শুভ নিশি

মাত্রই ঘুম থেকে উঠল শুভ। ফোনে তিনটি মিসকল। নিশি ফোন দিয়েছিল। বিরক্তির সাথে কললিস্ট চেক করতে করতে একবার ভাবল কলব্যাক করবে। পরক্ষণেই মত পাল্টে ফেলল। কোন কল না করেই ফোনটা রেখে দিল আগের জায়গায়।

কর্টেক্স ক্লাব

অক্সফোর্ডে যাওয়ার পর থেকেই আমার জীবনের একটা উল্লেখ্যযোগ্য সময় জুড়ে আছে কর্টেক্স ক্লাব। মূলত গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের নিয়ে করা এই ক্লাবে সাধারণত যুক্তরাজ্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক খ্যাতিমান বিজ্ঞানী আসে বক্তব্য দিতে। তারা তাদের একদম লেটেস্ট কাজ নিয়ে কথা বলে।

লুব্ধক

বেশ কিছুদিন ধরে তেমন একটা লিখছি না। লেখালেখি নিয়মিত না করলে অভ্যাসে ভাটা পরে যায়। তখন নতুন করে আবার শুরু করাটা বেশ কঠিন।

সামারটাউন

 কিছু দোকানপাট, সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট আর পাব নিয়ে সামারটাউন একটা ছোট ছিমছাম এলাকা। আশেপাশে আবাসিক বাড়িঘর। কয়েকটা হোটেল-মোটেলও আছে। রবিবারে ফুটপাতে বাজার বসে অর্গানিক সবজি, বিশেষ ভাবে হাতে তৈরি ব্রেড অথবা বিশেষ কফি শপের। সেগুলোতে ঢু মারে স্থানীয়রা। সন্ধায় রেস্টুরেন্টগুলোতে ভীড় বাড়ে। সবকিছু চিন্তা করলে এই টাউনটি বাংলাদেশের উপশহর গুলোর মত। একটাই পার্থক্য এটা একটু উন্নত, পরিষ্কার আর মানুষজন কম।

ডিফারেন্সিয়েবল নিউরাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

আমাদের রিসার্চ গ্রুপে সবার থিওরীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে একটা কম্পিউটেশনাল জার্নাল ক্লাব শুরু করেছি আমরা। আজকে পেপার প্রেজেন্ট করার দায়িত্ব পরেছিল আমার ভাগে। যে পেপারটি বেছে নিয়েছিলাম সেটা গত মাসের একদম শেষ দিকে পাবলিশ করেছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কোম্পানি ডিপমাইন্ড।

জাতির আত্মবিশ্বাস

একটা দেশ বা জাতি যখন দিনের পর দিন উপলব্ধি করে যে তারা অন্যদের থেকে নিচু বা দূর্বল তখন সেই উপলব্ধিটাকে দূর করা অনেক কঠিন। আর সেটার প্রভাব পড়তে থাকে তাদের কাজে-কর্মে এবং চিন্তায়-বাস্তবে। তবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একটা জাতির আত্মবিশ্বাস যেমন কমতে পারে তেমনি বাড়তেও পারে। আমাদের জাতিই মনোবলের উত্থান পতনের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে।

ভালোবাসা বনাম ঘৃণার নিউরোসায়েন্স

জার্নাল ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে প্লস ওয়ানের ২০০৮ সালের একটা আর্টিকেলে চোখ পড়ল। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সেমির জেকি আর জন পল রোমায়ার কাজ। তাদের নাম আগে জীবনে শুনিনি। তারা লিখেছে মস্তিষ্কের ঠিক কোন জায়গার নিউরনের কারণে মানুষের মধ্যে ঘৃণা কাজ করে সেটা দেখানোই তাদের পেপারের উদ্দেশ্য। এর আগে ভালোবাসা নিয়েও গবেষণা করেছে তারা এবং পেপারের ভূমিকায় তারা লিখেছে ভালোবাসা ও ঘৃণা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তারা এমন কিছু ফলাফল পেয়েছে যে তাতে তারা বিস্মিত।

লুসিফার


লুসিফার নামে একটা টিভি সিরিজ দেখছি গত সপ্তাহ থেকে। নাম শুনলেই বোঝা যায় 'ডেভিল' বা শয়তানের সাথে এই সিরিজের সম্পর্ক আছে। কারণ ইবলিশ শয়তানের আরেক নামই লুসিফার। সিরিজের প্রধান চরিত্র লুসিফার মর্নিংস্টারের নামে সিরিজের নাম।

নাজার প্যালেস আনলিমিটেড

অবশেষে সায়েন্সের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহ বহু খাটা খাটুনি করেও তেমন ভাল কোন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারলাম না। ভেবেছিলাম ছুটির সময়টায় কাজ করে কিছু ডেটা কালেকশন করলে পরবর্তীতে পাবলিকেশনের কাজে লাগবে, সেটা হল না। তবে কাজ যে কিছুই হয়নি তা না। মোটে তিনটি নিউরন থেকে রেকর্ড করতে পেরেছি।

বিসিএস অভিজ্ঞতাঃ প্রিলি পরীক্ষা

এর আগে দু'বার ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। এবার প্রিলির অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। উল্লেখ্য একটাই বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছি। তাই বিসিএস বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা অর্বাচীন লেভেলের।

প্রিলির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছে। তা হল ৩৫তম এর প্রলিমিনারী পরীক্ষা অনেক আগে হওয়ায় সেই সময়ের ঘটনা তেমন একটা মনে নেই।

ক্যারিয়ার বিষয়ে কিছু কথাঃ প্লানিং ও দীর্ঘপ্রস্তুতি

একটা কথা আছে, Overnight success usually takes a decade of uphill work। অর্থাৎ, "রাতারাতি সাফল্যের জন্য দরকার যুগের পর যুগের অক্লান্ত পরিশ্রম"। কথাটা এইজন্য বললাম যে, অনেক সময় দেখা যায়, কেউ দিনের পর দিন ধরে একটা কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতেও কাজ হচ্ছে না আর কেউ শুধু কয়েকদিনের প্রস্তুতিতেই অনেক কিছু করে ফেলছে। এমন কিছু দেখলে আমরা সাধারণভাবেই ধারণা করি ঐ ব্যক্তি নিশ্চয় সাফল্যের কোন শর্টকাট মেথড পেয়ে গেছে।

বিসিএস অভিজ্ঞতাঃ লিখিত পরীক্ষা

৩৫ তম বিসিএসের রেজাল্ট হওয়ার পর অনেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করছে ভাই আপনি কিভাবে এডমিন ক্যাডারে দ্বিতীয় হলেন। কোন কোন বই পড়েছেন। কতক্ষণ পড়াশুনা করতেন দৈনিক। একটা কমন প্রশ্ন ছিল, বিসিএস পরীক্ষার আগে আপনি প্রতিদিন কত ঘন্টা পড়াশুনা করতেন। আমি যখন বলি, আমি বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসটাও ঠিকমত জানতাম না, নিয়মিত পড়া তো দূরের কথা, পরীক্ষার আগের রাত বাদে বিসিএসের কোন গাইডও দেখিনি। তখন আমার কথা কেউই বিশ্বাস করতে চায়না।

রহস্যঘেরা মানবী

রাত ১০টা। ড্রয়ং রুমেই ঘুমিয়ে পড়েছিল রুহান।

ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর ক্লান্ত লাগছে খুব। বিকালে আধাঘন্টার বেশি ঘুমালে ওর সমস্যা হয়। খুবই অবসাদ লাগে। ঘুম থেকে ওঠার পর আর কিছু করতে ইচ্ছা করে না।

দিনটা একটু অন্যরকম ছিল ওর জন্য। শুধু মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কিছুই করা হয়নি।
ক্ষুধা লেগেছে। ক্লান্তি আর ক্ষুধায় বায়োমেট্রিক হতাশাটুকু এখন আর নেই।

টেলিভিশন, বিদেশি চ্যানেল ও হিন্দি

টেলিভিশন এখন আর তেমন একটা দেখা হয়না। গত সপ্তাহের কোন একদিন ব্যাপারটা প্রথমবারেরমত খেয়াল করলাম। তাই সেদিন বাসায় ফিরেই ল্যাপটপে বিবিসি আইপ্লেয়ারে বিবিসি নিউজ চ্যানেলটি ছেড়ে দিয়ে সন্ধ্যার কাজকর্ম শুরু করলাম। কাজের মাঝে মাঝে টিভি দেখা।

ঢাকায় জঙ্গি হামলা

গত বছর নভেম্বরে প্যারিস শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে হামলা করেছিল আইএসের জঙ্গিরা। ঘটনার পরদিন আমার ফ্রান্সের বন্ধুকে জিঞ্জেস করেছিলাম এখন প্যারিসের অবস্থা কি? তোমার পরিবারের সবাই ঠিক আছে তো? ও বলেছিল, "আমার এক আত্মীয় মারা গেছে। তবে শহরের অবস্থা স্বাভাবিকই আছে। এমন হামলাতেও প্যারিসের লোকদের জীবনে কোন প্রভাব আসবে না। তারা আগের মতই আমোদ ফূর্তি করতে থাকবে। প্যারিস জানে জীবন কিভাবে যাপন করতে হয়।" আমি আবার জিঙ্গাস করেছিলাম, তুমি ও তোমার পরিবার কি এতে আতংকিত? ও তখন বলেছিল, "সন্ত্রাসিরা তো এটাই চায়। সবাইকে আতংকিত করতে। সুতরাং আমরা ভয় পাওয়া মানে তারা জিতে গেল। তাই ভয় পাওয়ার কোন মানে হয়না। এমন হামলার পরেও স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যাওয়াই তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার একমাত্র উপায়।" কথাটা একদম সত্যি। আমাদের দেশে জঙ্গি হামলার পরও একই কথা প্রযোজ্য।

বাসা বদল

১ বছরের ভিতর পঞ্চমবারের মত বাসা বদলের রেকর্ড করে ফেললাম আজকে।

ব্রিটেনে এসে প্রথম উঠেছিলাম হেডিংটনে। সেখান থেকে অক্সফোর্ডের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। তাই কলেজ যখন একোমোডেশন অফার করল দেরী না করে সাথে সাথে বাসা বদলে কলেজের একোমোডেশনে উঠে গেলাম।

ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্ট

রন্ধনশীল্পে মানে রান্নায় ফরাসীদের উপরে কেউ নেই। তাদের রান্নার স্বাদ একেবারে বিশুদ্ধ। এত সূক্ষ স্বাদের রান্না আগে কখনও খাইনি। কয়েকদিন আগে ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্ট ব্রাসি বুলং এ খেতে গিয়ে এই কথাই মনে হল (ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টে এর আগে খাইনি)। গোট চিজ আর সবজির স্টার্টার অনেক ভাল লেগেছিল। কিন্তু সবজি আর আচার এর সাথে রান্না করা স্যামন মাছের ফিলেট খেয়ে বুঝলাম ফরাসী খাবারের এত নাম-ডাক কেন। প্রত্যকটা স্বাদ একদম ফ্রেশ আর সবকিছু মিলিয়ে খেলে মনে হচ্ছিল স্বাদের এর থেকে ভাল কম্বিনেশন আর হতে পারেনা। ডেজার্টেও একই ব্যপার। ক্রিমের সাথে চকলেট আর বাদামের কেকের মত সাধারণ জিনিসকেও অসাধারণ করে রান্না করেছে। কোন কিছুর স্বাদই নষ্ট করেনি আবার একসাথে খেতে দারুণ। এখানেই যদি খাবার এত ভাল হয়, তাহলে প্যারিসের রেস্টুরেন্টগুলোর রান্না কত ভাল হবে!

রচনা

স্কুল কলেজের পর রচনা লেখা তেমন একটা হয়নি। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে ইংরেজী কোর্সে একটা রচনা লিখতে হয়েছিল। বেশ কয়েকটা অপশনের মধ্যে আমি লিখেছিলাম 'যে ব্যক্তি তোমার জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে' এই বিষয়ে। ঐ শেষ। এরপর আর কোন ইয়ারে রচনা লেখার ব্যপার ছিল না।

নভোচারী দর্শন (বাজ অলড্রিন)

গতকাল অর্থাৎ ১লা জুন এডুইন অলড্রিন ওরফে বাজ অলড্রিন এসেছিলেন অক্সফোর্ডে। হ্যাঁ সেই বাজ অলড্রিন যিনি নীল আর্মস্ট্রং এর সাথে এপোলো ১১ তে করে গিয়েছিলেন চাঁদে। সেখানে গিয়ে চাঁদের বুকে কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়িয়েছেন। তারপর কিছু ছবি তুলে, চাঁদের ধূলি ও নুড়ি সংগ্রহ করে আবার পৃথিবীতে সহি-সালামতে ফিরে এসেছেন। চাঁদের বুকে পা রাখা মানুষ তারাই প্রথম।

অক্সফোর্ড সামার এইটস

আমাদের ইউনিভার্সিটির বার্ষিক রোয়িং বা দাঁড় টানা প্রতিযোগিতা নাম এটি। খেলাটা অনেকটা আমাদের দেশের নৌকা বাইচের মত। কিন্তু এখানে এক নৌকায় শুধু আটজন বৈঠা টানে। প্রতিযোগিতার নামও তাই সামার এইট'স।

বাইসাইকেল

অক্সফোর্ড শহরের প্রধান বাহন বাইসাইকেল। ছেলে-মেয়ে, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক সবাই সাইকেলে চলাফেরা করে। ব্যপারটা দেখতে ভালই লাগে। কোন ছেলে স্যুট পরে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে অথবা কোন মেয়ে পার্টি ড্রেস পরে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে এটা এখানকার নিয়মিত দৃশ্য।

পেট এনিমেল

ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।

ইউনিভার্সিটি পার্কে হাঁটতে গেলেই দেখি লোকজন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হয়েছে। বেশিরভাগ লোকের সাথেই কুকুর। তাদের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তাদের সাথে খেলছে।

পেট এনিমেল বা পোষা প্রাণীর ব্যপারটা আমার কাছে সব সময় বইয়ের পাতার জিনিসই ছিল। আমাদের দেশে এটার তেমন প্রচলন না থাকলেও স্কুলে প্যারাগাফ লিখতে হত, "ইউর পেট এনিমেল"। আমিও লিখতাম, মাই পেট এনিমেল ইজ অ্যা পুসি ক্যাট। ইট হ্যাজ টু আইস, ফোর লেগস এন্ড ওয়ান টেইল। কি হাস্যকর ব্যপার।

অক্সফোর্ডে এক্সচেঞ্জ ডিনার

বিকেল বেলা ল্যাব থেকে বাসায় ফিরছি। কলেজ বিল্ডিঙয়ের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখলাম পল সুট পরে কলেজের দিকে যাচ্ছে। ভাবলাম কাহিনী কি? এই বিকেল বেলা সে এত সুন্দর কাপড় চোপড় পরে ও কোথায় যায়! আমি হাত নেড়ে হাই জানালাম। সে ও হাত নাড়লো।

শিক্ষকের কানে ধরা

নারায়ণগঞ্জে একজন শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অনেক লজ্জার বিষয়। শুধু একজন শিক্ষককেই না, যে কাউকে কান-ধরে উঠবস করানোই অনেক অপমানের একটি বিষয়।

পরীক্ষা প্রস্তুতি

একথা সত্য যে নলেজ ইজ পাওয়ার। তবে অন্য সব ক্ষমতার মত নলেজ বা জ্ঞানের ক্ষমতাও নির্ভর করে সেটাকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার উপর। পরীক্ষার হল এর একটা বড় উদাহরণ। এজন্য কারও অনেক কিছু জানা থাকার পরও সে পাশ করেনা আর অনেক অল্প জেনেই ভাল ফলাফল করে। জানা বিষয়কে পরীক্ষার স্বল্প সময়ে উপস্থাপন করাটাই এখানে মূখ্য। যে সেটা করতে পারবে সে ভাল করবে। যে করতে পারবে না সে খারাপ করবে। সারা জীবনের পড়াশুনার ফলাফল নির্ভর করে ঐ তিন ঘন্টার পরীক্ষাগুলোর উপর।

একটি অলস বিকেলের গল্প

আজকে বিকেলে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। কিবল কলেজের মাঠে খেলা। জায়গাটি আমার বাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরেই বলা যায়। দূরত্বের কথা চিন্তা করে আলসেমিতে আর যাওয়া হল না। ইউনিভার্সিটির মাঠে খেলা হলে সুবিধা। বাসার পাশেই। হাটতে হাটতে গিয়েই খেলে আসা যায়।

বায়োমেট্রিক হতাশা

আজকের দিনটির গুরুত্ব বাংলাদেরশের ইতিহাসে অনেক বেশি। কারণ এইদিনের পর থেকে  বাংলাদেশের সকল সিম বায়োমেট্রিকভাবে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়ত  বাংলাদেশের ইতিহাসকে দুইটি অধ্যায়ে ভাগ করা হবেঃ একটা হল ৩০ এপ্রিলের আগে  আর একটা ৩০ এপ্রিলের পরে। বাংলাদেশী মাত্রই তাই এইদিনটিতে বিশেষ উত্তেজনা  অনুভব করছে। রুহানও ব্যতিক্রম নয়। তার আজকের দিনের সমস্ত কর্মকান্ডই  বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনকে কেন্দ্র করে।

মে দিবসে করা মরিস ডান্স ও স্ট্রীট পারফরমেন্সের দুইটি ভিডিও

ভিডিও ১ঃ বোদলিয়ান লাইব্রেরী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরী। এর সামনে কাল একদল লোক ঐতিহ্যবাহী একটা নাচ নাচছিল। সম্ভবত এটাকে মরিস ডান্স বলে। নাচের একপর্যায়ে তারা সবাইকে আমন্ত্রণ করল তাদের সাথে যোগ দিতে। এই ভিডিওতে জনগণের অংশ নেওয়া নাচটাই ধারণ করেছি আমি।


অক্সফোর্ডে মে দিবস

গতকাল মে দিবস বিষয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম একটা ছবিসহ। ছবিটি আমিই তুলেছি। সাথে সাথে কয়েকটা ভিডিও করেছি। ভিডিওগুলো আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে (monzilurrahman.wordpress.com) শেয়ারও করেছি। এখানে আবার সেগুলো শেয়ার করছি। প্রথমে ফেসুবুকের স্ট্যাটাসটিঃ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক অধিকার দিবস হিসেবে এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়। আমাদের দেশেও তাই। কিন্তু ইতিহাসের শূরুতে এই দিনটির সাথে শ্রমিক অধিকারের কোন সম্পর্ক ছিল না।

ভারসাম্য (Balance)

নিজের ঢোল নিজে না পেটালে এখন আর কাজ হয় না। আপনি যদি চুপ করে থাকেন তাহলে সবাই মনে করবে আপনি কিছুই জানেন না। আবার বেশি বলা শুরু করলে নিজের ভিতরে ইগো তৈরি শুরু হয়, যেটা আপনার ট্যালেন্টের জন্য ক্ষতিকর। দুইটার মধ্যে ব্যালেন্স করে চলাটা জরুরী। লাইফের সবকিছুতেই ব্যালেন্স করা দরকার। এই যেমন আপনি নিজের কাজ নিয়ে যদি উত্তেজিত না হন তাহলে হয়ত সেই কাজটি করার উদ্যোম পাবে না। আবার বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে সেটার বশে কাজটাই হবে না। একইভাবে আপনি যদি কোন কিছুকে ভাল না বাসেন তাহলে সেটাকে পাবেন না, আবার অতিরিক্ত ভালবাসলে পাগল হয়ে যাবেন। এখানেও দরকার ব্যালেন্স। ভারসাম্য না থাকলে জীবন চলে না।

গবেষণাপত্রঃ গুজব বা হাইপের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে গণিতের ব্যবহার

সুচনাঃ গুজবে কান দিয়ে চলা আমাদের সমাজের অনেক পুরাতন বিষয়। যখন একটা হাইপ ওঠে তখন সবাই সেদিকে ছোটে। কেউ যদি হাইপের বিপরীতে চলতে চায় তাকেও আটকে দেওয়া হয়। কেউ যুক্তির কথা বললে তার কথা কেউ শোনে না। এজন্য আমাদের দেশে কোন কিছু করতে গেলে হাইপের বিষয়টা বিশেষ মাথায় রাখতেই হয়। হাইপ বিষয়ে আরও বলার আগে এর সংজ্ঞা পরিষ্কার করা জরুরী। একটি ঘটনা হঠাত সংঘটিত হয়ে জনগণের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়ে আবার কিছুদিন পর বিস্মৃত হয়ে গেলে, তাকে হাইপ বলে। হাইপের একটা সমস্যা আছে। এর লং-টার্ম ভবিষ্যত খুবই অনিশ্চিত। হাইপ বেশিরভাগ সময় অপরিকল্পিতভাবে বাইচান্স হয়ে যায়। সাধারণত, কারও চিন্তা ভাবনায় একটি হাইপ গড়ে ওঠেনা। ট্রায়াল-ইরর করে করে হাইপগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়। এই যেমন তনু হত্যার বিচার চেয়ে কিছুদিন আগে একটা হাইপ দেখা গেল। অন্য অনেক হত্যায় কোন হাইপ হয় নি। টাইমিংও বড় একটা ফ্যাক্টর। কোন ঘটনার ঠিক আগে অন্য কোন হাইপ ছিল কিনা তার উপর নির্ভর করে ঘটনাটি হাইপে পরিণত হবে কিনা। কোন হাইপের ঠিক কত পরে আর একটা হাইপ হবে তার উপর নির্ভর করে মূল হাইপটি কত স্থায়ী হবে। স্বাভাবিকভাবেই, তনুহত্যা বিচারের হাইপ এখন আর নাই। এসব পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে এবং সমাজে প্রচলিত কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে আলোচ্য গবেষণাপত্রে হাইপের গাণিতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হল।

হত্যা !!

একজন মানুষকে কেউ যখন হত্যা করে তখন কি তার হাত একটিবারের জন্যও কাঁপে না? আমার মত সাধারণ যেকোন মানুষ হলেই কাঁপার কথা। শুধুমাত্র মানসিকভাবে অসুস্থ (সাইকোপ্যাথ) হলে কারও পক্ষে অন্যকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা সম্ভব। একবার চিন্তা করে দেখেন আপনি কাউকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছেন, বা গলা টিপে ধরছেন আর তার প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরে সে মরা লাশ। একবার শুধু এই দৃশ্যটি কল্পনা করেন। এই কাজ কি আপনার পক্ষে করা সম্ভব? আমরা তো স্বাভাবিক মৃত্যুতেও অনেক দুঃখ পাই।

অক্সফোর্ডে শিলাবৃষ্টি

হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। জানালায় এসে ঝাপটা লাগছে খুব ছোট ছোট বরফের টুকরার। ছোট মানে খুবই ছোট। যেকারণে এখানে শিলা বৃষ্টিকে কেউ পাত্তা দেয় না। জ্যাকেটের হুড মাথায় দিয়ে তাই সবাই দিব্বি চলাফেরা করছে এর মাঝেই।

পুরাতন স্বপ্ন

একটা সময় নির্ঝঞ্জাট ছিল জীবন
অনুভূতিগুলো ছিল সাদামাটা আর জটিলতাহীন।
এখন বদলে গেছে সব, অনুভূতির ধরণ-ধারণ
প্রাণের তারনা হারিয়ে কুটীলতা আর কৃত্রিমতায়।

মানুষ এককালে অন্যদের সাথে কথা বলত
সাধারণ বিষয় নিয়ে, কি খাচ্ছে, কি দাচ্ছে এসব।
সিনেমায় দেখা যেত নায়ক নায়িকাকে প্রশ্ন করছে
কি তার প্রিয় রঙ, কে তার প্রিয় কবি।

শুভ নববর্ষ

বাংলা ১৪১৪ থেকে ১৪২২ সাল পর্যন্ত (২০০৭-২০১৫ ইং) প্রায় প্রতিটি নববর্ষই কেটেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। সকালে চারুকলা, তারপর কার্জন হল, বিকালে আর সন্ধ্যায় বুয়েটের আর্কিটেকচার। এই ছিল বাংলা বছরের প্রথম দিনের রুটিন। এবারে এসে সেই রুটিনটির ব্যাতিক্রম হল। একেবারেই কোন উদযাপন নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। নাস্তা করে এখন ল্যাবে যাব।

আলফা সেন্টারাই এ মহাকাশযান পাঠানোর ঘোষণা

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি মহাকাশ গবেষণাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে তা বোঝা যাচ্ছে ভালভাবে। কিছুক্ষণ আগেই রাশিয়ান ব্যবসায়ী ইউরি মিলনার পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সাথে ঘোষণা দিয়েছেন আলফা সেন্টারাই এ প্রোব পাঠাবে তারা।আলফা সেন্টারাই হল সূর্যের বাইরে পৃথবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র। কাছের হলেও এর দূরত্ব ৪.৩৭ আলোকবর্ষ। অথার্ৎ পৃথিবী থেকে আলো ফেললে সেই আলো সেখানে যেতে ৪ বছরের বেশি সময় লাগবে। এই দূরত্ব প্রায় ২৪ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। এই দুরত্ব পার হরে ভয়েজার মহাকাশযানের ৭৫০০০ বছর লাগত!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ ফিরে দেখা এবং বর্তমানের পর্যালোচনা

বহুদিন আগে, তখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি, সেই সময় নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালের একটা আর্টিকেলে বেশ আকৃষ্ট হয়েছিলাম। আর্টিকেলটা ছিল সেলফ এসেমব্লিং সফটওয়্যার নিয়ে। কম্পিউটারে লিখিত এই প্রোগামগুলো জীবের বংশবৃদ্ধির মত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পেরেছিল। শুধু তাই নয় মিউটেশন করে করে তারা নিজেদের মধ্যে উন্নত বৈশিষ্ট অর্জন করতেও পেরেছিল।

আর এতদিন পর আমি এখন নিউরোসায়েন্সের ছাত্র। গবেষণা প্রকল্পে ব্যবহার করছি মেশিন লার্নিং এলগরিদমের যা কিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সব প্রোগ্রামের মূল উপাদান। ডিপ মাইন্ড এই ধরণের পোগ্রামই ব্যবহার করে। ডিপ মাইন্ড যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় এআই কোম্পানি। ২০১৪ সালে গুগল ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাই এই কোম্পানির নাম এখন গুগল ডিপমাইন্ড।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক দুঃশ্চিন্তা

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যত কি? যে দ্রুত এই ফিল্ড আগায় যাচ্ছে তাতে খুব দ্রুতই বোধ হয় মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তার কম্পিউটার তৈরি হবে। সব বড় বড় কোম্পানি গুগল, মাইক্রোসফট, এমনকি এনভিডিয়াও এই বিষয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগ করছে। করবেই না কেন এটাই যে হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি।

সায়েন্স ম্যাগাজিনের প্রতি সংখ্যায় একটা না একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খবর থাকবেই। এই বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জনপ্রিয় তা বোঝা যায় কম্পিউটার সায়েন্সের ছেলেদের রিসার্চ ইন্টারেস্ট চিন্তা করলে। ভাবেন তো, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের সবচেয়ে মেধাবীদের কত ভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে? উত্তর হল তারা সবাই। এই যখন অবস্থা এই ফিল্ড যে হু হু করে দ্রুত বেগে আগাবে তাতে সন্দেহ নাই।

পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা কেন!

আজকের বাংলাদেশের ফেসবুক ট্রেন্ড প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এরশাদ নতুন আরেকটি বিয়ে করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক এডভোকেটকে। হাহা চাচা বড়ই রসিক ব্যাক্তি। তিনি পারেনও।

এদিকে কিছু বাঙালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখ আয়োজনের বিরুদ্ধের ফেসবুকে ইভেন্ট খুলেছে। এখন কিছু হলে বা না হলে মানুষ ইভেন্ট খোলে। যেমন- আজ গরীব হলে, একদিন বড়লোক হলে, ক্রাশকে পেলে ইত্যাদি। সর্বশেষ বিজাতীয় ফেসবুক ব্যবহার করে ইভেন্ট খোলা হয়েছে- "পহেলা বৈশাখে বিজাতীয় সংস্কৃতি "মঙ্গল শোভাযাত্রাকে" না বলুন। ভাবতেছি মানুষের এত স্বদেশপ্রেম একটা দেশীয় সোস্যাল মিডিয়া বানিয়ে দেখতে হবে কয়জন ব্যবহার করে।

কিছু না বলে থাকতে পারলাম না। তাই, ওই ইভেন্ট পেজে গিয়ে নিচের কমেন্টটি দিলাম---

বসন্ত এলেই ভালবাসা

তুমি ভাবছ বসন্ত এলেই বুঝি ভালবাসি তোমায়
শুধু এই সময়ই নাকি প্রেমে পরি,
শীত, গ্রীষ্ম আর বর্ষার আপদে সবকিছু ভুলে
ভালবাসাকেই নাকি না বলি!

কেমন আছ?

কেমন আছ বল, বল প্রিয়তম
একবার কাছে এসে বল ভাল নেই।
আমাকে ছাড়া তুমি ঠিক নেই
ফিরে এসে বল ভাল নেই ভাল।

ভুল

ভুল করে করা এককাজের জন্য
                   অনুশোচনা করি বারবার
 যত ভাবি চিন্তা করি যতই
                   কুল-কিনারা নাই তার।

অভিনয় ও উপহার

অভিনয়
------------
অসহায়ত্বের অভিনয় করে মানুষের করুণা
লাভের মধ্যে কি আনন্দ খুঁজে পাও
নাকি এটাই তোমার পূর্ব-পরিকল্পনা
ছল-চাতুরী করে নিজের লাভি খুঁজে যাও।

বিসিএস গ্রুপে লিখিত পরীক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা পোস্ট

গত বিসিএস মানে ৩৫তম এর প্রিলি আর লিখিত পরীক্ষার সময় এই গ্রুপে নিয়মিত আসতাম। ভালই লাগত। সবাই সবার অভিজ্ঞতা শেয়ার করত। পরীক্ষা দিয়ে তাদের আক্ষেপ, খুশি, হতাশা এখানে ভাগাভাগি করত। আমিও তার অংশ ছিলাম। কিন্তু কখনই এখানে পোস্ট করা হয়নি।

আজকে ইফতির পোস্ট দেখে একটু নস্টালজিক হয়ে গিয়ে এই পোস্টটি করছি।

বিসিএস একবারই দেয়া হয়েছে। এবার রেজিস্ট্রেশন করে আসলেও আর দেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষা দিয়ে ভালই লেগেছিল। প্রিলিতে অন্ধকারে ঢিল মেরে চান্স পেয়ে গেলাম। তারপর লিখিত পরীক্ষাগুলোও দিয়েছিলাম। বাসায় পাশেই পরীক্ষায় সিট পড়ায় তেমন কষ্টো করতে হয়নি। আমি থাকতাম মোহাম্মদপুরে লিখিত পরীক্ষা ছিল আগারগাঁওয়ে, প্রিলি ধানমন্ডিতে।

নতুন বছর ২০১৬

ক্যালেন্ডারে নতুন বছর শুরু হল, ২০১৫ এর এককের ঘরে এখন থেকে ৬ বসাতে হবে। তেমন বেশি কিছু না শুধুমাত্র একটা অঙ্কে পার্থক্য। তবে আমার জন্য এবারের নববর্ষ একেবারেই অন্যরকম।