অক্সফোর্ড সামার এইটস

আমাদের ইউনিভার্সিটির বার্ষিক রোয়িং বা দাঁড় টানা প্রতিযোগিতা নাম এটি। খেলাটা অনেকটা আমাদের দেশের নৌকা বাইচের মত। কিন্তু এখানে এক নৌকায় শুধু আটজন বৈঠা টানে। প্রতিযোগিতার নামও তাই সামার এইট'স।

বাইসাইকেল

অক্সফোর্ড শহরের প্রধান বাহন বাইসাইকেল। ছেলে-মেয়ে, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক সবাই সাইকেলে চলাফেরা করে। ব্যপারটা দেখতে ভালই লাগে। কোন ছেলে স্যুট পরে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে অথবা কোন মেয়ে পার্টি ড্রেস পরে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে এটা এখানকার নিয়মিত দৃশ্য।

পেট এনিমেল

ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।

ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।

পেট এনিমেল বা পোষা প্রাণীর ব্যপারটা আমার কাছে সব সময় বইয়ের পাতার জিনিসই ছিল। আমাদের দেশে এটার তেমন প্রচলন না থাকলেও স্কুলে প্যারাগাফ লিখতে হত, "ইউর পেট এনিমেল"। আমিও লিখতাম, মাই পেট এনিমেল ইজ অ্যা পুসি ক্যাট। ইট হ্যাজ টু আইস, ফোর লেগস এন্ড ওয়ান টেইল। কি হাস্যকর ব্যপার।

অক্সফোর্ডে এক্সচেঞ্জ ডিনার

বিকেল বেলা ল্যাব থেকে বাসায় ফিরছি। কলেজ বিল্ডিঙয়ের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখলাম পল সুট পরে কলেজের দিকে যাচ্ছে। ভাবলাম কাহিনী কি? এই বিকেল বেলা সে এত সুন্দর কাপড় চোপড় পরে ও কোথায় যায়! আমি হাত নেড়ে হাই জানালাম। সে ও হাত নাড়লো।

শিক্ষকের কানে ধরা

নারায়ণগঞ্জে একজন শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অনেক লজ্জার বিষয়। শুধু একজন শিক্ষককেই না, যে কাউকে কান-ধরে উঠবস করানোই অনেক অপমানের একটি বিষয়।

পরীক্ষা প্রস্তুতি

একথা সত্য যে নলেজ ইজ পাওয়ার। তবে অন্য সব ক্ষমতার মত নলেজ বা জ্ঞানের ক্ষমতাও নির্ভর করে সেটাকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার উপর। পরীক্ষার হল এর একটা বড় উদাহরণ। এজন্য কারও অনেক কিছু জানা থাকার পরও সে পাশ করেনা আর অনেক অল্প জেনেই ভাল ফলাফল করে। জানা বিষয়কে পরীক্ষার স্বল্প সময়ে উপস্থাপন করাটাই এখানে মূখ্য। যে সেটা করতে পারবে সে ভাল করবে। যে করতে পারবে না সে খারাপ করবে। সারা জীবনের পড়াশুনার ফলাফল নির্ভর করে ঐ তিন ঘন্টার পরীক্ষাগুলোর উপর।

একটি অলস বিকেলের গল্প

আজকে বিকেলে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। কিবল কলেজের মাঠে খেলা। জায়গাটি আমার বাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরেই বলা যায়। দূরত্বের কথা চিন্তা করে আলসেমিতে আর যাওয়া হল না। ইউনিভার্সিটির মাঠে খেলা হলে সুবিধা। বাসার পাশেই। হাটতে হাটতে গিয়েই খেলে আসা যায়।

বায়োমেট্রিক হতাশা

আজকের দিনটির গুরুত্ব বাংলাদেরশের ইতিহাসে অনেক বেশি। কারণ এইদিনের পর থেকে  বাংলাদেশের সকল সিম বায়োমেট্রিকভাবে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়ত  বাংলাদেশের ইতিহাসকে দুইটি অধ্যায়ে ভাগ করা হবেঃ একটা হল ৩০ এপ্রিলের আগে  আর একটা ৩০ এপ্রিলের পরে। বাংলাদেশী মাত্রই তাই এইদিনটিতে বিশেষ উত্তেজনা  অনুভব করছে। রুহানও ব্যতিক্রম নয়। তার আজকের দিনের সমস্ত কর্মকান্ডই  বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনকে কেন্দ্র করে।

মে দিবসে করা মরিস ডান্স ও স্ট্রীট পারফরমেন্সের দুইটি ভিডিও

ভিডিও ১ঃ বোদলিয়ান লাইব্রেরী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরী। এর সামনে কাল একদল লোক ঐতিহ্যবাহী একটা নাচ নাচছিল। সম্ভবত এটাকে মরিস ডান্স বলে। নাচের একপর্যায়ে তারা সবাইকে আমন্ত্রণ করল তাদের সাথে যোগ দিতে। এই ভিডিওতে জনগণের অংশ নেওয়া নাচটাই ধারণ করেছি আমি।


অক্সফোর্ডে মে দিবস

গতকাল মে দিবস বিষয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম একটা ছবিসহ। ছবিটি আমিই তুলেছি। সাথে সাথে কয়েকটা ভিডিও করেছি। ভিডিওগুলো আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে (monzilurrahman.wordpress.com) শেয়ারও করেছি। এখানে আবার সেগুলো শেয়ার করছি। প্রথমে ফেসুবুকের স্ট্যাটাসটিঃ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক অধিকার দিবস হিসেবে এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়। আমাদের দেশেও তাই। কিন্তু ইতিহাসের শূরুতে এই দিনটির সাথে শ্রমিক অধিকারের কোন সম্পর্ক ছিল না।

ভারসাম্য (Balance)

নিজের ঢোল নিজে না পেটালে এখন আর কাজ হয় না। আপনি যদি চুপ করে থাকেন তাহলে সবাই মনে করবে আপনি কিছুই জানেন না। আবার বেশি বলা শুরু করলে নিজের ভিতরে ইগো তৈরি শুরু হয়, যেটা আপনার ট্যালেন্টের জন্য ক্ষতিকর। দুইটার মধ্যে ব্যালেন্স করে চলাটা জরুরী। লাইফের সবকিছুতেই ব্যালেন্স করা দরকার। এই যেমন আপনি নিজের কাজ নিয়ে যদি উত্তেজিত না হন তাহলে হয়ত সেই কাজটি করার উদ্যোম পাবে না। আবার বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে সেটার বশে কাজটাই হবে না। একইভাবে আপনি যদি কোন কিছুকে ভাল না বাসেন তাহলে সেটাকে পাবেন না, আবার অতিরিক্ত ভালবাসলে পাগল হয়ে যাবেন। এখানেও দরকার ব্যালেন্স। ভারসাম্য না থাকলে জীবন চলে না।

গবেষণাপত্রঃ গুজব বা হাইপের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে গণিতের ব্যবহার

সুচনাঃ গুজবে কান দিয়ে চলা আমাদের সমাজের অনেক পুরাতন বিষয়। যখন একটা হাইপ ওঠে তখন সবাই সেদিকে ছোটে। কেউ যদি হাইপের বিপরীতে চলতে চায় তাকেও আটকে দেওয়া হয়। কেউ যুক্তির কথা বললে তার কথা কেউ শোনে না। এজন্য আমাদের দেশে কোন কিছু করতে গেলে হাইপের বিষয়টা বিশেষ মাথায় রাখতেই হয়। হাইপ বিষয়ে আরও বলার আগে এর সংজ্ঞা পরিষ্কার করা জরুরী। একটি ঘটনা হঠাত সংঘটিত হয়ে জনগণের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়ে আবার কিছুদিন পর বিস্মৃত হয়ে গেলে, তাকে হাইপ বলে। হাইপের একটা সমস্যা আছে। এর লং-টার্ম ভবিষ্যত খুবই অনিশ্চিত। হাইপ বেশিরভাগ সময় অপরিকল্পিতভাবে বাইচান্স হয়ে যায়। সাধারণত, কারও চিন্তা ভাবনায় একটি হাইপ গড়ে ওঠেনা। ট্রায়াল-ইরর করে করে হাইপগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়। এই যেমন তনু হত্যার বিচার চেয়ে কিছুদিন আগে একটা হাইপ দেখা গেল। অন্য অনেক হত্যায় কোন হাইপ হয় নি। টাইমিংও বড় একটা ফ্যাক্টর। কোন ঘটনার ঠিক আগে অন্য কোন হাইপ ছিল কিনা তার উপর নির্ভর করে ঘটনাটি হাইপে পরিণত হবে কিনা। কোন হাইপের ঠিক কত পরে আর একটা হাইপ হবে তার উপর নির্ভর করে মূল হাইপটি কত স্থায়ী হবে। স্বাভাবিকভাবেই, তনুহত্যা বিচারের হাইপ এখন আর নাই। এসব পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে এবং সমাজে প্রচলিত কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে আলোচ্য গবেষণাপত্রে হাইপের গাণিতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হল।