হত্যা !!

একজন মানুষকে কেউ যখন হত্যা করে তখন কি তার হাত একটিবারের জন্যও কাঁপে না? আমার মত সাধারণ যেকোন মানুষ হলেই কাঁপার কথা। শুধুমাত্র মানসিকভাবে অসুস্থ (সাইকোপ্যাথ) হলে কারও পক্ষে অন্যকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা সম্ভব। একবার চিন্তা করে দেখেন আপনি কাউকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছেন, বা গলা টিপে ধরছেন আর তার প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরে সে মরা লাশ। একবার শুধু এই দৃশ্যটি কল্পনা করেন। এই কাজ কি আপনার পক্ষে করা সম্ভব? আমরা তো স্বাভাবিক মৃত্যুতেও অনেক দুঃখ পাই।

অক্সফোর্ডে শিলাবৃষ্টি

হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। জানালায় এসে ঝাপটা লাগছে খুব ছোট ছোট বরফের টুকরার। ছোট মানে খুবই ছোট। যেকারণে এখানে শিলা বৃষ্টিকে কেউ পাত্তা দেয় না। জ্যাকেটের হুড মাথায় দিয়ে তাই সবাই দিব্বি চলাফেরা করছে এর মাঝেই।

পুরাতন স্বপ্ন

একটা সময় নির্ঝঞ্জাট ছিল জীবন
অনুভূতিগুলো ছিল সাদামাটা আর জটিলতাহীন।
এখন বদলে গেছে সব, অনুভূতির ধরণ-ধারণ
প্রাণের তারনা হারিয়ে কুটীলতা আর কৃত্রিমতায়।

মানুষ এককালে অন্যদের সাথে কথা বলত
সাধারণ বিষয় নিয়ে, কি খাচ্ছে, কি দাচ্ছে এসব।
সিনেমায় দেখা যেত নায়ক নায়িকাকে প্রশ্ন করছে
কি তার প্রিয় রঙ, কে তার প্রিয় কবি।

শুভ নববর্ষ

বাংলা ১৪১৪ থেকে ১৪২২ সাল পর্যন্ত (২০০৭-২০১৫ ইং) প্রায় প্রতিটি নববর্ষই কেটেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। সকালে চারুকলা, তারপর কার্জন হল, বিকালে আর সন্ধ্যায় বুয়েটের আর্কিটেকচার। এই ছিল বাংলা বছরের প্রথম দিনের রুটিন। এবারে এসে সেই রুটিনটির ব্যাতিক্রম হল। একেবারেই কোন উদযাপন নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। নাস্তা করে এখন ল্যাবে যাব।

আলফা সেন্টারাই এ মহাকাশযান পাঠানোর ঘোষণা

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি মহাকাশ গবেষণাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে তা বোঝা যাচ্ছে ভালভাবে। কিছুক্ষণ আগেই রাশিয়ান ব্যবসায়ী ইউরি মিলনার পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সাথে ঘোষণা দিয়েছেন আলফা সেন্টারাই এ প্রোব পাঠাবে তারা।আলফা সেন্টারাই হল সূর্যের বাইরে পৃথবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র। কাছের হলেও এর দূরত্ব ৪.৩৭ আলোকবর্ষ। অথার্ৎ পৃথিবী থেকে আলো ফেললে সেই আলো সেখানে যেতে ৪ বছরের বেশি সময় লাগবে। এই দূরত্ব প্রায় ২৪ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। এই দুরত্ব পার হরে ভয়েজার মহাকাশযানের ৭৫০০০ বছর লাগত!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ ফিরে দেখা এবং বর্তমানের পর্যালোচনা

বহুদিন আগে, তখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি, সেই সময় নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালের একটা আর্টিকেলে বেশ আকৃষ্ট হয়েছিলাম। আর্টিকেলটা ছিল সেলফ এসেমব্লিং সফটওয়্যার নিয়ে। কম্পিউটারে লিখিত এই প্রোগামগুলো জীবের বংশবৃদ্ধির মত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পেরেছিল। শুধু তাই নয় মিউটেশন করে করে তারা নিজেদের মধ্যে উন্নত বৈশিষ্ট অর্জন করতেও পেরেছিল।

আর এতদিন পর আমি এখন নিউরোসায়েন্সের ছাত্র। গবেষণা প্রকল্পে ব্যবহার করছি মেশিন লার্নিং এলগরিদমের যা কিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সব প্রোগ্রামের মূল উপাদান। ডিপ মাইন্ড এই ধরণের পোগ্রামই ব্যবহার করে। ডিপ মাইন্ড যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় এআই কোম্পানি। ২০১৪ সালে গুগল ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাই এই কোম্পানির নাম এখন গুগল ডিপমাইন্ড।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক দুঃশ্চিন্তা

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যত কি? যে দ্রুত এই ফিল্ড আগায় যাচ্ছে তাতে খুব দ্রুতই বোধ হয় মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তার কম্পিউটার তৈরি হবে। সব বড় বড় কোম্পানি গুগল, মাইক্রোসফট, এমনকি এনভিডিয়াও এই বিষয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগ করছে। করবেই না কেন এটাই যে হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি।

সায়েন্স ম্যাগাজিনের প্রতি সংখ্যায় একটা না একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খবর থাকবেই। এই বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জনপ্রিয় তা বোঝা যায় কম্পিউটার সায়েন্সের ছেলেদের রিসার্চ ইন্টারেস্ট চিন্তা করলে। ভাবেন তো, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের সবচেয়ে মেধাবীদের কত ভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে? উত্তর হল তারা সবাই। এই যখন অবস্থা এই ফিল্ড যে হু হু করে দ্রুত বেগে আগাবে তাতে সন্দেহ নাই।

পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা কেন!

আজকের বাংলাদেশের ফেসবুক ট্রেন্ড প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এরশাদ নতুন আরেকটি বিয়ে করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক এডভোকেটকে। হাহা চাচা বড়ই রসিক ব্যাক্তি। তিনি পারেনও।

এদিকে কিছু বাঙালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখ আয়োজনের বিরুদ্ধের ফেসবুকে ইভেন্ট খুলেছে। এখন কিছু হলে বা না হলে মানুষ ইভেন্ট খোলে। যেমন- আজ গরীব হলে, একদিন বড়লোক হলে, ক্রাশকে পেলে ইত্যাদি। সর্বশেষ বিজাতীয় ফেসবুক ব্যবহার করে ইভেন্ট খোলা হয়েছে- "পহেলা বৈশাখে বিজাতীয় সংস্কৃতি "মঙ্গল শোভাযাত্রাকে" না বলুন। ভাবতেছি মানুষের এত স্বদেশপ্রেম একটা দেশীয় সোস্যাল মিডিয়া বানিয়ে দেখতে হবে কয়জন ব্যবহার করে।

কিছু না বলে থাকতে পারলাম না। তাই, ওই ইভেন্ট পেজে গিয়ে নিচের কমেন্টটি দিলাম---

বসন্ত এলেই ভালবাসা

তুমি ভাবছ বসন্ত এলেই বুঝি ভালবাসি তোমায়
শুধু এই সময়ই নাকি প্রেমে পরি,
শীত, গ্রীষ্ম আর বর্ষার আপদে সবকিছু ভুলে
ভালবাসাকেই নাকি না বলি!