যালকন নাইনের নতুন মডেল তাই মহাকাশ শিল্পে অনেকটা বিপ্লবের মত।<br />
<br />
কালকের মিশনের গুরুত্ব আমার কাছে আর একটা কারণে অনেক বেশি। কারণ কাল
ফ্যালকন নাইনের নাকের ডগায় থাকবে বাংলাদেশের প্রথম ভুস্থির স্যাটেলাইট
বঙ্গবন্ধু-১৷ অবশেষে মহাকাশে বাংলাদেশের একটা পরিচয় তৈরি হল। চিন্তা করছি
আর গর্বিত হচ্ছি।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br />
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড </div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-81941445422752741832018-04-10T15:56:00.001+06:002018-04-10T15:57:08.389+06:00কোটা, মুক্তিযুদ্ধ, নারীবাদ ও স্থানীয় উন্নয়ন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
অনেকে কোটা বিরোধীতাকে মুক্তিযুদ্ধ বা নারীবাদের শত্রু হিসেবে দেখছেন। কিন্তু সবার বুঝতে হবে, চাকরিতে কোটা সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা আছে যার সাথে মুক্তিযুদ্ধ বা নারীবাদের কোন সম্পর্ক নেই।</div>
<div dir="ltr">
</div>
<a name='more'></a><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s1600/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="824" height="205" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgF4D85n2ElsZ4eOx4ABMRVHWuNpgF87UsSv4WhMWpU-tsdPVlmif-xHeErtOFXRYvtLINObg1CpiB91Pz2hkF4I2PtX_fb8kxx-9SIxQkFA9HI-ynNNW4EOLkfp_tUggzcdSDdkIY-ZwCb/s320/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন অনেকটা সমাজতান্ত্রিক আদলে আমাদের অনেক সিস্টেম তৈরী হয়। যার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা অন্যতম। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে এর কোন জায়গা নেই।<br />
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
কোটা থাকার অর্থ হল, আপনি ধরে নিচ্ছেন সরকারী চাকরির জন্য সেরা লোকের প্রয়োজন নেই, যেমন তেমন একজন লোক হলেই হল। তাই সবচেয়ে বেশি যোগ্যতার ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে কোটায় লোক নেওয়া ঠিক আছে।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
যারা কোটায় চাকরিতে ঢোকেন তারা নিজেরাই সারা জীবন হীনমন্যতায় ভোগেন। চাকরি হচ্ছে মানুষের মাথা উঁচু করার অন্যতম হাতিয়ার। চাকরিতে ঢুকে যদি সারাজীবন মাথা উঁচু করে থাকা না যায় তাহলে সেটা দুঃখজনক।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
অনেকে যুক্তি দেন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সাহায্য করে। আসলেই কি তাই? মুক্তিযোদ্ধার অনেক ছেলে-মেয়েই কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দল জামায়াত-ই-ইসলামী বা তাদের ছাত্র সংগঠনে যোগ দেয়না?</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
একটা উদাহরণ দেই। ধরেন একজন মুক্তিযোদ্ধা তার মেয়েকে একজন রাজাকারের ছেলের সাথে বিয়ে দিলেন। এখন, তাদের নাতি-নাতনি হলে তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাবেন যদিও তারা রাজাকারের নাতি-নাতনি।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কোটা ব্যবস্থার কারণে দেশের মৌলিক ভিত্তি ধ্বংস হোক এটা কোন মুক্তিযোদ্ধা চাইতেন বলে আমার মনে হয়না।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
নারীকোটা নিয়ে কথা বলা আরও স্পর্শকাতর। উপরের অনেক যুক্তি নারীকোটার ক্ষেত্রেও খাটে।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
নারীশিক্ষায় প্রণোদনা দেওয়া হোক যাতে প্রত্যেক নারী প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে পারে। যেটা ইতোমধ্যে সব সেক্টরে শুরু হয়ে গেছে। নারীরা প্রতিযোগিতা করেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক নারীদের জন্য প্রণোদনা আরও বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ পাওয়ার পরে চাকরিতে কোটা থাকার কোন প্রয়োজন নেই।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
এমনকি জেলা কোটা বা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ও মনে হয়না দরকার আছে। স্থানীয় উন্নয়নকে শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী হতে হবে। কোটা ব্যবস্থায় সরকারি চাকরি দিলে কিভাবে স্থানীয় উন্নয়ন সম্ভব? এলাকার লোক অফিসে আসলে তারা অতিরিক্ত অবৈধ সুবিধা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করবেন?</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
অনেককে বলতে শুনেছি এলাকার একজন লোকের সরকারী চাকরি হলে আশেপাশের সবার অবস্থা ভাল হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে নিজের এলাকার লোককে অতিরিক্ত সুবিধা করে দেওয়াটা অনৈতিক। তাই আপাতত দৃষ্টিতে ঠিক মনে হলেও জেলা কোটায় কতটুকু স্থানীয় উন্নয়ন হয় সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
কোন কিছুতে শর্টকাট ভাল না। কোটা হল সুষম সমাজ গড়ে তোলার জন্য একটা শর্টকাট। সঠিক পথ হল, প্রত্যেক নাগরিককে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া। তারপর যার যে কাজ ভাল লাগবে, যে যেকাজে পারদর্শী তাকে সেই কাজে নিয়োগ দেওয়া। সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলে দিনশেষে লাভটা সবার।</div>
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div dir="ltr">
বাংলাদেশে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ৫৬% কোটা। এটা পুরোটাই অন্যায্য, অমানবিক এবং প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-45931467788710973002018-04-09T18:26:00.002+06:002018-04-09T18:26:45.201+06:00কোটা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কোটা থাকতে পারে সুযোগের ক্ষেত্রে, সুবিধার ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ
প্রত্যেকটি শিশু যেন সমান সুযোগ পায় বেড়ে ওঠার। কিন্তু সে যদি সুযোগ পেয়েও
নিজেকে গড়ে তুলতে না পারে তার দায় রাষ্ট্রের নয়।<br />
<a name='more'></a><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
রাষ্ট্র শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। ফ্রি বই দিয়েছে। এরপরও যে চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য করতে পারেনি তার জন্য কেন কোটা থাকবে?<br />
<br />
আধুনিক বিশ্বে চাকরির ক্ষেত্রে ১% কোটা থাকাও হাস্যকর। কারণ কোটা মানেই
যোগ্য লোককে বাদ দিয়ে একজন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য লোককে দিয়ে কাজ করানো।
অন্যান্য দেশ যেখানে সবচেয়ে মেধাবী লোককে চাকরি<span class="text_exposed_show">তে নিয়োগ দেয় (প্রয়োজন হলে অন্য দেশ থেকে নিয়ে আসে), সেখানে আমাদের দেশ যদি তা না করে তাহলে দেশ পিছিয়ে পরবে।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
ধরেন, আপনার বাসার জন্য আপনি একটি খাট বানাবেন। আপনি কিন্তু চাইবেন যে লোক
কাঠমিস্ত্রির কাজে সবচেয়ে ভাল তাকে নিয়োগ দিতে। কোটা ব্যবস্থায় নিশ্চয়
নিয়োগ দিবেন না।<br />
<br />
কিন্তু দেশের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আপনি দেখছেন
লোকটা কার সন্তান। অমুকের সন্তান হলেই হল। সে কাজে তার যোগ্যতা বা উৎসাহ
থাকুক আর না থাকুক।<br />
<br />
বাড়ির একটা খাট বানানোর জন্য আমাদের কত যত্ন। কিন্তু দেশের অনেক বড় সিদ্ধান্ত যে নিবে তাকে নিয়োগ দিতে আমাদের কি সেই যত্ন আছে?</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-32335510774656806192018-03-15T05:40:00.000+06:002018-04-08T05:41:26.623+06:00স্টিফেন হকিংঃ একজন সাহসী অভিযাত্রীর প্রস্থান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
তখন সম্ভবত ক্লাস সেভেনে পড়ি। ২০০২ সালের কথা। ভাইয়ার কাছে শুনেছিলাম
পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী নড়াচড়া করতে পারেনা। শুধুমাত্র একটা আঙ্গুল নাড়িয়ে
হুইল চেয়ারের সাহায্যে চলাফেরা করে। বিষয়টা আমাকে অনেক ভাবিয়েছিল। আমি
সুস্থ সবল মানুষ হয়েও কিছু করতে পারি না আর কেউ কিনা পক্ষাঘাতগ্রস্থ শরীর
নিয়েও সেরা বিজ্ঞানী! একারণে তার সমন্ধে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। বিজ্ঞানীটির
নাম স্টিফেন হকিং। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী।<br />
<a name='more'></a><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
বিজ্ঞানে <span class="text_exposed_show">আমার
যত আগ্রহ তার অন্যতম কারণ ছিল স্টিফেন হকিং। ক্লাস নাইনে থাকতে ভাইয়া হকিং
এর কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম) বইটি উপহার দেয় তার
চাকরির প্রথম বেতন পাওয়া উপলক্ষে। ক্লাস নাইনের পুরো সামার ভ্যাকেশন আমি
এই বইয়ের উপর বুদ হয়ে ছিলাম।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
প্রতিদিন দুপুর বেলা বইটি পড়া শুরু করতাম। এরপর পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে যেতাম।
সবকিছু যে বুঝতাম তা না। কিন্তু পড়ে যেতাম। এভাবে আমি জানতে পারি মহাবিশ্ব
কি দিয়ে তৈরি, সেগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয় এই সব বিষয়ে তত্ত্ব। পড়তাম আর অবাক
হয়ে যেতাম আমাদের জগত কত আশ্চর্য সেটা ভেবে।<br />
<br />
নিজের জগতকে ভিন্নভাবে
দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বুঝতে পারি জগত নিয়ে ভাবার কাজটা খুব
গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকেই বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা আমার মধ্যে দৃঢ় হতে থাকে।
ইন্টারমেডিয়েটে উঠতে উঠতেই তাই সিদ্ধান্ত নেই বিজ্ঞানী হব।<br />
<br />
এইভাবে স্টিফেন হকিং এর একটা বই আমার সারা জীবন বদলে দেয়।<br />
<br />
গতকাল ১৪ মার্চ তিনি মারা গেছেন।<br />
<br />
১৪ মার্চ কে বলা হয় পাই দিবস। কারণ পাই এর মান ৩.১৪ কে আমেরিকান সিস্টেমে
তারিখ হিসেবে লেখলে (অর্থাৎ মাস/দিন) এই তারিখটি পাওয়া যায়। অনেকেই ১৪
মার্চকে সবচেয়ে সুন্দর তারিখ বলে। সেই তারিখে অসাধারণ বিজ্ঞানীটি আমাদের
ছেড়ে গেলেন।<br />
<br />
আইনস্টাইনের জন্মদিনও কিন্তু পাই দিবসে।<br />
<br />
স্টিফেন হকিং অনেক কম বয়স থেকে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত। ডাক্তাররা বলেছিল
তিনি ২২ বছর বয়সেই মারা যাবেন। কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে তিনি হার
মানেননি। লড়াই করে গেছেন। শুধু যে ব্যাধির সাথে যুদ্ধ করেছেন তাই না, বরং
বিজ্ঞানের গবেষণা করে গেছেন জীবন ব্যপী। শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্থ হলেও তার
মস্তিষ্ক দিয়েই চিন্তার মাধ্যমে করে গেছেন সব গবেষণা। উদ্দীপনা আর অধ্যবসায়
দিয়ে তিনি জয় করেছেন ব্যাধিকে।<br />
<br />
তাই আজীবন জয়ী এই বীরের প্রস্থান আমাদের শোকাহত নয় বরং আরও উৎসাহিত করে। উৎসাহিত করে বিজ্ঞানের প্রতি। উৎসাহিত করে জীবনের প্রতি।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br />
কিবল কলেজ, অক্সফোর্ড</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-64789014603516680742018-02-28T05:44:00.000+06:002018-04-08T05:50:33.200+06:00রুবিন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
প্লেনে যাত্রা করার সময় আমি সচরাচর আশেপাশের যাত্রীর সাথে কথা বলি না। কিন্তু এনাহাইম থেকে ডেনভার যাওয়ার পথে তার ব্যতিক্রম ঘটল।<br />
<a name='more'></a><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
এনাহাইমে কোন এয়ারপোর্ট নেই তাই প্লেন ধরতে যেতে হল লস এঞ্জেলেস
এয়ারপোর্টে। ট্যাক্সিতে রওয়ানা দিলাম। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিটের রাস্তা।
রাস্তায় একটা সি বীচ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। ট্যাক্সি ছেড়ে দিলাম
কিছুক্ষণ সমুদ্রের পাশে বসার জন্য।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
ম্যানহাটন বীচ। নীল সমুদ্র দেখা যাচ্ছে। একটা রেস্টুরেন্টের বারান্দায় বসে
পরলাম। সমুদ্র দেখতে দেখতে লাঞ্ছটা সেরে ফেলা যাক। অর্ডার দিলাম গ্রিক
স্যুপ আর জাইরোস। খাওয়া শেষে আর একটা ট্যাক্সি ধরে এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য
উঠে পরলাম।<br />
<br />
ট্যাক্সি পেতে একটু বেগ পেতে হচ্ছিল। কারণ যে
রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছিলাম তাদের ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন নেই। বাধ্য
হয়ে সাথের ব্যাগ ব্যাগেজ সহ হাটতে থাকলাম যদি একটা স্টারবাকস এর কফির দোকান
পাওয়া যায়। কিছুদূর হাটতেই কফির দোকানটা পেয়ে গেলাম। ওদের ফ্রি ওয়াইফাই
ব্যবহার করে উবারের ট্যাক্সি ডাকতে পারলাম অবশেষে।<br />
<br />
যাইহোক এখন আসল
কথায় আসি। প্লেনে উঠে বসতেই পাশের সিটের ছেলেটার সাথে বেশ খাতির হয়ে গেল।
পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডশেক করার পর আমি আর রুবিন যাত্রার প্রায় পুরোটা সময় কথা
বললাম।<br />
<br />
রুবিনই জিজ্ঞেস করল আমি কি করি। আমি বলার পর সে বলল তোমার
কাজ তো দারুণ। এরপর আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি করো। বলল, এইতো আমি
ছোটখাট রকেট উড়াই।<br />
মানে?<br />
আমাদের কোম্পানি রকেটের ব্যবসা করে।<br />
আমি বললাম, হুমম। এটা কোন কোম্পানি।<br />
সে বলল, স্পেসএক্স।<br />
বলো কি! আমি তো স্পেসএক্স এর অনেক বড় ফ্যান। তোমার দায়িত্বটা ঠিক কি?<br />
রকেট ওড়ার পর থেকে কক্ষপথে যাওয়া পর্যন্ত আমার কাজ।<br />
ডেনভারে কি করতে যাচ্ছ?<br />
ছুটি কাটাতে। ওখানে গিয়ে স্কি করব।<br />
<br />
তারপর আরো অনেক কথা হল। জানতে পারলাম। রুবিনের বাবার একটা কোম্পানি আছে
যেখানে প্লেন চালানো শেখায়। ছোটবেলাতেই রুবিন প্লেন চালানো শেখে। সাথে সাথে
কিভাবে প্লেন সারাতে হয় তার শিক্ষা পায়। এরপর পড়াশুনা শেষে স্পেসএক্স এ
জয়েন করে। লস এঞ্জেলেস থেকে মোটরবাইকে করে অফিসে যাতায়াত করে।<br />
<br />
আমি
ওকে বলমাম, এই ছোট জীবনেই তুমি এমন অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছ যার উপর
মানুষের জীবন নির্ভর করে। আগে প্লেন চালাতে। এখন রকেট ওড়ানোর দায়িত্ব
তোমার। এই সব করতে তোমার নার্ভাস লাগে না? ও বলল, এই সব কাজ করতে গিয়ে আমি
উপলব্ধি করেছি জীবন চলে যেতে এক সেকেন্ডও সময় লাগেনা। আর এই উপলব্ধি আমাকে
জীবনের প্রতি বিনয়ী করে তুলেছে। আমি জানি প্রত্যেকটা মুহূর্ত কত মূল্যবান।
তাই আমি প্রত্যেকটা মুহূর্তের জন্য বাঁচি। প্রত্যেকটা মুহূর্তকে মূল্যবান
করার চেষ্টা করি।<br />
<br />
এরপর ও আমাকে ওর সাথে থাকা বিজ্ঞানের একটা বই
দেখাল। বইটার নাম সায়েন্সিয়া, উডেন বুক সিরিজের একটা বই। আমরা অনেকক্ষন
ছবির মাধ্যমে কিভাবে গণিত সমাধান করা যায় সেটা আলোচনা করলাম। এরপর ও আমাকে
ওর স্কেচবুক দেখাল। যেখানেই যায় স্মৃতিপূর্ন জিনিসগুলো স্কেচ করে রাখে।
যেমন - এক পৃষ্ঠায় একটা পানীয়ের বোতলের স্কেচ আর একটা পৃষ্ঠায় অন্য কিছুর
স্কেচ, এরকম। সাথে স্কেচের তারিখ।<br />
<br />
আলাপের এক পর্যায়ে ওকে বললাম, কনফারেন্সের ফাঁকে আমারও স্কি করার ইচ্ছা আছে। শুনে ও আমাকে স্কি বিষয়ক কিছু টিপস দিয়ে দিল।<br />
<br />
এত আলাপচারিতায় আমার উপলবব্ধি, আমেরিকা সফরে আমার সাথে পরিচিত হওয়া সবচেয়ে ইনারেস্টিং ব্যক্তি রুবিন।<br />
<br />
মঞ্জিলুর রহমান<br />
লারামি, উইওমিং, যুক্তরাষ্ট্র।</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-63378073202162903792018-02-06T06:04:00.001+06:002021-01-07T18:00:12.413+06:00ফ্যালকন হেভি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আজকের দিনের একটা খবর নিয়ে আমি বেশ
উত্তেজিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রকেটটি আজ সন্ধ্যায় (যুক্তরাজ্যের সময়,
বাংলাদেশ সময় রাত ১২ঃ৩০) উৎক্ষেপণ করা হবে।<br />
<a name='more'></a>আধুনিক রকেটের ইতিহাসে
এটা অনেক বড় একটা পদক্ষেপ। এই রকেটটি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিখ্যাত
ধনকুবের উদ্যোক্তা এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। রকেটের নাম ফ্যালকন
হেভি। তিনটি ফ্যালকন নাইন রকেট জোড়া দিয়ে এই রকেটটি বানানো হয়েছে।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
ফ্যালকন হেভি বর্তমানে বিদ্যমান সবচেয়ে বড় রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ ওজন বহন করতে পারবে।<br />
এর আগে এপোলো ১১ যে স্যাটার্ন রকেটে করে চাঁদে গিয়েছিল সেটা ফ্যালকন হেভি
এর চেয়ে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও ১৯৭৩ সালের পরে আর সেটা তৈরি করা হয়নি।<br />
<br />
ফ্যালকন হেভি রকেটের উৎক্ষেপণ দেখতে ফ্লোরিডার ঐ এলাকার আসেপাশে অনেক লোক
ভীড় করছে। সব হোটেল আর বাসা নাকি ভাড়া হয়ে গেছে এর মধ্যেই। আসলেই উত্তেজনার
বিষয়।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgpYRgswKCb6R3viYCPvH93885OiRpZm1vpsJpqhe4MEMkYuGpUzHWfLZPvC_xcyTKo0NmuwzQGQrnx3-wiFXAqlcNxdIMZ5XwqPGgu0Ywx-0NmHGlf7q3L4-c5zw1Op-2RBTNe2KtWo50a/s1200/spacex-falcon-heavy-space-internet-satellite-elon-musk.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgpYRgswKCb6R3viYCPvH93885OiRpZm1vpsJpqhe4MEMkYuGpUzHWfLZPvC_xcyTKo0NmuwzQGQrnx3-wiFXAqlcNxdIMZ5XwqPGgu0Ywx-0NmHGlf7q3L4-c5zw1Op-2RBTNe2KtWo50a/s320/spacex-falcon-heavy-space-internet-satellite-elon-musk.jpg" width="320" /></a></div><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8795233979433398689.post-73013535059168372682017-12-11T06:01:00.000+06:002018-04-08T06:02:27.768+06:00বরফে ঢাকা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
ডিসেম্বরের মাসের শুরু থেকেই অক্সফোর্ডে হিম-শীতল ঠান্ডা। বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে না। সবসময় একধরনের জড়তা কাজ করে।<br />
<a name='more'></a><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s1600/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="549" data-original-width="800" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJDx9PQ5I_0HQ3aV9h2iqDIfDWVguGcfvcdIFPZvTYRJFZRLjmtFef_IhmO53Z_6JE7t6zdAKLuDaVy1SuqTOgGGwrRbEEKqVUjgzc_g34i8PQiQ5OAjRBMZhuEWfjHqsyk3OCijWYbBEj/s320/%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="text_exposed_show">
আগে মাঝে মাঝে ইউনিভার্সিটি পার্কে দৌড়াতে যেতাম। কিন্তু খুব বেশি ঠান্ডা
পরায় সেটাও বাদ দিয়ে দিয়েছি। গতকাল থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে। ইউনিভার্সিটি
পার্ক এখন বরফে ঢাকা। সেটারই একটা ছবি দিয়েছি এখানে।<br />
<br />
গত কয়েকবছরে এখানে তেমন একটা তুষারপাত হয়নি। তাই এটাই আমার জীবনে দেখা প্রথম তুষারপাত।<br />
<br />
গত পরশুর কথা। রাতের বেলা যখন বাসায় ফিরছিলাম। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মত তুষার
পরা শুরু হল। আমিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেলাম। রাস্তায় একজন গিটারে গান
বাজাচ্ছিল। খুব রোমান্টিক একটা গান। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন শুনে
বাসায় ফিরে এসেছিলাম। গতকাল সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি সারা শহর বরফে
ঢাকা।</div>
</div>
Monzilur Rahmanhttp://www.blogger.com/profile/07113755179521350088noreply@blogger.com